পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২১০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট গুগল ওসিআর থেকে প্রাপ্ত লেখা যোগ করছে
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:২৮, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‛ > ዓõ শবদ তত্ত্ব আমি যে নির্বিচারে চিহ্নস্বয়যজ্ঞের জনমেজয়গিরি করতে বসেছি তা মনে করো না । কোনো কোনো স্থলে হাইফেন চিহ্নটার প্রয়োজন স্বীকার করি। অব্যয় “যে” এবং সৰ্ব্বনাম “যে” শব্দের প্রয়োগভেদ বোঝাবার জন্তে আমি হাইফেনের শরণাপন্ন হই । “তুমি যে কাজে লেগেছ” বলতে বোঝায় তুমি অকৰ্ম্মণ্য নও, এখানে “যে” অব্যয় । “তুমি যে কাজে লেগেছ” এখানে কাজকে নির্দিষ্ট করবার জন্য “যে” সৰ্ব্বনাম বিশেষণ। প্রথম “যে” শব্দে হাইফেন দিয়ে “তুমি”-র সঙ্গে ও দ্বিতীয় “ষে”-কে “কাজ” শব্দের সঙ্গে যুক্ত করলে অর্থ স্পষ্ট হয়। অন্যত্র দেখো,—“তিনি বললেন যে আপিসে যাও, সেখানে ডাক পড়েছে।” এখানে “যে” অব্যয়। অথবা তিনি বললেন “যে আপিসে যাও সেখানে ডাক পড়েছে।” এখানে “যে” সৰ্ব্বনাম, আপিসের বিশেষণ। হাইফেন চিহ্নে অর্থভেদ স্পষ্ট করা যায়। যথা, “তিনি বললেন-যে আপিসে যাও, সেখানে ডাক পড়েছে।” এবং “তিনি বললেন যে-আপিসে যাও সেখানে ডাক পড়েছে।” > aᏬᎼ