বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রবাদমালা (১৮৬৮)/ব

উইকিসংকলন থেকে
জেমস লঙ সম্পাদিত
(পৃ. ৭৮-৯০)
◄  
  ►

  1. বউ কাঁট্‌কি শ্বাশুড়ী।
  2. বকা ধার্ম্মিক।
  3. বজ্র আটনি ফস্‌কা গিরে।
  4. বড় নাক তার গোঁফের শোভা।
  5. বড় গাছেই ঝড় লাগে।
  6. বড় বড় বানরের বড় বড় পেট।
    লঙ্কা ডিঙ্গাতে মাথা করে হেঁট॥
  7. বড় বাইড় ভাল নয়।
  8. বড় বাড়ী, তার আবার টাক্‌শাল।
  9. বড় বিয়ে তার দুপায়ে আল্‌তা।
  10. বড় মাছের কাঁটাও ভাল।
  11. বড় ভাইয়ের মাগ নাই, সেই ভাবনায় ঘুম নাই।
  12. বড় ভাত, তার ডাইন হাত।
  13. বড় হবে তো ছোট হও।
  14. বড় হাঁড়ীর আমানি মিঠা।
  15. বড় বড় হাতী গেল তল, এখন কাণাঘোড়া
    বলে কত খানি জল। অথবা গাধা বলে আমার এত বল।
  16. বড় বড় হাতী গেল তল।
    বেটোঘোড়া বলে হাঁটু জল॥
  17. বড় হাঁড়ীর তলা।
  18. বড় ক্ষুধায় পাট্‌কেলে কামড়।
  19. বড়র প্রীতি বালির বাঁধ।
    ক্ষণে হাড়ে দড়ি, ক্ষণেক চাঁদ॥
  20. বন গাঁয়ে শিয়াল রাজা।
  21. বনে আগুণ দিলে বন পোড়ে,
    কিন্তু মূল পোড়ে না।
  22. বনে গেলেও রাগীর সুখ নাই।
  23. বয়সে গাছ পাতর নাই।
  24. বর নয়, যেন চোর।
  25. বর নাচে বরণী নাচে কন্যার হরিয়া মন।
    মাথায় মাথায় ভাবনা যার, দিতে হবে পণ॥
  26. বরের ঘরের মাসি, কন্যের ঘরের পিশী।
  27. বর্ণ চোরা মানুষ। (বা আম)
  28. বল্‌তে পারি পদে পদে।
    বল্‌তে দেয়না ফট্‌কে মদে॥
  29. বলদে আর বর্ব্বরেতে সৃষ্টি করে রক্ষা
    চতুর পণ্ডিত জনে দেয় লোক শিক্ষা॥
  30. বল্‌ বল্‌ বাহুর বল্‌, জল জল মেঘের জল
  31. বলিলে মা মারি খায়।
    না বলিলে বাপ্‌ বেঙ্‌ খায়॥
  32. বলেছিলাম হৈল না, ঘরে গিয়ে খা।
  33. বলে দুদ্‌, বেচে ঘোল।
  34. বসিতে জানিলে উঠিতে হয় না।
  35. বসিতে জায়গা পেলে, শোবার স্থান মেলে।
  36. বসিলে দণ্ড দাঁড়ালে ক্রোশ।
    পথ বলে আমার কিসের দোষ॥
  37. বসে খেলে কুলায় না, কর‍্যে খেলে ফুরায়না।
  38. বসে না থাকি বেগার খাটি।
  39. বহ্বারন্তে লঘুক্রিয়া।
  40. বাঁদি মারিতে মঙ্গলবার।
  41. বাঁধা কাঁকড়া জীবনের বৈরী।
  42. বাঁধা ছাগল ছেলের বশ।
  43. বাঁশ বনে ডোম কাণা।
  44. বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে বুলে।
  45. বাঁশী হারায়ে শিঙ্গায় ফুঁ।
  46. বাঁশের চেয়ে কন্‌চি টন্‌ক (বা দড়)।
