পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারত—সঞ্জয়—১৪শ শতাব্দী। মোর পুত্রে জয় কৈল তাহাকে নিন্দসি। বৃহন্নলা নপুংসক তাহাকে প্রশংসি। মোর কথা হৈল তোহ্মার মনে অনাদর। কোন গুণে বৃহন্নলা প্রশংস বিস্তর। ব্রাহ্মণ না হইতে যদি লইতাম জীবন। এই বুলি পাশা ক্রোধে করিল ক্ষেপণ। একখান পাশা পুনি হাতের উলটে। হস্তবেগে পড়ে গিয়া কঙ্কের কপটে (১)॥ ললাটে পড়িয়া পাশা গলিত রুধির। সেই ক্ষণে চাপি ধরে রাজা যুধিষ্ঠির। (২) বিরাটের উপকার মনে কৈল হিত। ভূমিতে টলিব করি সেই যে শোণিত॥ বুঝিয়া সৈরিন্ধী তবে কঙ্কের আশয়। সুবর্ণের পাত্র আনি দিল সমুখয়॥ তাতে সমৰ্পিল রাজার সেই সে রুধির। দেখিয়া বিরাট রাজা হইল মর্ম্মপীড়॥ ব্রাহ্মণ শোণিত তবে দেখিয়া ততক্ষণ। মনেত পাইল ব্যথা বিরাট রাজন। তথাতে বিরাট পুত্র বৃহন্নলা সনে। নানান সঙ্গীত রসে আপন ভবনে॥ চতুর্ভিতে নানা বাদ্য দোষরি মোহরি। নানান মঙ্গলে বীরে প্রবেশিল পুরী॥ বৃহন্নলা চলি গেল অন্তঃপুর-মাঝে। পূর্ব্বমত সেই স্থানে রমণী-সমাজে। উত্তরাতে (৩) দিল নিয়া উত্তম বসন। দেখিয়া কুমারী হৈল আনন্দিত মন॥ দুর্য্যোধনের মস্তকের দিল নিয়া মণি। সেই মণি গলে দিল বিরাটনন্দিনী॥ (১) কপট =মস্তকের আচ্ছাদন=ললাট। (২) সেই শোণিত-বিন্দু যদি মৃত্তিকায় পতিত হইত, তবে পূর্বের এক প্রতিশ্রুতি অনুসারে অর্জন তখনই বিরাট-রাজাকে বধ করিতেন। (৩) উত্তরাকে। ፃ ጫ ుeసి পাশা ক্ষেপণ। রক্ত-ধারণ। উত্তরের বৃহন্নলা সঙ্গে পুরতে প্রবেশ এবং রাজসভায় ছদ্মবেশী যুধিষ্ঠিরদিকে সন্মান প্রদর্শন।