পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/১০৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২২:০১, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰন্থ কাসার তৈজসাদি তালা-বন্ধ আছে, বড় বড় কাজ-কৰ্ম্মে শুধু বার করা হয়। আর এই যে গুল-বসানো ছোট কাঠের সিন্দুকটি, এতে মখমলের চাঁদোয়া, ঝালর প্রভৃতি আছে, আর এই কুঠুরিটির মধ্যে সতরঞ্জি, গালচে, কানাত—বসবার আসন এই-সব— এককড়ি কহিল, আর— পূজার বলিলেন, আর ওই যে পূবের দেওয়ালের গায়ে গায়ে বড় তালা ঝুলচে, ওটা লোহার সিন্ধুক, মন্দিরের সঙ্গে একেবারে গাথা। ওর মধ্যে মায়ের সোনার মুকুট, রামপুরের মহারাণীর দেওয়৷ মোতির মালা, বীজগার জমিদারবাবুদের দেওয়া সোনার বাউটি, হার, আরও কত শত ভক্তের দেওয়া কত কি সোনা-রূপার অলঙ্কার, তা ছাড়া টাকাকড়ি, দলিলপত্র, সোনা-রূপার বাক্স—অর্থাৎ মূল্যবান যা কিছু সমস্তই ওই সিন্দুকটিতে । এককড়ি কহিল, আমি আজকের নয় ঠাকুর, সব জানি। কিন্তু ওসব কেবল তোমার মুখেই আছে, না সিন্দুকটা হাতড়ালে কিছু পাওয়া যাবে ? ওই ত উনি বসে আছেন, চাবিটা চেয়ে এনে একবার খুলে দেখাও না ? গ্রামের ষোল আনার প্রার্থনা মঞ্জুর করে হুজুর কি হুকুম দিয়েচেন শোননি ? চৈত্রসংক্রাস্তির পূৰ্ব্বে সমস্তই ষে একদফা মিলিয়ে দেখতে হবে । পূজার হতবুদ্ধির ন্যায় চুপ করিয়া রহিল। মন্দির হইতে যোড়শীর কর্তৃত্ব যে ঘুচিয়া গেছে তাহ সে শুনিয়াছে এবং নন্দীমহাশয়ের প্রত্যক্ষ আদেশ অমান্ত করাও যে অতিশয় সাঙ্ঘাতিক তাহাও জানে, কিন্তু কৰ্ম্মনিরতা ওই যে ভৈরবী অনতিদূরে বসিয়া স্বকৰ্ণে সমস্ত শুনিয়াও শুনিতেছে না, তাহাকে মুখের সম্মুখে গিয়া জানাইবার সাহস তাহার নাই । সে ভয়ে ভয়ে কহিল, কিন্তু তার ত এখনো দেরি আছে নন্দীমশাই | এদিকে স্বৰ্য্যাস্ত হয়ে এল— তারাদাস এতক্ষণ কথা কহে নাই, এবং সঙ্কোচ ও ভয়ের চিহ্ন কেবল পূজারীর মুখে-চোপেই প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহা নয়। আস্তে আস্তে কহিল, মিলিয়ে নিতে অনেক বিলম্ব হবে নন্দীমশাই, একটু সকাল করে এসে আর একদিন এ কাজট সেরে নিলে হবে না ? কি বলেন ? এককড়ি চিন্তা করিয়া কহিল, আচ্ছ, তাই না হয় হবে ? পূজারীকে কহিল, কিন্তু মনে থাকে যেন চক্ৰবৰ্ত্তামশাই, এই শনিবারেই সংক্রান্তি । ধোল-আন পঞ্চায়েতি নাটমন্দিরেই হবে । হুজুর স্বয়ং এসে বসবেন। উত্তর ধারটা কানাত দিয়ে ঘিরে দিয়ে তার জন্তে মধমলের গালচেট পেতে দিতে হবে। আলোর সেজ কটাও তৈরি प्लांथी छांशे । একৰণ্ড একটু জ্যে গল কৰ কহিতেছিল, সুতরাং অনেকেই কৌতুহলবশে ֆ,