পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
JoyBot (আলোচনা | অবদান)
OCRed
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:৪৩, ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७४ গল্পগুচ্ছ অন্ধকার এবং নিস্তৰধ। কেবল এক-একবার যন্ত্রণার কিঞ্চিৎ উপশমে আমার সন্ত্রীর গভীর দীর্ঘনিশ্বাস শনা যাইতেছিল। এমন সময়ে মনোরমা ঘরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়াইলেন। বিপরীত দিক হইতে কেরোসিনের আলো আসিয়া তাঁহার মুখের উপর পড়িল। আলো-অাঁধারে লাগিয়া তিনি কিছু ক্ষণ ঘরের কিছই দেখিতে না পাইয়া বারের নিকট দাঁড়াইয়া ইতস্তত করিতে লাগিলেন । আমার সত্ৰী চমকিয়া আমার হাত ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও কে "– তাঁহার সেই দবল অবস্থায় হঠাৎ অচেনা লোক দেখিয়া ভয় পাইয়া আমাকে দুই-তিনবার অসফটম্বরে প্রশ্ন করিলেন, “ও কে। ও কে গো।” আমার কেমন দরবধি হইল আমি প্রথমেই বলিয়া ফেলিলাম, "আমি চিনি না।" বলিবামাত্রই কে যেন আমাকে কশাঘাত করিল। পরের মহেতেই বলিলাম, “ওঃ, আমাদের ডাক্তারবাবর কন্যা।” সী একবার আমার মুখের দিকে চাহিলেন; আমি তাঁহার মথের দিকে চাহিতে পারিলাম না। পরক্ষণেই তিনি ক্ষীণস্বরে অভ্যাগতকে বলিলেন, “আপনি আসন।” আমাকে বলিলেন, “আলোটা ধরো।” মনোরমা ঘরে আসিয়া বসিলেন। তাঁহার সহিত রোগিণীর অপেস্বল্প আলাপ চলিতে লাগিল। এমন সময় ডাক্তারবাব আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি তাঁহার ডাক্তারখানা হইতে দই শিশি ওষুধ সঙ্গে আনিয়াছিলেন। সেই দটি শিশি বাহির করিয়া আমার স্মীকে বলিলেন, “এই নীল শিশিটা মালিস করিবার, আর এইটি খাইবার। দেখিবেন, দুইটাতে মিলাইবেন না, এ ওষুধটা ভারি বিষ।” & আমাকেও একবার সতক করিয়া দিয়া ঔষধ দটি শয্যাপাশববতী টেবিলে রাখিয়া দিলেন। বিদায় লইবার সময় ডাক্তার তাঁহার কন্যাকে ডাকিলেন। মনোরমা কহিলেন, “বাবা, আমি থাকি না কেন। সঙ্গে সীলোক কেহ নাই, ইহাকে সেবা করিবে কে।” আমার স্ত্রী ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন ; বলিলেন, “না, না, আপনি কস্ট করিবেন না। পরানো ঝি আছে, সে আমাকে মায়ের মতো যত্ন করে।” ডাক্তার হাসিয়া বলিলেন, “উনি মা-লক্ষয়ী, চিরকাল পরের সেবা করিয়া আসিয়াছেন, অন্যের সেবা সহিতে পারেন না।” কন্যাকে লইয়া ডাক্তার গমনের উদযোগ করিতেছেন এমন সময় আমার সী বলিলেন, “ডাক্তারবাব, ইনি এই বন্ধ ঘরে অনেক ক্ষণ বসিয়া আছেন, ইহাকে একবার বাহিরে বেড়াইয়া লইয়া আসিতে পারেন ?” ডাক্তারবাব আমাকে কহিলেন, “আসন-না, আপনাকে নদীর ধার হইয়া একবার বেড়াইয়া আনি।” আমি ঈষৎ আপত্তি দেখাইয়া অনতিবিলবে সম্মত হইলাম। ডাক্তারবাব যাইবার সময় দই শিশি ঔষধ সম্বন্ধে আবার আমার স্মীকে সতক’ করিয়া দিলেন। সেদিন ডাঙ্কারের বাড়িতেই আহার করিলাম। ফিরিয়া আসিতে রাত হইল। আসিয়া দেখি আমার পল্লী ছটফট করিতেছেন। অনতাপে বিশ্ব হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম,