গীতাঞ্জলি/৬০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
Mahir256 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
<pages index="গীতাঞ্জলি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu" from=12 to=12/>

{{শীর্ষক
{{শীর্ষক
|শিরোনাম=[[../]]
| শিরোনাম= [[../]]
| লেখক = রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|অনুচ্ছেদ ='''জগৎ-পারাবারের তীরে'''
| অনুচ্ছেদ = এবার নীরব করে দাও হে তোমার
|পূর্ববর্তী =[[../৫৯/]]
| আদ্যক্ষর = এ
|পরবর্তী = [[../৬১/]]
| পূর্ববর্তী = [[../৫৯/]]
|টীকা =[[শিশু (কাব্যগ্রন্থ)|শিশু]]
| পরবর্তী = [[../৬১/]]
|লেখক =রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|বছর =
| বছর = ১৯১৩
| টীকা =
|প্রবেশদ্বার =
}}
}}
<pages index="গীতাঞ্জলি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu" from=83 to=83/>
<div style="padding-left:2em;">
<poem>
<center>

জগৎ-পারাবারের তীরে
ছেলেরা করে মেলা ।
অন্তহীন গগনতল
মাথার 'পরে অচঞ্চল,
ফেনিল ওই সুনীল জল
নাচিছে সারা বেলা ।
উঠিছে তটে কী কোলাহল-
ছেলেরা করে মেলা ।।

বালুকা দিয়ে বাঁধিছে ঘর,
ঝিনুক নিয়ে খেলা ।
বিপুল নীল সলিল-'পরি
ভাসায় তারা খেলার তরী
আপন হাতে হেলায় গড়ি
পাতায় গাঁথা ভেলা ।
জগৎ-পারাবারের তীরে
ছেলেরা করে খেলা ।।

জানেনা তারা সাঁতার দেওয়া,
জানে না জাল ফেলা ।
ডুবারি ডুবে মুকুতা চেয়ে,
বণিক ধায় তরণী বেয়ে-
ছেলেরা নুড়ি কুড়ায়ে পেয়ে
সাজায় বসি ঢেলা ।
রতন ধন খোঁজে না তারা,
জানে না জাল ফেলা ।।

ফেনিয়ে উঠে সাগর হাসে,
হাসে সাগর-বেলা ।
ভীষণ ঢেউ শিশুর কানে
রচিছে গাথা তরল তানে,
দোলনা ধরি যেমন গানে
জননী দেয় ঠেলা ।
সাগর খেলে শিশুর সাথে,
হাসে সাগর-বেলা ।।

জগৎ-পারাবারের তীরে
ছেলেরা করে মেলা ।
ঝঞ্ঝা ফিরে গগনতলে,
তরণী ডুবে সুদূর জলে,
মরণদূত উড়িয়া চলে-
ছেলেরা করে খেলা ।
জগৎ-পারাবারের তীরে
শিশুর মহামেলা ।।

</center>
</poem>
</div>

[[বিষয়শ্রেণী:গীতাঞ্জলি]]

১০:১৮, ১৩ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

৬০


 এবার  নীরব করে দাওহে তোমার
 মুখর কবিরে।
 তার  হৃদয়-বাঁশি আপনি কেড়ে
 বাজাও গভীরে।
নিশীথ রাতের নিবিড় সুরে,
বাঁশিতে তান দাওহে পূরে,
যে তান দিয়ে অবাক কর
 গ্রহ শশীরে।
 যা কিছু মোর ছড়িয়ে আছে
 জীবন মরণে
 গানের টানে মিলুক এসে
 তোমার চরণে
বহুদিনের বাক্যরাশি
এক নিমেষে যাবে ভাসি,
একলা বসে শুনব বাঁশি
 অকুল তিমিরে।

৩০ চৈত্র, ১৩১৬