পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৩১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) Text from Google OCR |
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
২৩:১৯, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
૨૨૧ • শেষ প্রশ্ন অক্ষয় কঠিন হইয়া প্রশ্ন করিত, তবে কিসের জৌলস ? কমলের রূপের ? অবিনাশ বাবু, হরেন অবিবাহিত, ছোকরা,—ওকে মাপ করা যায়, কিন্তু বুড়োবয়সে আপনাদের চোখেও যে ঘোর লাগিয়েছ এই আশ্চৰ্য্য ! এই বলিয়া সে কটাক্ষে আগুবাবুর প্রতিও একবার চাহিয়া লইয়া বলিত, কিন্তু এ আলেয়ার আলো অবিনাশবাবু, পচা পাকের মধ্যে এর জন্ম। পাকের মধ্যেই একদিন অনেককে টেনে নামাবে তা’ স্পষ্ট দেখতে পাই। শুধু অক্ষয়কে এ সব ভোলাতে পারেনা,—সে আসল নকল চেনে । # আগুবাবু মুখ টিপিয়া হাসিতেন, কিন্তু অবিনাশ ক্ৰোধে জ্বলিয়া যাইতেন। হরেন্দ্র বলিত, আপনি মস্ত বাহাদুর অক্ষয় বাবু, আপনার জয়-জয়কার হোক। আমরা সবাই মিলে পাকের মধ্যে পড়ে যেদিন হাবুডুবু খাবো, আপনি সেদিন তীরে দাড়িয়ে বগল বাজিয়ে নৃত্য করবেন, আমরা কেউ নিন্দে করবনা। অক্ষয় জবাব দিত, নিন্দের কাজ আমি করিনে হরেন। গৃহস্থ মানুষ, সহজ সোজা বুদ্ধিতে সমাজকে মেনে চলি। বিবাহের নতুন শাখা দিতেও চাইনে, বিশ্ব-বখাটে একপাল ছেলে জুটুিয়ে ব্রহ্মচারী-গিরি করেও আশ্রমে পায়ের ধূলোর পরিমাণটা আর একটু বাড়িয়ে নেবার ব্যবস্থা করগে ভায়া, সাধন-ভজনের জষ্ঠে ভাবতে হবেনা। দেখতে দেখতে সুমন্ত আশ্রম বিশ্বামিত্ৰ ঋষির তপোবন হয়ে উঠবে। এবং হয়ত, চিরকালের মত তোমার একটা কীৰ্ত্তি থেকে যাবে। অবিনাশ ক্ৰোধ ভুলিয়া উচ্চ হস্ত করিয়া উঠতেন, এবং নিৰ্ম্মল চাপা-হাসিতে আগুবাবুর মুখখানিও উজ্জ্বল হইয়া উঠিত। হরেন্দ্রর আশ্রমের প্রতি কাহারও আস্থা ছিলনা, ও একটা ব্যক্তিগত খেয়াল বলিয়াই তাহারা ধরিয়া লইয়াছিলেন।