মহাভারত-রাজেন্দ্র দাস-১৬শ শতাব্দী। &&& জন্মিয় উত্তম বংশে। কেবল আপনা দোষে কলঙ্ক রাখিল মুঞি ছার॥ রাজা হৈঞা মিথ্যা কহে ধর্ম্মে বা কেমতে সহে চন্দ্রবংশে হেন অনাচার। প্রথম যৌবন-কালে পতি মোকে ত্যাগিলে এবে গতি কি হৌক আহ্মার॥ পাপ কৈলে যেন ভোগে অন্ধকার হেন লাগে নানা ভয় হএ উপস্থিত। মনে মনে অনুভাই অপরাধ কিছু নাই মুঞি পাপী তাপী পৃথিবীত ৷ নিকটে নাহিক নাথ এ দুঃখ কহিমু কাত ধরণী বিদারি যাই তাত। অপমান লজ্জা ভয় কেহ্নে প্রাণে এত সএ শরীর কেহ্নে না হএ নিপাত॥ দুষ্মন্তের অঙ্গুরীয় প্রাপ্তি। একটি ধীবর মৎস্তের উদরে শকুন্তলার অঙ্গুরীয় প্রাপ্ত হয়, উহা দুষ্মন্তের মুদ্রা-যুক্ত। রাজকর্ম্মচারি-কর্তৃক ধৃত হইয়া ধীবর রাজ-সকাশে উপস্থিত হয়। অঙ্গুরীয় দেখিয়া মুনির শাপ মোচন হয় এবং রাজা শকুন্তলাকে স্মরণ করিয়া অনুতপ্ত হন। স্মৃতির উদয়। হাসিতে হাসিতে রাজা অঙ্গুরী লইল হাতে। শকুন্তলার বৃত্তান্ত যত স্মরিল মনেতে॥ স্বপ্ন অনুভব হেন চমকিত মন। সমুদ্রে তরঙ্গ যেন উঠে ঘনে ঘন॥ পাসরিতে যাত্র রাজা শাপ অনুভব। শকুন্তলা বিচ্ছেদ তার মনে হৈল সব। অনুক্রমে যত কথা স্মরিল রাজাএ। এক গুণ ভাবিতে সহস্র গুণে ধাএ॥ উন্মত্ত হইয়া যে বিকর্ম্ম করে লোক। শেষ কালেত স্মরি পুড়ে মহাশোক।