পাতা:হরিলক্ষ্মী.djvu/৩৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
Pritam8981682009 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
যখনই দেখা হইয়াছে, সর্ব্বাগ্রে ইহাদের কথাই তাহার মনে হইয়াছে, অথচ একটা দিনের জন্য স্বামীকে প্রশ্ন করে নাই। প্রশ্ন করিতে তাহার যেন ভয় করিত। মনে করিত, এত দিনে হয় ত যা হোক একটা বোঝা-পড়া হইয়া গিয়াছে, হয় ত ক্রোধের সে প্রখরতা আর নাই—জিজ্ঞাসাবাদের দ্বারা পাছে আবার সেই পূর্ব্বক্ষত বাড়িয়া উঠে, এ আশঙ্কায় সে এমনই একটা ভাব ধারণ করিয়া থাকিত, যেন সে সকল তুচ্ছ কথা আর তাহার মনেই নাই। ও দিকে শিবচরণও নিজে হইতে কোন দিন বিপিনদের বিষয় আলোচনা করিত না। সে যে স্ত্রীর অপমানের ব্যাপার বিস্মৃত হয় নাই, বরঞ্চ তাহার অবর্ত্তমানে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়াছে, এই কথাটা সে হরিলক্ষ্মীর কাছে গোপন করিয়াই রাখিত। তাহার সাধ ছিল লক্ষ্মী গৃহে ফিরিয়া নিজের চোখেই সমস্ত দেখিতে পাইয়া আনন্দিত বিস্ময়ে আত্মহারা হইয়া উঠিবে।
যখনই দেখা হইয়াছে, সর্ব্বাগ্রে ইহাদের কথাই তাহার মনে
হইয়াছে, অথচ একটা দিনের জন্য স্বামীকে প্রশ্ন করে নাই।
প্রশ্ন করিতে তাহার যেন ভয় করিত। মনে করিত, এত দিনে
হয় ত যা হোক একটা বোঝা-পড়া হইয়া গিয়াছে, হয় ত ক্রোধের
সে প্রখরতা আর নাই - জিজ্ঞাসাবাদের দ্বারা পাছে আবার
সেই পূর্ব্বক্ষত বাড়িয়া উঠে, এ আশঙ্কায় সে এমনই একটা ভাব
ধারণ করিয়া থাকিত, যেন সে সকল তুচ্ছ কথা আর তাহার
মনেই নাই। অ দিকে শিবচরণও নিজে হইতে কোন দিন
বিপিনদের বিষয় আলোচনা করিত না। সে যে স্ত্রীর অপমানের
ব্যাপার বিস্মৃত হয় নাই, বরঞ্চ তাহার অবর্ত্তমানে যথোপযুক্ত
ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়াছে, এই কথাটা সে হরিলক্ষ্মীর কাছে
গোপন করিয়াই রাখিত। তাহার সাধ ছিল লক্ষ্মী গৃহে ফিরিয়া
নিজের চোখেই সমস্ত দেখিতে পাইয়া আনন্দিত বিস্ময়ে আত্মহারা
হইয়া উঠিবে।


বেলা বাড়িয়া উঠিবার পূর্ব্বেই পিসিমার পুনঃ পুনঃ সস্নেহ
{{gap}}বেলা বাড়িয়া উঠিবার পূর্ব্বেই পিসিমার পুনঃ পুনঃ সস্নেহ তাড়নায় লক্ষ্মী স্নান করিয়া আসিলে তিনি উৎকণ্ঠা প্রকাশ করিয়া বলিলেন, তোমার রোগা শরীর বৌমা, নিচে গিয়ে কাজ নেই, এইখানেই ঠাঁই ক’রে ভাত দিয়ে যাক্।
{{nop}}
তাড়নায় লক্ষ্মী স্নান করিয়া আসিলে তিনি উৎকণ্ঠা প্রকাশ করিয়া
বলিলেন, তোমার রোগা শরীর বৌমা, নিচে গিয়ে কাজ নেই,
এইখানেই ঠাঁই ক'রে ভাই দিয়ে যাক্।
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
<center>৩৪</center>
<center>৩৪</center>
<references/>

২০:৫৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
হরিলক্ষ্মী

যখনই দেখা হইয়াছে, সর্ব্বাগ্রে ইহাদের কথাই তাহার মনে হইয়াছে, অথচ একটা দিনের জন্য স্বামীকে প্রশ্ন করে নাই। প্রশ্ন করিতে তাহার যেন ভয় করিত। মনে করিত, এত দিনে হয় ত যা হোক একটা বোঝা-পড়া হইয়া গিয়াছে, হয় ত ক্রোধের সে প্রখরতা আর নাই—জিজ্ঞাসাবাদের দ্বারা পাছে আবার সেই পূর্ব্বক্ষত বাড়িয়া উঠে, এ আশঙ্কায় সে এমনই একটা ভাব ধারণ করিয়া থাকিত, যেন সে সকল তুচ্ছ কথা আর তাহার মনেই নাই। ও দিকে শিবচরণও নিজে হইতে কোন দিন বিপিনদের বিষয় আলোচনা করিত না। সে যে স্ত্রীর অপমানের ব্যাপার বিস্মৃত হয় নাই, বরঞ্চ তাহার অবর্ত্তমানে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়াছে, এই কথাটা সে হরিলক্ষ্মীর কাছে গোপন করিয়াই রাখিত। তাহার সাধ ছিল লক্ষ্মী গৃহে ফিরিয়া নিজের চোখেই সমস্ত দেখিতে পাইয়া আনন্দিত বিস্ময়ে আত্মহারা হইয়া উঠিবে।

 বেলা বাড়িয়া উঠিবার পূর্ব্বেই পিসিমার পুনঃ পুনঃ সস্নেহ তাড়নায় লক্ষ্মী স্নান করিয়া আসিলে তিনি উৎকণ্ঠা প্রকাশ করিয়া বলিলেন, তোমার রোগা শরীর বৌমা, নিচে গিয়ে কাজ নেই, এইখানেই ঠাঁই ক’রে ভাত দিয়ে যাক্।

৩৪