পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবত–মাধবাচার্য্য-১৬শ শতাব্দীর পূর্বাদ্ধ। ԳԵ-d জনে জনে ব্রজশিশু সব বিদ্যমানে। কুসুমে রচিত করে লৈয়া ধেনুবানে॥ তবে তাহ সভা লৈয়া দেব গোবিন্দাই। নবীন পল্লব-শষ্য রচিল তথাই॥ শয়ন করিল প্রভু ব্রজবাল-সঙ্গে। কেহ কেহ চরণ জাতিছে (১) রঙ্গে রঙ্গে। কেহ পাশে বসিয়া মধুর গীত গায়। কেহ কেহ নব পল্লবের দেয় বায়॥ শ্রীদাম সুদাম কৃষ্ণ-স্তোক-নাম লেখা।, এই সব বালক কৃষ্ণের প্রাণসখা॥ বালকগণের তালবলিতে লাগিলা তারা বলভদ্র-আগে। ভক্ষণের আকাঙ্কণ। এক বাক্য বলি ভাই যদি মনে লাগে॥ কথো দুরে আছে এক মহাতাল-বন। বড়ই প্রসিদ্ধ তাল কহে সর্ব্বজন॥ বড় বড় ফল তার দেখিতে সুন্দর। অমৃত-সমান স্বাদ ধরে বহুতর॥ পাকিয়া পাকিয়া যেই হয় পরিণত। সেই সেই খসিয়া পড়য়ে অবিদিত॥ তাহার আমোদে আমোদিত সেই বন। বড়ই লুবধ মন না যায় ধরণ॥ ধেনুক নামেতে অস্থর গন্ধর্ব্ব আকার। আছয়ে রক্ষক সেই লইয়া পরিবার॥ একে একে বল বীর্য্য জগতে বিদিত। তার তরে প্রাণী মাত্রে না যায় সেই ভিত॥ কহিল তোমারে শুন দুষ্টের নিধনে। চল যাই ফল খাই যদি লয় মনে॥ শুনিয়া কৌতুকে মহাবীর হলধর। ভকত-পীরিতি হেতু ধাইল সত্বর॥ বনে প্রবেশিল যেন মত্ত করিবর। গাছ নাড়া দিয়া তাল পাড়িল বিস্তর॥ (>) - টিপিয়া দিতেছে। )。