পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) |
||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{block center|<poem>'''পালোয়ান''' |
|||
লাগোয়াস |
|||
খেলার ছলে ষাঠিচরণ হাতি লোফেন যখন তখন, দেহের ওজন উনিশটি মণ, শক্ত যেন লোহার গঠন। একদিন এক গডো তাকে বাঁশ বাগিয়ে মারলে বেগে— ভাঙল সে-বশি শোলার মতো মট করে তার কন্যই লেগে। এই তো সেদিন রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে দৈব বশে, উপর থেকে প্রকাণ্ড ইট পড়ল তাহার মাথায় খ’সে। মণ্ডতে তার যেমনি ঠেকা অমনি সে ইট এক নিমেষে, গড়িয়ে হ’ল ধলোর মতো, যঠি চলেন মচকি হেসে। যঠি যখন ধমক হাঁকে কাঁপতে থাকে দালান বাড়ি, ফয়ের জোরে পথের মোড়ে উল্টে পড়ে গরর গাড়ি। |
|||
একশো জালা জল ঢালে রোজ নানের সময় পকূর থেকে। সকাল বেলার জলপানি তার তিনটি ধামা পেস্তা মেওয়া, সঙ্গে তারি চৌদ্দ হাঁড়ি দই কি মালাই মড়েকি দেওয়া। . দপরে হলে খাবার আসে কাতার দিয়ে ডেকচি ভ'রে, বরফ দেওয়া উনিশ কুজো সরবতে তার তৃষ্ণা হরে। বিকাল বেলা খায় না কিছু গন্ডা দশেক মডা ছাড়া, সন্ধ্যা হ’লে লাগায় তেড়ে দিসতা দিসতা লুচির তাড়া। রাত্রে সে তার হাত-পা টেপায় দশটি চেলা মজত থাকে, দমদমাদম সবাই মিলে মগের দিয়ে পেটায় তাকে। বললে বেশি ভাববে শেষে এ-সব কথা ফেনিয়ে বলা— দেখবে যদি আপন চোখে যাও না কেন বেনিয়াটোলা। |
|||
§8 |
|||
খেলার ছলে ষষ্ঠিচরণ হাতি লোফেন যখন তখন, |
|||
দেহের ওজন উনিশটি মন, শক্ত যেন লোহার গঠন। |
|||
একদিন এক গুন্ডা তাকে বাঁশ বাগিয়ে মার্ল বেগে— |
|||
ভাঙল সে-বাঁশ শোলার মত মট্ ক’রে তার কনুই লেগে। |
|||
এই তো সেদিন রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে দৈব বশে, |
|||
উপর থেকে প্রকান্ড ইঁট পড়ল তাহার মাথায় খ’সে। |
|||
মুন্ডুতে তার যেম্নি ঠেকা অম্নি সে ইঁট এক নিমেষে |
|||
গুঁড়িয়ে হ’ল ধুলোর মতো, ষষ্ঠি চলেন মুচ্কি হেসে। |
|||
ষষ্ঠি যখন ধমক হাঁকে কাঁপতে থাকে দালান বাড়ি, |
|||
ফুঁয়ের জোরে পথের মোড়ে উল্টে পড়ে গরুর গাড়ি। |
|||
ধুম্সো কাঠের তক্তা ছেঁড়ে মোচড় মেরে মুহূর্তেকে, |
|||
একশো জালা জল ঢালে রোজ স্নানের সময় পুকুর থেকে। |
|||
সকাল বেলার জলপানি তার তিনটি ধামা পেস্তা মেওয়া, |
|||
সঙ্গে তারি চৌদ্দ হাঁড়ি দই কি মালাই মুড়কি দেওয়া। |
|||
দুপুর হলে খাবার আসে কাতার দিয়ে ডেক্চি ভ’রে, |
|||
বরফ দেওয়া উনিশ কুঁজো সরবতে তার তৃষ্ণা হরে। |
|||
বিকাল বেলা খায়না কিছু গন্ডা দশেক মন্ডা ছাড়া, |
|||
সন্ধ্যা হলে লাগায় তেড়ে দিস্তা দিস্তা লুচির তাড়া । |
|||
রাত্রে সে তার হাত-পা টেপায় দশটি চেলা মজুত থাকে, |
|||
দুম্দুমাদুম্ সবাই মিলে মুগুর দিয়ে পেটায় তাকে। |
|||
বল্লে বেশি ভাববে শেষে এ-সব কথা ফেনিয়ে বলা— |
|||
দেখবে যদি আপন চোখে যাও না কেন বেনিয়াটোলা।</poem>}} |
|||
{{right|[[চিত্র:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খন্ড ৬৯.png|200px]]}} |
{{right|[[চিত্র:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খন্ড ৬৯.png|200px]]}} |
||
{{nop}} |
|||
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh|৬৪||সুকুমার সমগ্র রচনাবলী}} |
০০:২৪, ৩০ জুলাই ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পালোয়ান
খেলার ছলে ষষ্ঠিচরণ হাতি লোফেন যখন তখন,
দেহের ওজন উনিশটি মন, শক্ত যেন লোহার গঠন।
একদিন এক গুন্ডা তাকে বাঁশ বাগিয়ে মার্ল বেগে—
ভাঙল সে-বাঁশ শোলার মত মট্ ক’রে তার কনুই লেগে।
এই তো সেদিন রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে দৈব বশে,
উপর থেকে প্রকান্ড ইঁট পড়ল তাহার মাথায় খ’সে।
মুন্ডুতে তার যেম্নি ঠেকা অম্নি সে ইঁট এক নিমেষে
গুঁড়িয়ে হ’ল ধুলোর মতো, ষষ্ঠি চলেন মুচ্কি হেসে।
ষষ্ঠি যখন ধমক হাঁকে কাঁপতে থাকে দালান বাড়ি,
ফুঁয়ের জোরে পথের মোড়ে উল্টে পড়ে গরুর গাড়ি।
ধুম্সো কাঠের তক্তা ছেঁড়ে মোচড় মেরে মুহূর্তেকে,
একশো জালা জল ঢালে রোজ স্নানের সময় পুকুর থেকে।
সকাল বেলার জলপানি তার তিনটি ধামা পেস্তা মেওয়া,
সঙ্গে তারি চৌদ্দ হাঁড়ি দই কি মালাই মুড়কি দেওয়া।
দুপুর হলে খাবার আসে কাতার দিয়ে ডেক্চি ভ’রে,
বরফ দেওয়া উনিশ কুঁজো সরবতে তার তৃষ্ণা হরে।
বিকাল বেলা খায়না কিছু গন্ডা দশেক মন্ডা ছাড়া,
সন্ধ্যা হলে লাগায় তেড়ে দিস্তা দিস্তা লুচির তাড়া ।
রাত্রে সে তার হাত-পা টেপায় দশটি চেলা মজুত থাকে,
দুম্দুমাদুম্ সবাই মিলে মুগুর দিয়ে পেটায় তাকে।
বল্লে বেশি ভাববে শেষে এ-সব কথা ফেনিয়ে বলা—
দেখবে যদি আপন চোখে যাও না কেন বেনিয়াটোলা।