  47. বাকস্‌ বামণ বাঁশ। তিনে করে বাস্তু নাশ॥
  48. বাঘ রাজার মন্ত্রী দাঁড়কাক।
  49. বাঘে খায় তাহাতে দায় নাই, কিন্তু কাঁটাবন দিয়ে হেঁছড়ে নিয়ে যায় সে বড় ভয়।
  50. বাঘে ছুঁলে আঠার ঘা।
  51. বাঘের গো বধ।
  52. বাঘের ঘরে ছাগের বাসা। (বা ঘোগের বাসা)
  53. বাঘের বাপের শ্রাদ্ধ।
  54. বাঘের ভয় যেমন তেমন, টিপ্‌টিপির ভয় বড়।
  55. বাঙাল মনুষ্য নহে, উড়ে এক জন্তু।
  56. বাছার কি দিব তুলনা। মায়ের হাতে
    তুলের দাঁড়ী, মাগের কানে সোণা॥
  57. বাছার কিবা মুখের হাঁই,
    তবু হলুদ মাখেন নাই।
  58. বাছার গুণে আইসে ঘুম, কত কব লীলা।
    বাপের গলায় শিকল দিয়া, মায়ের ভাঙ্গে পীলা॥
  59. বাজনার সঙ্গে কথা কহা।
  60. বাড়িতে পায়না শাক সিজনা।
    ডাক দিয়ে বলে ঘি আন্‌ না॥
  61. বাড়ীর কাছে কামার।
    দা গড়্যে দে আমার॥
  62. বাড়ীর গাছা, পেটের বাছা।
  63. বাড়ীর বালাই বুড়ী, পেটের বালাই মুড়ি।
  64. বাড়ীর শত্রু কাণা, জলের শত্রু পানা।
  65. বাণিজ্য কর্তে গিয়া লাভে মুলে হারান।
  66. বাতাসে হাঁড়ী ঠন্‌ ঠন্‌ করে।
    রাজার বেটা পক্ষী মারে॥
  67. বাদল বামণ বান। দক্ষিণে পেলে যান।
  68. বাদুড় চোষা কলা।
  69. বাধা না মানে গাধা।
  70. বানরের গলায় ঘণ্টা।
  71. বানরের গলায় সোণার হার।
  72. বানরের মুষ্টি।
  73. বানরের হাতে খন্তা।
  74. বানরের হাতে খন্তা দিয়া বুদ্ধি বোধ করা।
  75. বানরের হাতে দর্পণ।
  76. বানরের হাতে সুন্দর আম।
    বানর বলে রাম রাম॥
  77. বানুরে কীর্ত্তন।
  78. বানের আগে জেলেডিঙ্গি।
  79. বাপ পিতামহের নাম গেল,
    হৃদে জোলার নাতি।
  80. বাপ্‌কা বেটা সেপাইকা ঘোড়া।
    কিছু নহেতো থোড়া থোড়া॥
  81. বাপের উপরোধে বিমাতাকে গড়।
  82. বাপের কালে নাইক গাই।
    চালুনী নিয়ে দুইতে যাই॥
  83. বাপের কালে নাহি চাষ।
    বিড়াল বেঁধে করে চাষ॥
  84. বাপের নাম জানেনাকো কুলীন হৈতে চায়।
  85. বাপের বিয়ে খুড়োর নাচন।
  86. বাব্‌লা পুরীয়া বিচার।
  87. বাবাজীকে বাবাজী, তরকারীকে তরকারী।
  88. বাবু বড় ভাগ্যবান্‌।
    সাত বেঁড়ে লাঙ্গল একখান॥
  89. বাবুর যত সুখ তা এক আঁচড়ে বুঝা গেছে।
  90. বাবুর বড় হাসি। সাত দিন উপবাসী॥
  91. বামণ গেল ঘর, লাঙ্গল তুলে ধর।
  92. বামণ চোষা কল্‌কে, কায়েথ চোষা গাঁ।
  93. বামন হইয়া চাঁদে হাত।
  94. বামনের চাঁদ ধরিবার আশা।
  95. বায়ুর সঙ্গে কথা কয়।
