পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৬|ভগ্নহৃদয় ।|}}
{{block center/s}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
<poem>
ভগ্নহৃদয় }
আনিস, দুলায়ে দিবি সুচারু অলকে তার!
আনিস, দুলীয়ে দিবি সুচারু অলকে তার ! সহসী রজনী-গন্ধা প্রভাতের আলো দেখে ভাবিয়া না পায় ঠাই কোথা মুখ রাখে ঢেকে, আকুল সে ফুল গুলি যতনে আনিস তুলি, তাই দিয়ে গেথে গেথে বিরচিবি কণ্ঠহার। চপলা।—তুই সখি আয়, একেলা আমার ভাল নাহি লাগে বালা ! ছুটি সখি মিলি হাসিতে হাসিতে, গুণ গুণ গাম গাহিতে গাহিতে
সহসা রজনী-গন্ধা প্রভাতের আলো দেখে
মনের মতন গাথিব মালা ! বল, দেখি সখি হ’ল কি তোর ? হাসিয়া খেলিয়া কুসুম তুলিয়। করিবি কোথায় ভাবনা ভুলিয়া
ভাবিয়া না পায় ঠাঁই কোথা মুখ রাখে ঢেকে,
কুমারী-জীবন ভোর— ত না, একি জ্বালা ? মরমে মিশিয়। আপনার মনে আপনি বসিয়া, সাধ কোরে এত ভাল লাগে সখি বিজনে ভাবনা-ঘোর ! তা’ হবেনা সখি, না যদি আলিস
আকুল সে ফুল গুলি যতনে আনিস তুলি,
এই কহিলাম তোরে— যত ফুল আমি আনিয়াছি তুলি আঁচল ভরিয়া ল’ব সব গুলি, বিপাশার স্রোতে দিবলে ভাসীয়ে একটি একটি কোরে ।
তাই দিয়ে গেঁথে গেঁথে বিরচিবি কণ্ঠহার।
{{overfloat left|চপলা।—তুই সখি আয়, একেলা আমার}}
{{gap}}ভাল নাহি লাগে বালা!
দুটি সখি মিলি হাসিতে হাসিতে,
গুণ গুণ গান গাহিতে গাহিতে
{{gap}}মনের মতন গাঁথিব মালা!
বল্ দেখি সখি হ’ল কি তোর?
হাসিয়া খেলিয়া কুসুম তুলিয়া
করিবি কোথায় ভাবনা ভুলিয়া
{{gap}}কুমারী-জীবন ভোর—
ত না, একি জ্বালা? মরমে মিশিয়া
আপনার মনে আপনি বসিয়া,
সাধ কোরে এত ভাল লাগে সখি
{{gap}}বিজনে ভাবনা-ঘোর!
তা’ হবেনা সখি, না যদি আসিস
{{gap}}এই কহিলাম তোরে—
যত ফুল আমি আনিয়াছি তুলি
আঁচল ভরিয়া ল’ব সব গুলি,
বিপাশার স্রোতে দিবলো ভাসায়ে
{{gap}}একটি একটি কোরে!
</poem>
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{block center/e}}

০৩:০৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভগ্নহৃদয় ।


আনিস, দুলায়ে দিবি সুচারু অলকে তার!
সহসা রজনী-গন্ধা প্রভাতের আলো দেখে
ভাবিয়া না পায় ঠাঁই কোথা মুখ রাখে ঢেকে,
আকুল সে ফুল গুলি যতনে আনিস তুলি,
তাই দিয়ে গেঁথে গেঁথে বিরচিবি কণ্ঠহার।
চপলা।—তুই সখি আয়, একেলা আমার 
 ভাল নাহি লাগে বালা!
দুটি সখি মিলি হাসিতে হাসিতে,
গুণ গুণ গান গাহিতে গাহিতে
 মনের মতন গাঁথিব মালা!
বল্ দেখি সখি হ’ল কি তোর?
হাসিয়া খেলিয়া কুসুম তুলিয়া
করিবি কোথায় ভাবনা ভুলিয়া
 কুমারী-জীবন ভোর—
ত না, একি জ্বালা? মরমে মিশিয়া
আপনার মনে আপনি বসিয়া,
সাধ কোরে এত ভাল লাগে সখি
 বিজনে ভাবনা-ঘোর!
তা’ হবেনা সখি, না যদি আসিস
 এই কহিলাম তোরে—
যত ফুল আমি আনিয়াছি তুলি
আঁচল ভরিয়া ল’ব সব গুলি,
বিপাশার স্রোতে দিবলো ভাসায়ে
 একটি একটি কোরে!