৬৩২ বৃষকেতুর উত্তরে ভীমের প্রসন্নতা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। অঘোর নরকে মোর হউক নিবাস। এ বলিয়া ভীমসেনে এড়য়ে নিশ্বাস॥ ভীমের বচন শুনি বোলে নরপতি। পাছু না বিচারিয়া প্রতিজ্ঞা করহ ভারতী॥ ংশয় বাসয়ে ভীম ভদ্রাবতী-জয়। একাকী যাইবা তুস্কি অশক্য রণয়॥ রাজাএ যদি এমত বোলে ভীমক (১) গৰ্জ্জন্ত। বৃষকেতু কর্ণপুত্র বুলিলন্ত॥ মোকে সঙ্গে নেয় ভীম তোহ্মার দোসর (২)। যৌবনাশ্ব জিনিমু মুঞি করিয়া সমর। ভীম বোলে বৃষকেতু তুস্কি মহাবীর। সুরাসুর সমরেত নির্ভয়-শরীর॥ কি পুনি তোহ্মার পিতা রণেত মারিল। তোর মুখ না চাহোম লজ্জায় আবরিল॥ ভীমের বচনে বৃষকেতুএ বোলন্ত। না করিলা অপকর্ম্ম শুন মতিমন্ত॥ উপকার কৈলা মোর জনক সংহারি। সদায় আছিল দুর্য্যোধনের সেবা করি। ধর্ম্ম হতে ভিন্ন হৈল পাণ্ডব তনয়। নিজ সঙ্গ এড়ি কৈল পরের প্রণয়॥ উপকার চিন্তি আহ্মি না চিন্তি প্রমাদ। স্বর্গে গেল বাপ মোর তোহ্মার প্রসাদ॥ এত যদি বৃষকেতু বলিল বচন। দুই হাতে ভীমসেনে কৈল আলিঙ্গন॥ সঙ্গে যাইতে তান দিল অনুমতি। মেঘবর্ণ বুলিলেক তবে মহামতি॥ অৰ্জুনের সঙ্গে তুহ্মি রহ এহি স্থানে। নৃপতিক রক্ষক হইয়া রহয় প্রধানে। এত যদি ভীমসেন কহিল বচন। মেঘবর্ণ কুমারে বোলন্ত ততক্ষণ॥ (১) প্রাচীন গাথা ও পালি ভাষার স্থায় প্রচীন বাঙ্গালায়ও নাম শব্দের পর এই ‘ক’ ( স্বার্থে ‘ক’ ) অনেক স্থলে দৃষ্ট হয়। (২) সহাঙ্গ।