পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিমন্ত্রণ পাইয়া আনন্দ। স্বাক্ষসে মানুষে। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে বিভীষণ। পার্থমুখে বার্তা পাইয়া রাক্ষস-ঈশ্বর। হরষিতে লোমাঞ্চিত হৈল কলেবর॥ যেই কথা অনুবধি (১) কহে মুনিগণ। বসুদেব-গৃহে জন্ম হৈলা নারায়ণ॥ নিরন্তর চিত্তোদ্বেগ যাহা দেখিবারে। আপনি ডাকিলা তেহো কৃপা করি মোরে॥ সর্ব্বভূতে অন্তর্যামী সেবক-বৎসল। অনুগত জনে দেই মনোমত ফল। তার অনুগত আমি বুঝিনু ধারণে। ভৃত্য জানি আপনেতে (২) করিলা স্মরণে॥ এত ভাবি বিভীষণ হৃষ্টচিত্ত হৈয়া। যতেক সুহৃদগণ আনিল ডাকিয়া॥ শীঘ্র গতি সজ্জ হও নিজ পরিবারে। আমার সংহতি চল কৃষ্ণ দেখিবারে॥ দিব্যরত্ন আছে যত মোর ভাণ্ডারেতে। রথেতে তুলিয়া লহ কৃষ্ণেরে ভেটিতে॥ লোচনে দেখিব আজি কমল-লোচন। কোটিজন্ম-কৃত পাপ হইব বিমোচন। এত বলি রথে আরোহিলা লঙ্কেশ্বর। সঙ্গেতে চলিল লক্ষ লক্ষ নিশাচর॥ বাজায় বিবিধ বাদ্য রাক্ষসি-বাজনা। শত শত শ্বেতচ্ছত্র নানাবর্ণে বানা॥ দক্ষিণ দ্বারেতে উপনীত বিভীষণ। মিশামিশি হইল রাক্ষস-নরগণ॥ বিকৃতি-আকার যত নিশাচরগণ। বিস্ময় হইয়া সভে করে নিরীক্ষণ॥ দুই তিন মুণ্ড কার অশ্বপ্রায় মুখ। বক্রদন্ত দীর্ঘনাসা চক্ষু যেন কুপ॥ (১) অনুবধি =চিরকাল। (২) আপনিই।