পাতা:শ্রীকান্ত (প্রথম পর্ব).djvu/১২৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh|শ্রীকান্ত||১২২}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
যাবো না? বরং আজ চিন্তে পেরেচি দেখে, নিজেই আশ্চর্য্য হয়ে গেছি। আচ্ছা, বারোটা বাজে—চল্লুম। |
|||
⚫ | কিন্তু আমার কান্নাই সার |
||
{{gap}}পিয়ারীর হাসিমুখ এক নিমেষেই একেবারে বিবর্ণ, ম্লান হইয়া গেল। একটুখানি স্থির থাকিয়া কহিল, আচ্ছা, ভূত-প্রেত না মানাে, সাপ-খােপ, বাঘ-ভালুক, বুনােশূয়ার এগুলােকে ত বনে-জঙ্গলে অন্ধকার রাত্রে মানা চাই। |
|||
⚫ | |||
{{gap}}আমি বলিলাম, এগুলােকে আমি মেনে থাকি, এবং যথেষ্ট সতর্ক হয়েও চলি। |
|||
⚫ | {{gap}}আমাকে যাইতে উদ্যত দেখিয়া ধীরে ধীরে কহিল, তুমি যে-ধাতুর মানুষ, তাতে তােমাকে যে আটকাতে পারব না, সে ভয় আমার খুবই ছিল, তবু ভেবেছিলাম, কান্নাকাটি ক’রে হাতে পায়ে ধর্লে শেষ পর্য্যন্ত হয় ত নাও যেতে পারো। কিন্তু আমার কান্নাই সার হ’ল। আমি জবাব দিলাম না দেখিয়া পুনরায় কহিল, আচ্ছা, যাও—পেছু ডেকে আর অমঙ্গল করব না। কিন্তু একটা কিছু হ’লে, এই বিদেশ বিভূঁয়ে রাজা-রাজড়া বন্ধু-বান্ধব কোন কাজেই লাগ্বেনা, তখন আমাকেই ভুগতে হবে। আমাকে চিন্তে পারো না, আমার মুখের পরে ব’লে তুমি পৌরষী ক’রে গেলে, কিন্তু আমার মেয়েমানুষের মন ত? বিপদের সময় আমি ত আর বল্তে পার্ব না—এঁকে চিনিনে। বলিয়া সে একটি দীর্ঘশ্বাস চাপিয়া ফেলিল। আমি যাইতে যাইতে ফিরিয়া দাঁড়াইয়া হাসিলাম। কেমন যেন একটা ক্লেশ বােধ হইল। বলিলাম, বেশ ত বাইজী, সেও ত আমার একটা মস্ত লাভ। আমার কেউ কোথাও নেই—তবু ত জান্তে পারব, একজন আছে—যে আমাকে ফেলে যেতে পারবে না। |
||
⚫ |
০৩:২৪, ২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
যাবো না? বরং আজ চিন্তে পেরেচি দেখে, নিজেই আশ্চর্য্য হয়ে গেছি। আচ্ছা, বারোটা বাজে—চল্লুম।
পিয়ারীর হাসিমুখ এক নিমেষেই একেবারে বিবর্ণ, ম্লান হইয়া গেল। একটুখানি স্থির থাকিয়া কহিল, আচ্ছা, ভূত-প্রেত না মানাে, সাপ-খােপ, বাঘ-ভালুক, বুনােশূয়ার এগুলােকে ত বনে-জঙ্গলে অন্ধকার রাত্রে মানা চাই।
আমি বলিলাম, এগুলােকে আমি মেনে থাকি, এবং যথেষ্ট সতর্ক হয়েও চলি।
আমাকে যাইতে উদ্যত দেখিয়া ধীরে ধীরে কহিল, তুমি যে-ধাতুর মানুষ, তাতে তােমাকে যে আটকাতে পারব না, সে ভয় আমার খুবই ছিল, তবু ভেবেছিলাম, কান্নাকাটি ক’রে হাতে পায়ে ধর্লে শেষ পর্য্যন্ত হয় ত নাও যেতে পারো। কিন্তু আমার কান্নাই সার হ’ল। আমি জবাব দিলাম না দেখিয়া পুনরায় কহিল, আচ্ছা, যাও—পেছু ডেকে আর অমঙ্গল করব না। কিন্তু একটা কিছু হ’লে, এই বিদেশ বিভূঁয়ে রাজা-রাজড়া বন্ধু-বান্ধব কোন কাজেই লাগ্বেনা, তখন আমাকেই ভুগতে হবে। আমাকে চিন্তে পারো না, আমার মুখের পরে ব’লে তুমি পৌরষী ক’রে গেলে, কিন্তু আমার মেয়েমানুষের মন ত? বিপদের সময় আমি ত আর বল্তে পার্ব না—এঁকে চিনিনে। বলিয়া সে একটি দীর্ঘশ্বাস চাপিয়া ফেলিল। আমি যাইতে যাইতে ফিরিয়া দাঁড়াইয়া হাসিলাম। কেমন যেন একটা ক্লেশ বােধ হইল। বলিলাম, বেশ ত বাইজী, সেও ত আমার একটা মস্ত লাভ। আমার কেউ কোথাও নেই—তবু ত জান্তে পারব, একজন আছে—যে আমাকে ফেলে যেতে পারবে না।
পিয়ারী কহিল, সে কি আর তুমি জানােনা? একশবার ‘বাইজী’