বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ২৭, ২০১৬

উইকিসংকলন থেকে

রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১

বাংলাদেশ        গেজেট
 অতিরিক্ত সংখ্যা
 কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত



 বুধবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৬




গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
প্রজ্ঞাপন
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ ১৪২৩/২৭ এপ্রিল ২০১৬


 নম্বর-০৪.০০.০০০০.৪২১.৮৪.০৪৩.১৬.০৮৩— গত ২১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেণ্ট জিম ইয়ং কিম কর্তৃক ‘জাতিসংঘের পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল’-এর সদস্য হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ১০ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং দু’জন বিশেষ উপদেষ্টাবিশিষ্ট এ প্যানেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।

২। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত প্যানেলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে। তাঁর সফল নেতৃত্ব সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হচ্ছে। তাঁর এ অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে মন্ত্রিসভার ১২ বৈশাখ ১৪২৩/২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখের বৈঠকে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

৩। মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত উক্ত অভিনন্দন প্রস্তাব সকলের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে
মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব

মন্ত্রিসভার অভিনন্দন প্রস্তাব

 ১২ বৈশাখ ১৪২৩
ঢাকা:-------------------
 ২৫ এপ্রিল ২০১৬

 গত ২১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেণ্ট জিম ইয়ং কিম কর্তৃক ‘জাতিসংঘের পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল-এর সদস্য হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ১০ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং দু’জন বিশেষ উপদেষ্টাবিশিষ্ট এ প্যানেল দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।

 গত জানুয়ারিতে সুইজারল্যাণ্ডের দাভোসে বিশ্বব অর্থনৈতিক ফোরামের সভা থেকে এ প্যানেলের যাত্রা শুরু। ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৬’-এর। বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ সুসংহত করাই এ প্যানেলের লক্ষ্য। সবার জন্য পানি ও স্যানিটেশনের সহজলভ্যতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই প্যানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও নগরায়ণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন পানিসম্পদের ওপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমান বিশ্বে ২৪০ কোটি মানুষ উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অনূ্যন ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ সুপেয় পানি সুবিধার বাইরে রয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, সুপেয় পানি এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে বছরে প্রায় পৌনে সাত লক্ষ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে এবং অনেক দেশে প্রতিবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ ক্ষতিসাধন হচ্ছে। বন্যা, খরা এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে পানির সংকটাপন্ন অবস্থা নিকট ভবিষ্যতে চরম পর্যায়ে পৌছাবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে পানির প্রাপ্যতা শতকরা ৪০ ভাগ গ্রাস পাবে। বিরাজমান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাবের ফলে সমগ্র বিশ্ব এখন হুমকির সম্মুখীন।

 বর্ণিত প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের পানিবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল জলবায়ু ও পরিবেশের উপযুক্ত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় নেতৃত্ব প্রদান করবে এবং পানিসম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতঅন্তর্ভুক্তি ও সহযোগিতামূলক কর্মপন্থা নির্ধারণের মাধ্যমে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধায় সকলের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে।

 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত প্যানেলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে। তাঁর সফল নেতৃত্ব সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হচ্ছে। এ সম্মান সমগ্র বাঙালি জাতির মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে। তাঁর এ অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করার জন্য মন্ত্রিসভা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছে।


মোঃ আন্দুল মালেক, উপপরিচালক, বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়, তেজগাঁও, ঢাকা কর্তৃক মুদ্রিত।

মোঃ আলমগীর হোসেন, উপপরিচালক, বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস,

তেজগাঁও, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত। website: www.bgpress.gov.bd

এই লেখাটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কপিরাইটের অধীন। যদিও কপিরাইট আইন, ২০০০ অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ কিছু প্রকাশনা বা তার পুনরুৎপাদন কপিরাইট লঙ্ঘনে অভিযুক্ত হবে না:

৭২ নিম্নলিখিত কার্যগুলি কপিরাইট লংঘন হইবে না, যথা:-
(থ) নিম্নে বর্ণিত বিষয়ের পুনরুৎপাদন অথবা প্রকাশনা, যথা:-
(অ) জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন ব্যতীত সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইয়াছে এমন যে কোন বিষয়;
(আ) সরকার কর্তৃক পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করা না হইলে, সরকার নিযুক্ত কমিটি, কমিশন, কাউন্সিল, বোর্ড বা অনুরূপ অন্যান্য সংস্থার রিপোর্ট পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ;
(ই) ভাষ্য সহকারে পুনরুৎপাদিত বা প্রকাশিত হইয়াছে জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত এমন কোন আইন;
(ঈ) সংশ্লিষ্ট আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যান্য বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুনরুৎপাদন বা প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা না হইলে, উক্ত আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের রায় বা আদেশ পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ;
(দ) নিম্নে বর্ণিত অবস্থায় জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন এবং তদধীনে প্রণীত কোন বিধি অথবা আদেশের যে কোন ভাষায় অনুবাদ তৈরী বা প্রকাশনা, যথা:-
(অ) উক্ত ভাষায় অনুরূপ আইন বা বিধি বা আদেশের অনুবাদ ইতোপূর্বে সরকার কর্তৃক তৈরী বা প্রকাশিত না হওয়া; অথবা
(আ) উক্ত ভাষায় অনুরূপ আইন বা বিধি বা আদেশের অনুবাদ ইতোপূর্বে সরকার কর্তৃক তৈরী ও প্রকাশিত হইয়া থাকিলে, অনুবাদটি জনগণের কাছে বিক্রয়ের জন্য মজুদ নাই:
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ অনুবাদের উল্লেখযোগ্য স্থানে এই মর্মে একটি বিবৃতি থাকিতে হইবে যে, অনুবাদটি সরকার কর্তৃক প্রামাণিক মর্মে অনুমোদিত বা গৃহীত হয় নাই;
এই লেখাটি যারা নিজেদের প্রয়োজনে পুনঃব্যবহার করতে চান, তাঁদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বেশ কিছু কার্যের পুনরুৎপাদন নিষিদ্ধ।