প্রবাদমালা (১৮৬৮)/য

উইকিসংকলন থেকে
জেমস লঙ সম্পাদিত
(পৃ. ১০৬-১১৫)
◄  
  ►

  1. যএব লোকঃ সএব ধর্ম্মঃ।
  2. যখন কপাল মন্দ হয়, বন্ধুজনে মন্দকয়।
  3. যখনকার যেমন, আউষ ফুরালে আমন।
  4. যখন যেমন, তখন তেমন।
  5. যখন যেমন, তখন তেমন জাগ্‌লেই তো তরি।
    নির্ধনের কুল নাশ, কড়ির বশ নারী॥
  6. যখন যার কপাল বাঁকে, দুর্ব্বাবনে বাঘ ঝাঁকে।
  7. যত কয়, তত নয়।
  8. যত কুও আঁমের ক্ষয়,
    ভাল তেতুলের কিবা হয়।
  9. যত গর্জ্জায়, তত বর্ষেনা।
  10. যত চিল উড়ে গেল, বেঁড়ে চিল ধরা পড়্‌ল।
  11. যত ছিল নাড়া বুনে, সবাই হৈল কীর্ত্তুনে,
    কাস্তে ভেঙ্গে গড়ালে কর্ত্তাল।
  12. যত তর্ক্ক তত নর্ক্ক, বীচি গুণে কড়ি।
  13. যত দেখ চলাচল, সকলি কপালের ফল।
  14. যত বড় মুখ, তত বড় কথা।
  15. যত বয়স হচ্ছে চক্রবর্ত্তী।
    বুদ্ধি যাচ্ছে অধোগতি।
  16. যত হাসি তত কান্না। বলে গেছে রামশর্ণ্ণা।
  17. যত ক্ষণ বর্ষে, তত ক্ষণ ওষে।
  18. যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।
  19. যতোধর্ম্ম স্ততোজয়ঃ।
  20. যত্ন করিলে রত্ন মিলে।
  21. যত্নে কৃতে যদি ন সিধ্যতি কোত্র দোষঃ।
  22. যত্নে তৃণ কাষ্ঠ খান, রহে যুগ পরিমাণ।
  23. যথারণ্যং তথাগৃহং।
  24. যদন্নঃ পুরুষোরাজন্‌, তদন্নাঃ পিতৃদেবতাঃ।
  25. যদি আছে কাজ, তবে সকাল২ সাজ।
  26. যদিকিঞ্চিদ্বরে দোষঃ কিংধনেন কুলেন কিং।
  27. যদি দেখে আঁটা আঁটি।
    কান্দিয়ে ভিজায় মাটি।
  28. যতি পড়ে পাশা, তবে জেতে চাষা।
  29. যদি পাই রূপার কুচি,
    তবে মুচিকে করি গুচি।
  30. যদি পায় রাজ্য দেশ,।
    তবু না যায় বৃহস্পতির শেষ॥
  31. যদি শেওড়া তলায় আন পাই,
    তবে আমতলায় কেন যাই।
  32. যদি হয় কুজন, তবে নয় ঘরে ন জন।
  33. যদি হয় সুজন, তবে এক শয্যায় ন জন।
  34. যদি হরি পদে থাকে মান।
    তবে হৃদয় মাঝে বৃন্দাবন॥
  35. যদি হবে খাটি, তবে হও মাটি।
  36. যদি হারালে জাত, তবে হওগে কাত।
  37. যদেব রোচতে যম্মৈ ভবেত্তত্তস্য সুন্দরং।
  38. যম জামাই ভাগিনা, তিন নহে আপনা।
  39. যমের মার গঙ্গাস্নান।
  40. যস্মিন্‌দেশে দ্রুমোনাস্তি এরণ্ডোপি দ্রুমাযতে।
  41. যস্মিনদেশে যদাচার, পারস্পর্য্যং বিধীয়তে।
  42. যস্য দেবস্য যদ্রূপং তথা ভূষণ বাহনং।
  43. যস্যনাস্তি স্বয়ং প্রজ্ঞা শাস্ত্রংতস্য করোতি কিং।
  44. যাঁহা বাহান্ন, তাঁহা তিপ্‌পান্ন।
  45. যা কপালে পাছে তাই হবে।
  46. যাক্‌ প্রাণ, থাকুক মান।
  47. যাচা কন্যা কাচা কাপড়,
    পরিত্যাগ করিবে না।
  48. যত দোষ নন্দ ঘোষ।
  49. যাচিয়া মান, আর কান্দিয়া সোহাগ।
    তাতে হয় অপমান, লোকেতে করে বিরাগ।
  50. যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী।
  51. যাবজ্জীবন সম্বন্ধ।
  52. যায় শত্রু পরে পরে।
  53. যায় কর্ম্ম তারে সাজে, অন্য জনে লাঠি বাজে।
