মহাভারত—দ্বৈপায়ন দাস-১৭শ শতাব্দী। ৭২৯ কণ্টকের বন কোথা বিপুল বিস্তার। তাহাতে পড়িয়া কেহ কান্দয়ে অপার॥ কোন খানে করে কারে পাশেতে বন্ধন। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি আছে পাপিগণ॥ কোন খানে বিষ্ঠা-হ্রদে ফেলে কথো জনে। মস্তকে মুদ্রগর-ঘাত করে দূতগণে॥ এই মত প্রকারে পীড়িত পাপিগণ। দেখিয়া বিস্ময়-চিত্ত হৈলা তপোধন। হরিনাম মাধব গোবিন্দ দামোদর। নামের মাহtয়্য। এত বলি কর্ণে হাত দিল মুনিবর॥ এই শব্দ যত যত পাতকী শুনিল। শ্রুতমাত্র হৈতে নাম পাপ-মুক্ত হৈল। প্রেতমূর্ত্তি তেজিয়া হইল দিব্যকায়। দিব্য দিব্য বিমানেতে চড়ি স্বৰ্গ যায়॥ দ্বৈপায়ন দাসের মহাভারত। দ্রোণ-পর্ব্ব। যে পুথি হইতে এই অংশ উদ্ধৃত হইল, তাহ প্রায় ২০০ বৎসরের প্রাচীন। অর্জনের অভিমনু্য-বধ-বার্তা শ্রবণ। মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের নন্দন। সংগ্রামেতে অভিমন্ত্য হইল নিধন॥ সংসপ্তকে থাকি তাহ শুনিল অর্জন। কৃষ্ণে চাহে কহিতে লাগিলা ততক্ষণ॥ অবধানে শুন হরি আমার বচন। পূর্ব্ব-স্বচন। আজি মোর চিত্ত কেনে করে উচাটন॥ না জানি কি হইল আজি রাজা যুধিষ্ঠির। হাহাকার করে কেন সব যোদ্ধা বীর॥ হা হা অভিমন্ত্য বলি ডাকে বীরগণ। সমরে হইল কিবা পুঞ্জের মরণ॥ సె శి