  96. বার নারিকেলে তের ব্রাহ্মণের ঘাড় ভাঙ্গা।
  97. বারমাসে তের পার্ব্বণ।
  98. বার রজপুত তের হাঁড়ী।
    কেউ না খায় কারুবাড়ী॥
  99. বারহাত কাঁকুড়ের তেরহাত বীচি।
  100. বারহাত কাপড়ের তেরহাত দশী।
  101. বারে বারে মুর্‌গী তুমি খেয়ে বেড়াও ধান।
    এই বার মুর্‌গী তোর বধিব পরাণ॥
  102. বার্দ্ধক্যে বানরাকৃতি।
  103. বালক কালে ছোঁড়া ছঁড়ী। যুবাকালে
    মাগি মিন্‌সে, বৃদ্ধকালে বুড় বুড়ী॥
  104. বালকেই চাঁদ ধরিতে যায়।
  105. বালকের রোদন বল।
  106. বালকের হাতে খন্তা।
  107. বালির বাঁধ কতক্ষণ থাকে।
  108. বালির বাঁধে বন্যার জল আট্‌কে না।
  109. বালির বাঁধ শঠের প্রীতি, এই দুয়ের এক রীতি।
  110. বাহাত্তুরে কায়েথ।
  111. বাহাত্তুরে হৈলে কথার ঠিক থাকে না।
  112. বাহিরে যত্‌নী পানা, ভিতরে মালখানা।
  113. বাহিরেতে হাসি খুসি। অন্তরে গরল রাশি।
  114. বিচারে পণ্ডিত, আচারে ভূত।
  115. বিড়াল তপস্বী।
  116. বিড়াল যেমন শীকারী, তার গোঁফের ধরণে চিনা যায়।
  117. বিড়ালের ঝক্‌ড়া।
  118. বিড়ালের ভরসা, শিকায় ঘোল।
  119. বিড়ালের ভাগ্যে ছিকা ছিঁড়িয়াছে।
  120. বিদ্যানিধি ভট্টাচার্য্যের পূজায় বড় ঘটা।
    বাঁশের পাতায় নৈবেদ্য, কচুর ডাঁটা পাঁটা॥
  121. বিদ্যারত্নং মহাধনং।
  122. বিদ্যাহীনো দ্বিজাধমঃ।
  123. বিদ্যৈব ভূষণং পুংসাং।
  124. বিদ্বান্‌ সর্ব্বত্র পূজ্যতে।
  125. বিধবার ভাগ্যে হাটেও সিন্দূর নাই।
  126. বিধি যদি করে মন। পুত বিউতে কত ক্ষণ॥
  127. বিধির বিপাক।
  128. বিধির মনে যা আছে, তাহাই হবে।
  129. বিনা দানে মথুরা পার নাই।
  130. বিনা বজ্রপাতে রাম নাম কেহ বলে না।
  131. বিনা বাতাসে গাছ লড়ে না।
  132. বিনা মেঘে বজ্রাঘাত।
  133. বিনা মেঘে বর্ষণ।
  134. বিনা সম্বলে পথ চলা।
  135. বিনা সাহসে কিছুই লভ্য হয় না।
  136. বিপত্তি কালে বিপরীত বুদ্ধি।
  137. বিপদ্‌ কালে ছাগলে চাইট্‌ মারে।
  138. বিমাতা বিষের ঘর।
  139. বিয়ে করিতে কড়ি, ঘর বান্ধিতে দড়ি।
  140. বিয়ে নয় উলোমালা।
    হাঁড়ী খাগী বলে এই বেলা॥
  141. বিয়ে ফুরালে অধিবাস।
  142. বিয়ে ফুরালে আলপোনা।
  143. বিয়ে ফুরালে দধি মঙ্গল।
  144. বিয়ে ফুরালে বাদ্য বাজে।
  145. বিলম্বে কার্য্য সিদ্ধি।
  146. বিশে পাগ্‌লা বলে, চণ্ড্যে পাগ্‌লা আস্‌ছে।
  147. বিশ্বকর্ম্মা যত কারিগর, তাহা জগন্নাথ দিয়া জানা যায়!