  54. যার গরুটা কাদায় পড়ে, তার দুণা বল হয়।
  55. যার গলা ধরে কান্দি, তার নাই চক্ষে পানী।
  56. যার গোষ্ঠীকে কুমীরে খায়।
    সে ঢেঁকি দেখিলে ডরায়।[১]
  57. যার গোয়ালে গরু, তার কথা সরু।
  58. যার গোলায় ধান, তার কথা টান।
  59. যার ঘরে ভাত, তার দোয়াড়ে মাছ।
  60. যার ছেলে যত খায়, তার ছেলে তত নাটায়।
  61. যার জন্যে চুরি করি সেই বলে চোর।
  62. যার ঝি তার জামাই, পাড়া পড়সীর কাটনা কামাই।
  63. যার দাঁত কাল তার সূতাভাল, তাইকে নিব বটেনি। আয় ঝমাঝম্‌ তাঁত বুনি।
  64. যার ধন তার ধন নয়, নেপো মারে দই।
  65. যার ধর্ম্মের ঠিক নাই, তার কর্ম্মের ঠিক নাই।
  66. যার নাই পুঁজি পাটা, সেই ষাউক্‌ বেলেঘাটা।
  67. যার বাক্‌সে টাকা, তার কথা বাঁকা।
  68. যার বিয়ে তার মনে নাই,
    পাড়া পড়সীর ঘুম নাই।
  69. যার বিষম তার মনে নাই।
    পাড়া পড়সীর ঘুম নাই।
  70. যার বেটার বিয়ে তার পাতে দই নাই।
  71. যার ভাল করিবে, তার মন্দ করিবে না।
  72. যার মনে যে লয়, দুগ্ধ বেচে মদ খায়।
  73. যার যখন কপাল ধরে।
    শুকনা ডেঙ্গায় ডিঙ্গি চলে।
  74. যার যে কথা নয়, সে যেন সে কথা না কয়।
  75. যার যেখানে ব্যথা, তার সেখানে হাত।
  76. যার যেমন মতি। তার তেমন গতি।
  77. যার যেমন মন, তার তেমন ধন।
  78. যার শিল তারি নোড়া,
    তারি ভাঙ্গে দাঁতের গোড়া।
  79. যার সঙ্গে যার মজে মন,
    কিবা হাড়ী কিবা ডোম।
  80. যার সরিষা তার তৈল, চেয়ে থাকে ভেল২।
  81. যার হাতে না খাওয়া যায়, সে বড় রন্ধনী।
    যার সঙ্গে না ঘর করা যায়, সে বড় গৃহিণী।
  82. যারে খায় কাল সাপে,
    কি করে তার ওঝার বাপে।
  83. যারে দেখ্‌তে না পারি, তার চলন বাঁকা।
  84. যারে বলে ভাজা চাল, তারে বলে মুড়ি।
  85. যারে লোকে না মারে, সে চাল্‌তা তলায় যায়।
  86. যাহার গলায় ঘা, সে বলে আমি বাঁচ্‌ব।
  87. যাহার নামে উপবাস, তাহার সঙ্গেতে প্রবাস।
  88. যাহার লুণ খাই, তাহার গুণ গাই।
  89. যাহার পায়ে ঘা, সে বলে আমি মর্‌ব।
  90. যাহার মরণ যেখানে।
    না ভাড়া কর‍্যে যায় সেখানে।
  91. যাহার হাতে আছে টাকা,
    তাহার কথা এঁকা বাঁকা।
  92. যাহারে না মারি হাতে,
    তারে কিন্তু মারি ভাতে।
  93. যে আইল যোগী, সে হইল সেকী।
  94. যে এক কাণ কাটা, সে গাঁর বার্‌ দিয়ে যায়।
    যে দুই কাণ কাটা, সে গাঁর ভিতর দিয়ে যায়।
  95. যে এলো চষ্যে, সে থাকিল বস্যে।
    যে এলো কোঁত্‌পেড়ে, তারে দেও ভাত বেড়ে।
  96. যে কাঁটায় মাপ, সেই কাঁটায় শোধ।
  97. যে কথা রটে, সে কথা বটে।
  98. যেখানে নাই মান, সেখানে ছাড়ি পাকাধান।
  99. যেখানে না চলে সূঁই,
    সেখানে চালাই বেটে।
  100. যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়।
  101. যে খেল্‌তে জানে, সে কাণা কড়িতেই খেলে।
  102. যেখানে ভাই ভাই, সেখানে ঠাঁই ঠাঁই।
