বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড)/১০৯

উইকিসংকলন থেকে

শিরোনাম সূত্র তারিখ
ভাসানীর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বক্তব্যভিত্তিক লিফলেট মাওলানা ভাসানী ২৬শে মার্চ, ১৯৫৭

আওয়ামী লীগ কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আবেদন

ভাইসব,

 উভয় পাকিস্তানের সংহতি ও মিলন নির্ভর করে একমাত্র আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন দানের উপর।

 আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ব্যতীত সারে চার কোটি বাঙ্গালীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সমাজ জীবনের মুক্তি অসম্ভব।

 আওয়ামী লীগের মাধ্যমে নোও-জওয়ান, ছাত্র, চাষী, মজুর, শিল্পী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষক সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে ২১ দফার অন্যতম দফা আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন শুরু করুন।

 গদীর মোহে মুসলিম লীগের সহিত হাতে মিলাইয়া যাহারা সাড়ে ৪ কোটি বাঙ্গালীকে চিরকালের জন্য কৃতদাস বানাইতে, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবী বিসর্জন দিয়া পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র পাস করিয়াছিল, তাহারাই পুনরায় সাম্রাজ্যবাদীর ও কোটিপতি শোষকদের সহিত হাত মিলাইয়া বর্তমানে আমারও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে বিবৃতি, পোষ্টার, বিজ্ঞাপন ছড়াইয়া সারাদেশময় মিথ্যা প্রচার শুরু করিয়াছে। এই সব কুচক্রীদের দেশবাসী ভাল করিয়াই চিনে। তাহারাই গত নয় বৎসর ধরিয়া পূর্ব পাক তথা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক কাঠামোকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলিয়া দিয়াছে।

 কিন্তু রাখে আল্লা মারে কে? মিথ্যা প্রচারে কর্ণপাত না করিয়া ২১ দফা দাবী আদায়ের জন্য সারা দেশময় আন্দোলন করুন।

 পাকিস্তানের রাজধানী করচী হইতে স্থানান্তরিত করা হইল, পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ জন অধিবাসীর দাবী পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত করিতে হইবে। ইতি

আরজ গুজার-
মঃ আবদুল হামিদ খান ভাসানী