  148. বিশ্বকর্ম্মার বেটা বাইশ কর্ম্মা।
  149. বিশ্বাসো নৈব কর্ত্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষুচ।
  150. বিষ নাই কুলপানা চক্র।
  151. বিষস্য বিষমৌষধং।
  152. বিষাদপ্যমৃতংগ্রাহ্যং।
  153. বিষে বিষ ক্ষয়।
  154. বিস্তর দেখেছি চুরি কর্ত্তে।
    এমত দেখিনি বোঁচ্‌কা ভর্ত্তে॥
  155. বিস্তর যত্নে করিলাম ঘর।
    তবু মোরে ভাবে পর॥
  156. বুকে বস্যে দাড়ি উপড়ান।
  157. বুঝ্‌লাম তোমার গিন্নিপানা।
    তেল থাকে ত লুণ থাকে না॥
  158. বুড় দাদাকে গায়ত্রী শিখান।
  159. বুড় নয়কো, রসের গুঁড়।
  160. বুড় বয়সে দাড়িপানা।
    না হয় সুখ কেবল যাতনা॥
  161. বুড় বয়সে ধেড়ে রোগ।
  162. বুড়, বাপের খুড়।
  163. বুড়র মাথায় শালিক নাচে।
    আর কি বুড়র বয়স্‌ আছে॥
  164. বুড় মেরে খুনের দায়।
  165. বুড়ামি করা।
  166. বুড়া শালিক কি পোষ মানে।
  167. বুড়া শালিকের ঘাড়ে রোঁয়া।
  168. বুড়া হৈলে বুদ্ধি শুদ্ধি লোপ পায়।
  169. বুড়ার হাড় ঔষধে লাগে॥
  170. বুড়ুলে বক চিনে না।
  171. বুদ্ধিতে কাঁচকলা।
  172. বুদ্ধি থাকিতে মাগের পাতে খায়।
  173. বুদ্ধিমান্‌ ইন্দুরের বিড়াল দেখে দৌড়।
  174. বুদ্ধির বৃহস্পতি।
  175. বুনোর আবার প্রাণ।
  176. বৃহন্নলা সারথির্যস্য কুতস্তস্য পরাভবঃ।
  177. বেঁড়েকে চমরী করা।
  178. বেঁধে মারে সয় ভাল।
  179. বেগারের দৌলতে (বা প্রসাদে) গঙ্গা স্নান।
  180. বেগুণ গাছে আঁকুড়্‌সি।
  181. বেজ বাণিয়া বোড়া। তিনে নষ্টের গোড়া।
  182. বেটা বড় বুদ্ধিমান।
    এক পিঁড়িতে পাঁচ মোকাম।
  183. বেটার বর মাঙ্গিতে গিয়ে, ভাতার খেয়ে আসা
  184. বেড়া নেড়্যে গৃহস্থের মন বুঝা।
  185. বেণা বনে মুক্তা ছড়ান।
  186. বেণ্যার দোকানে মেকি চালান।
  187. বেতালে আর মাতালে।
    সিংহে আর শৃগালে॥
  188. বেতালের উপর মারে তাল।
    যেন ভাদ্র মেসে তাল॥
  189. বেদ্যে চেনে সাপের হাঁচি।
  190. বেয়াল্লিশ কর্ম্মার বেটা তেতাল্লিশ কর্ম্মা।
  191. বেল পাকিলে কাকের কি।
  192. বেহায়ের যত তেল লবণের দুঃখ নাই,
    তাহা এক আঁচড়ে চেনা গেল।
  193. বেহাই যত ঘি খাও, তা এক
    আঁচড়েই বুঝা গেল।
  194. বেহায়ার নাই লাজ, নাই অপমান।
  195. বৈদ্যের চাউলে পথ্য।
  196. বোঁচা মুখে দাড়ি। বেড়ান বাড়ী বাড়ী।
  197. বোঁচার বেটা ছোঁচা।
  198. বোক্‌ড়া মারে বোক্‌ড়া খায়।
  199. বোক্‌ড়ার কড়ি, বোক্‌ড়ায় যায়॥
  200. বোঝার উপরে শাক আটি।
  201. বনে থেকে বেরুল টিয়ে।
    সোণার টোপর মাথায় দিয়ে॥
  202. বোবার কাণের কাছে, গীত গাওয়া।
  203. বোম্‌ বোম্‌ হেঁদু হৈলাম।
  204. বোয়াল মাছের ডিম।
  205. বোল্‌দের বাই, দিলেই পাই।
  206. বৌড়ি হৈয়ে গিন্নি হয়, তার বড় ফর্‌ ফরাপি।
  207. ব্যাসের কাশী তৈয়ারি।
  208. ব্রহ্ম শাপে বংশ নষ্ট।
  209. ব্রাহ্মণের ঘরে মূর্খ হৈলে, ক্রিয়া পণ্ড করে।
    রোজার ঘরে মূর্খ হৈলে, রোগীর দফা সারে॥