পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/১৪৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:৫৬, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লী-সমাজ কিছু না। অাহিক করতে বসে ত সাতবার উঠলে—যাও না, ওটা সেরে ফেল না—রান্নাবান্না কি হবে না ? বলিতে বলিতে রমা নিজেও বাহির হইয়া আসিঙ্গ এবং কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া বারান্দা পার হইয়া ওদিকের ঘরে গিয়া প্রবেশ করিল। বেশী শুল্কমুখে চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিল, ব্যাপার কি মাসী ? কি করে জানব বাছা ! ও রাজরাণীর মেজাজ বোঝা কি আমাদের মত দাসী-বাদীর কৰ্ম্ম! বলিয়া ক্রোধে, ক্ষোভে তিনি মুখখান কালিবর্ণ করিয়া তাহার পূজার আসনে গিয়া উপবেশন করিলেন এবং বোধ করি বা মনে মনে ভগবানের নাম করিতেই লাগিলেন। বেণী ধীরে ধীরে প্রস্থান করিলেন । ২ এই কুঁয়াপুরের বিষয়টা অজিত হইবার একটু ইতিহাস আছে, তাহা এইখানে বলা আবশ্বক। প্রায় শতবর্ষ পূৰ্ব্বে মহাকুলীন বলরাম মুখুয্যে তাহার মিতা বলরাম ঘোষালকে সঙ্গে করিয়া বিক্রমপুর হইতে এদেশে আসেন। মুখুয্যে শুধু কুলীন ছিলেন না, বুদ্ধিমানও ছিলেন । বিবাহ করিয়া, বৰ্দ্ধমান রাজ সরকারের চাকরি করিয়া এবং আরও কি কি করিয়া এই বিষয়টুকু হস্তগত করেন। ঘোষালও এই দিকেই বিবাহ করেন। কিন্তু পিতৃঋণ শোধ করা ভিন্ন আর র্তাহার কোন ক্ষমতাই ছিল না ; তাই দুঃখে-কষ্টেই তাহার দিন কাটিতেছিল। এই বিবাহ উপলক্ষেই না কি দুই মিতার মনোমালিন্ত ঘটে। পরিশেষে তাহা এমন বিবাদে পরিণত হয় যে, এক গ্রামে বাস করিয়াও বিশ বৎসরের মধ্যে কেহ কাহারও মুখ-দর্শন করেন নাই। বলরাম মুখুয্যে যেদিন মারা গেলেন, সেদিনও ঘোষাল তাহার বাটতে পা দিলেন না। কিন্তু তাহার মরণের পরদিন অতি আশ্চৰ্য্য কথা শুনা গেল। তিনি নিজেই সমস্ত বিষয় চুল-চিরিয়া অৰ্দ্ধেক তাগ করিয়া নিজের পুত্র ও মিতার পুত্রগণকে দিয়াছেন। সেই অবধি এই কুঁয়াপুরের বিষয় মুখুয্যে ও ঘোষালবংশ ভোগ-দখল করিয়া আসিতেছে। ইহারা নিজেরাও জমিদার বলিয়া অভিমান করিতেন, গ্রামের লোকও অস্বীকার করিত না। যখনকার কথা বলিতেছি তখন ঘোষালবংশও ভাগ হইয়াছিল। সেই বংশের ছোট তরফের তারিণী ঘোষাল মোকদম উপলক্ষে জেলায় গিয়া দিন-ছয়েক পূৰ্ব্বে হঠাৎ যেদিন আদালতের ছোট-বড় পাঁচ-সাতটা মুলতুবি মোকদ্দমার শেষফলের প্রতি ভ্ৰক্ষেপ না করিয়া কোথাকার কোন অজানা আদালতের মহামান্য শমন মাথায় করিয়া নিঃশব্দে প্রস্থান করিলেন, তখন তাঁহাদের কুঁয়াপুর গ্রামের ভিতরে ও বাহিরে একটা רכיצ "לל-לא