পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২০১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:৫৯, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন লোকের উল্লেখে কোনদিনই কমলের ধৈর্য্য থাকে না, কছিল, লোকেরা আপনাকে শুধু নিন্দেই করবে, রক্ষে করতে পারবে না। যে পারবে তার কাছে আপনার ভয় নেই-তানের চেয়ে আমি ঢের বেশি আপনার। সেদিন সঙ্গে যেতে আমাকে ডেকেছিলেন–কিন্তু পারিনি, আজ আর না পারলে আমার চলবে না। চলুন ও-ঘরে, আমাকে ভয় নেই। পুরুষের ভোগের বস্তু যারা—আমি তাদের জাত नद्दे । उँटून । 螺 এ-ঘরে আসিয়া কমল সম্পূর্ণ নূতন শয্যা-বস্ত্ৰ দিয়া থাটের উপর পরিপাটি করিয়া বিছানা করিয়া দিল এবং নিজের জন্য মেঝের উপর যেমন-তেমন গোছের আর একটা বিছানা পাতিয়া রাথিয়া বলিল, আসচি। মিনিট-দশেকের বেশি দেরি হবে না, কিন্তু ঘুমিয়ে পড়বেন না যেন। না । তা হলে ঠেলে তুলে দেব। 幡 তার দরকার হবে না কমল, ঘুম আমার চোখ থেকে উবে গেছে। আচ্ছ, সে পরীক্ষা পরে হবে, বলিয়া সে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । রায়ার পাত্রগুলি যথাস্থানে তুলিয়া রাখা, উচ্ছিষ্ট বাসন বারানায় বাহির করিয়া দেওয়া—দাসী বহুক্ষণ চলিয়া গেছে, নীচে সিড়ির কপাট বন্ধ করা—গৃহস্থালীর এমনি সব ছোট-খাটো কাজ তখনো বাকি, সে-সব সারিয়া তবে তাহার ছুটি । কমলের সযত্ন-রচিত শুভ্র সুন্দর শয্যাটির পরে বসিয়া একাকী ঘরের মধ্যে হঠাৎ তাহার দীর্ঘনিশ্বাস পড়িল। বিশেষ কোন গভীর হেতু যে ছিল তাহ নয়, শুধু মনের মধ্যে একটা ভালো-লাগার তৃপ্তি। হয়ত একটু কৌতুহল মিশানে, কিন্তু আগ্রহের উত্তাপ নাই—শুধু একটি শান্ত আনন্দের মধুর স্পর্শ যেন নিঃশব্দে সৰ্ব্বাঙ্গ পরিব্যাপ্ত করিয়াছে। অজিত ধনীর সন্তান, আজন্ম বিলাসের মধ্যেই প্রতিপালিত ; কিন্তু হরেন্দ্রর ব্ৰহ্মচৰ্য্যাশ্রমে ভৰ্ত্তি হওয়া অবধি দৈন্ত ও আত্ম-নিগ্রহের সুদুৰ্গম পথে তারতীয় বৈশিষ্ট্যের মৰ্ম্মোপলব্ধির একান্ত সাধন এদিক হইতে দৃষ্টি তাহার অপসারিত করিয়াছিল । হঠাৎ চোখে পড়িল হলুদ রঙের স্বতা দিয়া তৈরি বালিশের অড়ের চারিধারে ছোট গুটী-কয়েক চন্দ্রমল্লিকা ফুল। বিছানার চাদরের যে-কোণটি ঝুলিয়া আছে তাঁহাতে শাদ রেশম দিয়া বোনা কোন একটা অজানা লতার একটুখানি ছবি। এইটুকু শিল্প-কৰ্ম্ম—সামান্তই ব্যাপার । কত লোকের ঘরেই ত আছে। অবসরকালে কমল নিজের হাতে সেলাই করিয়াছে। দেখিয়া অজিত মুগ্ধ হইয়া গেল। হাতে করিষা >>>