৬০ 8 রামের সঙ্গে বর্ষার উপমা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। নাসিকার পারাবার সব ক্ষোভ পায়। সিংহরব কান্দে সব দিগগজ তাহায়॥ পদ-ভরে থরথরে কাপে ধরাতল। অঙ্গ-বায় উড়ি যায় কত কুলাচল॥ অঙ্গ-ভায় নাহি ভায় দিগন্ত গগন। জ্ঞান-হত যেন মৃত সকল ভুবন॥ এই মতে দিতি মৃতে তার ভৃত্যগণে। লক্ষ্মীপতি রঘুপতি নাশিলেন ক্ষণে॥ i রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। নদীয়া জেলার মেটেরি গ্রামে বাস। পিতার নাম বলরাম বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭৬০ শক (১৮৩৮ খৃঃ) রামায়ণ রচনার কাল। এই গ্রন্থ ভক্তিরস-প্রধান। ইহার অনেকগুলি পুথি দেখিয়াছি। সাহিত্য-পরিষৎ-মন্দিরে এই রামায়ণের প্রায় ৭০ বৎসরের একখানি বিরাট পুথি আছে। পুথির এত বড় আকার প্রায় দেখা যায় না। বর্ষাকালে বিরহ। কুটীরে করেন বাস কমললোচন। সীতার কারণে সদা ঝোরে নয়ন॥ সাস্তুনা করেন সদা সুমিত্রা-সন্তান। তার গুণে রাঘবের দেহে রহে প্রাণ॥ আষাঢ়ে নবীন মেঘ দিল দরশন। যেমত সুন্দর শু্যাম রামের বরণ॥ ঘন ঘন ঘন গৰ্জ্জে অতি অসম্ভব। যেমন রামের ধনু টঙ্কারের রব ৷ রয়ে রয়ে সৌদামিনী চমকে গগনে। যেমন রামের রূপ সাধকের মনে॥ ময়ূর করয়ে নৃত্য সব মেঘ দেখি। রাম দেখি সজ্জন যেমত হয় সুখী॥ সদা জলধারা পড়ে ধরণী-উপরে। সীতা লাগি যেমত রামের চক্ষু ঝোরে॥ সরসিজ-শোভাকর হৈল সরোবরে। যেমত শোভিত রাম সেবক-অন্তরে॥