পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৫২ পদ্মপত্রের কুটার। হংস-দর্শন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। রাধী রাধা করি কেহ ডাকে তার কাণে। কেহ বলে রাইর বাহির হল্য প্রাণে॥ অগুরু চন্দন চুয়া দেখি সুশীতল। পদ্মপত্রে করি কেহ আনি দেয় জল ৷ ললিতা বসিলা তারে কোলেতে করিয়া। কেহ বা দেখয়ে তার কণ্ঠে হাত দিয়া॥ ধিকি ধিকি করে কণ্ঠে শ্বাস মাত্র আছে। কেহ বা বাতাস করে রয়্যা তার কাছে॥ সতত আছিল রাই বিরহিণী হঞা। কুকার্য্য করিলু মোরা বনেতে আসিয়া॥ একে সে নিকুঞ্জ তাথে কোকিলের ধ্বনি। তাহাতে কেমনে প্রাণ ধরে বিরহিণী॥ বিধি কৈল অবলা যে তাহে কুলবতী। কৃষ্ণের বিচ্ছেদে মোর হল্য হেন গতি॥ এই মতে গোপীগণ চৌদিকে বেড়িয়া। একদৃষ্টে রহে সবে রাই-মুখে চায়া॥ ললিতা ইঙ্গিত কৈল সব সর্থীগণে। একখানি কুড়া ঘর করহ নির্ম্মাণে॥ তাহার আদেশে কাষ্ঠ আনিল তুরিতে। নিরমাঞা কুড়া ঘর ছাইল পদ্মপাতে॥ পদ্মপাতের শয্যা তাথে শোয়াইয়া। পুষ্প আচ্ছাদনেতে রাখিল রাই লইয়া। তবেত ললিত উঠি করিলা গমন। যমুনার তীরে গিয়া দিলা দরশন। দাণ্ডাইয়া যমুনার তরঙ্গ দেখিতে। হেন কালে হংস বক আইলা আচম্বিতে॥ অতি মনোহর রূপ দেখিতে সুন্দর। সেই মুখে আইসে হংস গমন মন্থর॥ আসি উত্তরিলা সেই ললিতা-সম্মুখে। যমুনার জল দেখি পান কৈল মুখে। কুড়া এক নিরমাঞ তাথে আইলাঙ শোয়াইয়া সব সখী খু্যা তার পাশে।