  103. যেচে মান, কেন্দে সোহাগ।
  104. যে ছেলে ভাটা মারে, তার নাটা হেনচক্ষু।
  105. যেজন রসিক, তার নয়ন দেখ্‌লে চেনা যায়।
  106. যে জানে না উত্তর পূব, তার সদাই সুখ।
  107. যে ডালে বসে, সেই ডাল কাটে।
  108. যে দিকে জল পড়ে, সেই দিকে ছাতা ধরে।
  109. যে দেবতা গড়িতে পারে,
    সে বানরও গড়িতে পারে।
  110. যে দেশে কাক নাই, সে দেশে কি রাত্রি পোহায় না।
  111. যে দেশে বৃক্ষ নাই, সে দেশে এরণ্ডই বড় বৃক্ষ।
  112. যে দেশে কাপড় নাই,
    সে দেশে ধোপার কি আবশ্যক।
  113. যেন আদাহ, কাঁচকলা।
  114. যেন জোঁকের মুখে, চূণ পড়িল।
  115. যেন বাঘের মত, রৌদ্র জ্ঞান হয়।
  116. যেন সতী সাবিত্রী মাগ।
  117. যেনা জানে টিপ্‌ টিপার ঘা,
    তারে গিয়ে টিপ্‌ টিপা।
  118. যে পাতে খায় সে পাত ছেঁড়ে।
  119. যে পাতে খায়, সে পাতে বাহ্যে যায়।
  120. যে বেটি সতিনে পড়ে, ভিন্ন বিধি তারে গড়ে।
  121. যেমন আন্দিরাম, তেমনি যজমান।
  122. যেমন কর্ম্ম, তেমনি ফল।
  123. যেমন কুকুর, তেমনি মুগুর।
  124. যেমন গাল, তেমনি চড়।
  125. যেমন গুরু, তেমনি চেলা।
    টক্‌ঘোল তার ছেঁদা মালা॥
  126. যেমন তেমন গড়, চণ দিয়ে মোড়।
  127. যেমন তেমন চাকরী, ঘি ভাত।
  128. যেমন দান, তেমনি দক্ষিণা।
  129. যেমন দেব, তেমনি বাহন।
  130. যেমন দেবী, তেমনি দেব।
  131. যেমন নদীয়ার চাঁদ, তেমনি মুখের ছাঁদ।
  132. যেমন নেড়া, তেমনি নেড়ী।
    বনপুঁই শাঁক ছড়া হাঁড়ী।
  133. যেমন পাপ, তেমনি প্রায়শ্চিত্ত।
  134. যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল।
  135. যেমন ভূষণ, তেমনি বাহন।
  136. যেমন মতি তেমনি গতি, কাঁচকলাটা ভগবতী
  137. যেমন মন, তেমনি ধন।
  138. যেমন রাজ্যে করি ঘর।
    ল্যাংট হৈয়ে খাল পার॥
  139. যেমন শরা তেমনি হাঁড়ী,
    গড়্যে রেখেছে কুমার বাড়ী।
  140. যেমন হাঁড়ী, তেমনি শরা।
  141. যে মরিবে আপন দোষে,
    কি করিবে তার হরিহর দাসে।
  142. যে মরে সেই ভূত।
  143. যে মারে সেই যম।
  144. যে যা খায়, তাই তার ডেকুর উঠে।
  145. যে যারে ধ্যায়, সেই তারে পায়।
    ভাবুক না হৈলে, যত্ন না পায়।
  146. যে যারে দেখিতে না পারে।
    সে তাহাকে হাঁটিতে খোঁড়ে॥
  147. যে রক্ষক, সে ভক্ষক।
  148. যে রাথে সে কি চুল বাঁধে না।
  149. যে লঙ্কায় যায়, সেই রাক্ষস হয়।
  150. যেষামন্যাগতির্নাস্তি তেষাং বারাণসী গতিঃ।
  151. যে সয়, সেই রয়।
  152. যে সরিষায় ভূত ঝাড়ায়, সেই সরিষাই ভূত।
  153. যে হয় ঘরের শত্রু, সেই যায় বর যাত্র।
  154. যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে।
  155. যোড়া ভুরু নষ্টের গুরু।
  156. যোষস্য হৃদ্যো নহি তস্য দুরং।
  157. যৌবন কালে গর্দ্দভীকেও ভাল দেখায়।

  1. যার ছেলেকে কুমীরে খায়। ইতি দ্বিপাঠঃ