পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২৫০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:৫৯, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ করেনি, করেছিল আপনাদের মত যারা মস্ত বড় পিতা, নিজেদের র্যাধন-দড়ি আলগা করে যারা আপন কস্তা-সন্তানকে মুক্তি দিয়েছিলেন র্তারাই । আজকের দিনেও ইম্যম্সিপেশনের জন্য যত ক্টোদলই মেয়েরা করি না কেন, দেবার আসল মালিক"যে পুরুষেরা—আমরা মেয়ের নই, জগৎ-ব্যবস্থায় এ সত্যটা আমি একটিনিও ভুলিনে আপ্তবাবু। আমারও নিজের বাবা প্রায়ই বলতেন, পৃথিবীর ক্রীতদাসের স্বাধীনতা দিয়েছিল একদিন তাদের মনিবেরাই, তাদের হয়ে লড়াই করেছিল সেদিন মনিবের জাতেরাই, নইলে দাসের দল কেঁদেল করে, যুক্তির জোরে নিজেদের মুক্তি অর্জন করেনি। এমনিই হয়। বিশ্বের এমনিই নিয়ম ; শক্তির বন্ধন থেকে শক্তিমানেরাই দুৰ্ব্বলকে ত্রাণ করে। তেমনি নারীর মুক্তি আজও শুধু পুরুষেরাই দিতে পারে। দায়িত্ব ত তাদেরই। মনোরমাকে মুক্তি দেবার ভার আপনার হাতে। মণি বিদ্রোহ করতে পারে, কিন্তু পিতার অভিশাপের মধ্যে ত সন্তানের মুক্তি থাকে না, তার অকুণ্ঠ আশীৰ্ব্বাদের মধ্যে। জাণ্ডবাবু এখনও কথা কহিতে পারিলেন না । এই উচ্ছম্বল প্রকৃতির মেয়েটি সংসারে অসন্মান, অমৰ্য্যাদার মধ্যে জন্মলাভ করিয়াছে, কিন্তু জন্মের সেই লজ্জাকর দুৰ্গতিকে অন্তরে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করিয়া লোকান্তরিত পিতার প্রতি তাহার ভক্তি ও স্নেহের সীমা নাই। ফেলোকটি ইহার পিতা তাহাকে তিনি দেখেন নাই, নিজের সংস্কার ও প্রকৃতিঅনুসারে সেই মানুষটিকে শ্রদ্ধ করাও কঠিন, তথাপি হঁহারই উদ্দেশে দুই চক্ষু তাহার জলে ভরিয়া গেল। নিজের মেয়ের বিচ্ছেদ ও বিরুদ্ধত তাহাকে শূলের মত বিধিয়াছে, কিন্তু সকল বন্ধন কাটিয়া দিয়াও যে কি করিয়া মানুষকে সৰ্ব্বকালের মত বাধিয়া রাখা যায়, এই পরের মেয়েটির মুখের পানে চাহিয়া যেন তাহার একটা আভাস পাইলেন এবং কাধের উপর হইতে তাহার হাতখানি টানিয়া লইয়া ক্ষণকাল চুপ করিয়া রহিলেন । কমল কহিল, এবার আমি যাই— আণ্ডবাৰু হাত ছাড়িয়া দিলেন, বলিলেন, এলো । ইহার অধিক আর কিছু মুখ দিয় তাহার বাহির হইল না । २8९