পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

০০:৫০, ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। 廳密 আত্মা সকলেরই আছে। তুমি যখন আম হইতে ভিন্ন, তখন তোমার আত্মা আম হইতে কাজেই ভিন্ন । কিন্তু ি হইয়াও প্রকৃতরূপে ভিন্ন নহে। মনে কর বহুসংখ্যক শূন্ত পাত্র আছে ; তাছার সকলগুলির ভিতর আকাশ আছে । এক পাত্রাভ্যস্তরস্থ আকাশ পাত্রান্তরস্থ আকাশ হইতে ভিন্ন । কিন্তু পৃথক হইলেও সকল পাত্রস্থ আকাশ জাগতিক আকাশের অংশ। পাত্রগুলি তগ্ন করিলেই আর কিছুমাত্র পার্থক্য থাকে না । সকলপাত্রস্থ আকাশ সেই জাগতিক আকাশ হইতে অভিন্ন হয় । এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন জীবগত আত্মা পরস্পর পৃথক্ হইলেও জাগতিক আত্মার অংশ ; দেহ বন্ধন হইতে বিমুক্ত হইলে সেই জাগতিক আত্মীয় বিলীন হয়। এই জগদাত্মাকে হিন্দু-দার্শনিকের পরমাত্মা বলেন । জীবদেহস্থায়ী আত্মা যতদিন সেই পরমাত্মাক্স বিলীন না হয় ততদিন তাহাকে জীবাত্মা বলেন । এখন এই জীবাত্মা কি নশ্বর ? দেহের ধ্বংস হইলেই কি তাহার ধবংস হুইল ? ইহার সহজ উত্তর এই যে, যাহা অবিনশ্বরের অংশ, তাহা কখন নশ্বর হইতে পারে না। যদি জাগতিক আকাশ অবিনশ্বর হয়, তবে ভাণ্ডস্থ আকাশও অবিনশ্বর। যদি পরমাত্মা অবিনশ্বর হয়েন, তবে তদংশ জীবাত্মাও অবিনশ্বর। এই হইল হিন্দুধর্শ্বের কথা। অন্য কোন ধৰ্ম্ম এই অত্যুন্নত তত্বের নিকটেও আসিতে পারেন নাই। আমরা পরে দেখাইব যে, ইহার অপেক্ষা উন্নত তত্ত্ব মছুষ্যজ্ঞাত্ত তত্বের ভিতর আর নাই বলিলেও হয় । প্রাচীন ঋষির স্বলিতে পারেন, “আমরা দি স্থার কিছু না করিতাম, কেবল এই কথাটা পৃথিবীতে