wግ © মহাদেবের স্তোত্র। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। অষ্টবসু নবগ্রহ অশ্বিনীকুমার। অস্তুর কিন্নর যক্ষ যত ছিল আর॥ পলাইয়া গেল যত ত্রৈলোক্যের জন। বিষঃ বদনে চাহে দেব ত্রিলোচন॥ দূরে হৈতে সব দেবগণ করে স্তুতি। রক্ষা কর ভূতনাথ অনাথের গতি॥ তোমা বিনা রক্ষে ইথে কেহ নাহি আন। সংসার হইল নষ্ট তব বিদ্যমান॥ রাখ রাখ বিশ্বনাথ বিলম্ব না সয়। ক্ষণেক হইলে আর হইব প্রলয়। দেবের বিষাদ শুনি কাকুতি বিস্তর। বিশেষে দহয়ে দেখি সকল সংসার। হৃদয় চিন্তিলা পূর্ব্বে কৈন্তু অঙ্গীকার। এবার মথহ সিন্ধু বচন আমার॥ আপন অর্জিত স্থষ্টি বিষে করে নাশ। হৃদয় চিন্তিয়া আগু হৈলা কৃত্তিবাস॥ সমুদ্র জুড়িয়া বিষ আকাশ পরশে। আকর্ষণ করি হর করিল গণ্ডুষে। দূরে হৈতে মুরাস্কর দেখয়ে কৌতুকে। করিল গরল পান একই চুম্বকে॥ অঙ্গীকৃত কারণ লৈলা ধর্ম্ম দেখাবারে। কণ্ঠেতে রাখিলা বিষ না লৈলা উদরে॥ নীলবর্ণকণ্ঠ অদ্যাপিহ বিশ্বনাথ। নীলকণ্ঠ নাম সেই হৈতে হৈল খ্যাত॥ আশ্চর্য্য দেখিয়া যত ত্রৈলোক্যের জন। কৃতাঞ্জলি করি হরে করয়ে স্তবন॥ তুমি ব্রহ্মা তুমি বিষ্ণু ধনের ঈশ্বর। যম স্বর্য্য সোম বায়ু তুমি বৈশ্বানর॥ তুমি শেষ বরুণ নক্ষত্র বস্থ রুদ্র।, তুমি স্বর্গ ক্ষিতি অধঃ পর্ব্বত সমুদ্র। যোগ ধ্যান বেদ শাস্ত্র তুমি যজ্ঞ যুপ। স্বষ্টি স্থিতি অন্তকারী তুমি তিন রূপ।