অত্র রের রাজ-সভায় বার্তা প্রদান। নগরে প্রবেশ ও রাজক বধ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। এত বলি রাম কৃষ্ণ যান রাজ-পথে। কংসের ঠাঞী যান অক্রুর চড়ি নিজ রথে॥ প্রণতি করিয়া বলে শুন নৃপবর। আনিলত নন্দঘোষ রাম গদাধর। রাজ-কর লয়ে আজি রহিল নগরে। কালি প্রভাতে আসিব সাক্ষাৎ তোমারে॥ রাজাকে বলিয়া অক্রুর গেলা নিজ-ঘর। বালক সঙ্গতি হেথা খেলে দামোদর॥ কত দূরে রজক দেখি নন্দের নন্দন। বলিল পরিতে দেহ উত্তম বসন॥ শুনিয়া কৃষ্ণের বোল হাসিতে লাগিল। কেনরে পাপিষ্ট গোপ হেন বোল বল॥ থরতর বড় রাজা কংস নৃপবর। তার বস্ত্র পাখালি (১) আমি তার অনুচর॥ বনে থাক ধেনু রাখ না বুঝহ কথা। মরণকে ভয় নাহি হেন কহ কথা॥ পথ ছাড়ি পলা (২) বাট নন্দের কুমার। এখন শুনিলে তোর নাহিক নিস্তার॥ পুনরপি হেন কথা না কহিও আর। বস্ত্র লয়ে যাই আমি রাজার দুয়ার॥ রজকের বোলে কৃষ্ণের হাস্ত উপজিল। ঘাড়ে ধাক্কা মারি তার বস্ত্র কাড়ি নিল ৷ চুলে ধরিয়া তার মারিল আছাড়। ঠায় প্রাণ ছাড়ে তার চুর্ণ হৈল হাড়। নগর ঢুকিতে কৃষ্ণ রজক মারিল। দেখিয়া সকল লোক ত্রাস-যুক্ত হৈল। আর যত অনুচর চাপড়ে মারিয়া। লইল সকল বস্ত্র গোবিন্দ কাড়িয়া ৷ কোন কোন ভাল বস্ত্র পরিধান কৈল। ছাওয়ালেরে (৩) কতক দিয়া নগরে ফেলিল॥ প্রক্ষালন করি। তে পলাইল (৩) শিশুগণকে।