পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবত—অভিরাম দাস–১৭শ শতাব্দী। বিষ জল থাঞা প্রাণ গেল সভাকার। না জানি কেমন মন্ত্রে করিলে উদ্ধার॥ অজাগর গরাসিলেক তাহে জীয়াইলে। এবার বিষম ভাই সঙ্কটে পড়িলে ৷ চারিদিকে অনল-পর্ব্বত ভয়ঙ্কর। পালাইতে পথ নাই পড়িল পাথর॥ এত দিনে অনলে পুড়িয়া প্রাণ যায়। তোমা বিনে গতি নাই না দেখি উপায়॥ অনলে পুড়িয়া মরি নাই দুঃখ হৃদি। তোমা হেন আর নাথ না মিলাব বিধি॥ না জানি কানাই ভাই কিবা মায়া জানে। ঐ গুণে পুড়া মরি না পুড়ি আগুনে। আমরা পুড়িঞ মরি তার নাঞি দায়। পাছে আগুনের আভা লাগে তোমার গায়॥ কি জানে বনের পশু পারিতি কি বুঝে। তবে কেনে তোমার পীরিতে মন মজে॥ হের দেখ ধেনু সব বাচ্ছা লঞা কোলে। তোমা পানে চাঞ। সব কান্দিছে আকুলে॥ ক্তের দেখ বন-জন্তু উভ মুখ হঞা। কান্দিছে সকল পশু তোমার মুখ চাঞ॥ মরি মরি কানু ভাই তারে নাঞি যাই। মইলে (১) তোমার লাগ পাছে নাঞি পাই॥ অনেক জনম তপ কর্যাছিলু দেখি। তোমা হেন ঠাকুর পাইল এই তার সাখী॥ যে হৌক সে হৌক কৃষ্ণ আমা সভাকার। তুমি মেনে প্রাণ লঞ যাহ আপনার॥ নন্দ-যশোদার প্রাণ গোকুলের চান্দা। ১ সভাকার প্রাণ তোমার ঠাঞি বান্ধা॥ বলিতে বলিতে কালু আইলা নিকট। তরাসে বরজ-শিশু করে ছটফট।, (১) মরিলে।