ভাগবত—নরহরি দাস—১৬শ শতাব্দী। b->° কি দিয়ে শুধিব ভাই তোমাদের ধার। বিষম সঙ্কটে প্রাণ দিলি কত বার॥ কি গুণ জনিস কানু কি গুণ জানিস। বিষম বিপদ নাশ কি করে করিস॥ সব সখীগণ সঙ্গে কানাই বলাই। গোবত্স লইএ নিজ নিকেতনে যাই॥ গৃহে প্রত্যাগমন। হেরি ব্রজগোপীগণ পাইল পরানন্দ। কুমুদ প্রকাশ যেন নিরখিয়ে চন্দ॥ নিমিথ অন্তর হৈলে কত যুগ বাসে। দিনান্তরে দরশনে রহে রসাবেশে॥ কৃষ্ণ-পাদ পদ্ম গোপী-আখি লুব্ধ ভৃঙ্গ। অনিমিখে পানে বাঢ়ে প্রেমের তরঙ্গ॥ নিজ নিজ ঘরে সব গেল শিশুগণ। সমাদরে যশোদা লইল বাছাধন॥ ক্ষীর সর ননী আদি খাদ্য দ্রব্য যত। গোপালে খাওয়ায় রাণী হয়্যা আনন্দিত॥ প্রলম্ব-নিধন আর দাবাগ্নি-বারণ। নিজ নিজ মা বাপে কহিল শিশুগণ ৷ স্তব্ধমান গোপ-গোপী শিশু-বাক্য শুনি। যশোদা-রোহিণী-সুতে দেবতুল্য মানি॥ হেন মতে ব্রজবাসী কৃষ্ণলীলা-রসে। বাঢ়য়ে আনন্দ সব দিবসে দিবসে॥ গুরু কৃষ্ণ বৈষ্ণব চরণ অভিলাষে। কৃষ্ণ-লীলামৃত দাস নরহরি ভাষে। ঋতু-বর্ণন। নিদাম্ব হইল গত বরিষা আইসে। রবিকর-তাপেতে তাপিত অষ্টমাস। তাপ দূরে গেল হৈল মেঘের প্রকাশ ৷ ঘন ঘন সঘনেতে মেঘের গৰ্জ্জন। দমকে দামিনী দুরদুর বরিষণ॥ eo)