ভাগবত—আচু্যত দাস–১৭শ শতাব্দী। bやか○ নেত পাট দিয়া সর্ব্ব ঘর আচ্ছাদনে। এমন কখন বাপু না শুনিল কাণে॥ ঘরে ঘরে পতাকা বান্ধিল শত শত। এমন ন কৈল কেহ রাজা হৈল যত॥ সেইত কুটিল-বুদ্ধি জানি সর্ব্ব দিনে। এইত নিমিত্তে তাপী হইলু বড় মনে॥ আর এক কথা মুঞি কহিলু অক্ররে। সেইত হইল বড় মনের ভিতরে॥ চানুৱ মুষ্টিক নামে দুই মহাবলে। খুইল আপন কাছে সেই কুটছলে। রাম কৃষ্ণ কহে পিতা না কর বিচারে। ধনুর্ম্ময় যজ্ঞ চল যাই দেখিবারে॥ তাহার কুটিল বুদ্ধি নাহি কোন ভয়। ত্রৈলোক্য আমার বশ জানিহ নিশ্চয়॥ সকল গোকুলে তুমি দেহত ঘোষণা। রামকৃষ্ণের মথুরাগমনে কালি চল যাব দেখা করি সর্ব্বজন॥ ইচ্ছা ও উদ্যোগ। দধি দুগ্ধ ঘৃত ক্ষীর লহ ভার শত। সভে মেলি চল যাব ব্রজে আছি যত॥ নন্দ বলেন শুন বাপু না যাইহ তথারে। লুকাইয়া থোব তোমা চল অন্তত্তরে॥ আমা সভাকার প্রাণ তোরা দুই ভাই। কোন বিঘ্ন হইলে মোরা মরিব সভাই॥ দধি দুগ্ধ ঘৃত ক্ষীর আর রাজকর। তোমা বিনে যাঙ পাছে রাজার গোচর। তবে যদি তোমা দোহা চাহে পুনর্ব্বার। তখন যে জান তাহা করিহ বিচার॥ রাম কৃষ্ণ কহে কিছু না করিহ মনে। সর্ব্বথা যাইব মোর রাজ-দরশনে॥ তবেত জানিল নন্দ বচন নিশ্চয়। অবহু যাইব কৃষ্ণ যজ্ঞ ধনুর্ম্ময়॥ ডাকিঞা বাইতি রাজ্যে দিলেক ঘোষণা। কালি যাব কর লইঞা আইস সর্ব্বজন॥