বৌদ্ধ-ভারত/তৃতীয় অধ্যায়

উইকিসংকলন থেকে

তৃতীয় অধ্যায়

বৌদ্ধবিধি ও সঙ্ঘের প্রকৃতি

 ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাস একান্ত বিচ্ছিন্ন হইলেও একথা একরূপ সর্ব্ববাদিসম্মত যে, ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক যুগের সূচনাকালেই ভগবান্ বুদ্ধ তাঁহার উদার ধর্ম্মদ্বারা আর্য্য ও অনার্য্য দ্বন্দ্বের সমাধান করিবার চেষ্টা পাইয়াছিলেন; অথবা তাঁহার সার্ব্বভৌম ধর্ম্মের পুণ্যপ্রভাব আপনা আপনি বিবাদরত আর্য্য-অনার্য্যদিগের মনোমালিন্য দূর করিতেছিল।

 বদ্ধের ধর্ম্ম ও সঙ্ঘের দিকে দৃষ্টিপাত করিবামাত্র ইহাই সর্ব্বপ্রথমে দেখা যায় যে, ধর্ম্মের মিলন-মন্দিরের চারিদিকে তিনি কৃত্রিম প্রাচীর তুলিয়া বাধার সৃষ্টি করেন নাই। এই জন্য আর্য্য অনার্য্য প্রত্যেকেই বলিতে পারিল “বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধর্ম্মং শরণং গচ্ছামি,” বুদ্ধ, ধর্ম্ম ও সঙ্ঘ জাতিবর্ণনির্ব্বিচারে সকলের আশ্রয় হইল। বুদ্ধের বাণী কেবল উচ্চবর্ণের কতিপয় পণ্ডিতের উপভোগ্য হইল না, সমাজের নিম্নতম শ্রেণীর পতিতেরাও ইহার ভাগ পাইয়াছিল। ফলে এই ধর্ম্মকে আশ্রয় করিয়া প্রাচীন ভারতে যে জাগরণ দেখা গিয়াছিল সেই জাগরণ সাম্প্রদায়িক নহে—উহাতে সকল দেশই জাগিয়া উঠিয়াছিল। সেই জাগরণ শিল্পবিজ্ঞান, সাহিত্যদর্শন, সমাজরাষ্ট্র সব দিকেই সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ পাইয়াছিল।

 বুদ্ধ যে মুক্তির বাণী প্রচার করিলেন তাহা অনার্য্যের কর্ণগোচর না হইলে ক্ষৌরকার উপালী ধর্ম্মশাস্ত্রের বক্তা ও ব্যাখ্যাতা হইতে পারিতেন না এবং পতিতা বারাঙ্গনা আম্রপালী ভিক্ষুণীর শিরোমণি হইতেন না। স্থবির শীলবানের মুখে আমরা এই আশ্চর্য্য বাণী শুনিলাম যে, তিনি চণ্ডাল হইয়াও এই ধর্ম্ম-প্রভাবে সকল মানবের পূজনীয় হইতে পারিয়াছিলেন। ভগবান্ বুদ্ধের ধর্ম্মে ও সঙ্ঘে সাম্যের এই ছাপ বাহির হইতেই দেখা যাইতে পারে।

 বৌদ্ধসাধনা দুঃখ নিবৃত্তির সাধনা। এই জন্য ভগবান্ বুদ্ধ মৈত্রী ও মঙ্গল গ্রহণ করিতে বলিয়াছেন। মৈত্রীভাবনার দ্বারা মানুষের মন উদার ও প্রসন্ন হইয়া থাকে, ইহা নিঃসন্দেহ সত্য কথা। “সমুদয় পুরুষ, সমুদয় স্ত্রী, সমুদয় অনার্য্য, সমুদয় দেবতা, সমুদয় মনুষ্য, সমুদয় অমনুষ্য, সমুদয় প্রেতপিশাচ নরকের জীব শত্রুহীন হউক, বিপদহীন হউক, রোগহীন হউক।” এই প্রকার ভাবনার মধ্যে মনটিকে ডুবাইয়া রাখিলে মন ক্রমশঃ সকল গ্লানি, পাপতাপ হিংসাদ্বেষ হইতে মক্ত হইয়া আনন্দে উজ্জ্বল হইয়া উঠে। সকল আর্য্য ও অনার্য্যকে বুদ্ধ এই ভাবনার মন্ত্র দান করিয়াছেন এবং এই মৈত্রীর মন্ত্র তিনি কৃপণের ধনের মত সম্প্রদায়ের সিন্ধুকের মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়া এই কথা কাহাকেও বলেন নাই যে পুণ্যমন্ত্রে ইহার অধিকার আছে, ইহার অধিকার নাই। তাঁহার এই মৈত্রীর মন্ত্রই সঙ্ঘের সৃষ্টির মূলে অসামান্য প্রভাব বিস্তার করিয়া থাকিবে। এই মৈত্রী মন্ত্রের উদারতা ও সাম্য বৌদ্ধ সঙ্ঘকে মঙ্গল-শ্রী দান করিয়াছিল।

 বুদ্ধশিষ্যের ভাবনা যেমন মৈত্রী, অনুষ্ঠান তেমনি মঙ্গল। এই মঙ্গলকে বুদ্ধশিষ্য তাহার জীবনের প্রধান পাথেয় বলিয়া জানেন। এই মঙ্গলকে তিনি অঙ্গের অলঙ্কার করিয়া নির্ভয়ে সংসারে বিচরণ করিয়া থাকেন। এই মঙ্গল অর্থাৎ শীল প্রতিপালন দ্বারা তিনি তাঁহার প্রাত্যহিক জীবন সংযত ও সুন্দর করিবেন। এই শীলই তাহার নির্ব্বাণ বা অমৃতপারে প্রবেশের দরজা।

 মঙ্গলকে যিনি স্বীকার করেন, তাহাকে একমাত্র আপনার সুখ ও সুবিধার দিকে চাহিলে চলে না। কারণ যাহা একের পক্ষে মঙ্গল অন্যের পক্ষে মঙ্গল নহে, তাহা প্রকৃত মঙ্গলই নহে। যাহা আজ মঙ্গল এবং চিরকাল মঙ্গল, যাহা একজনের মঙ্গল এবং সকলের মঙ্গল, তাহাই প্রকৃত মঙ্গল। মঙ্গল কি তাহা বুঝিবার জন্য কাহাকেও ক্লেশ স্বীকার করিতে হয় না, সাধারণ সোজা বুদ্ধি দিয়াই তাহা বেশ বুঝিতে পারা যায়। ভগবান্ বুদ্ধ এই মঙ্গলকেই প্রকাশ ও প্রচার করিয়াছেন বলিয়া মানুষের সাধারণ বুদ্ধি তাঁহার ধর্ম্মকে স্বীকার করিতে কোনপ্রকার বাধা অনুভব করে নাই।

 বৌদ্ধ সঙ্ঘে শ্রমণ ও শ্রামণেরদিগকে এত যে বিধিনিয়ম মানিয়া চলিতে হয় সেখানেও দেখা যায় যে, সেই বিধিনিয়মগুলির দ্বারা মঙ্গলশ্রী পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়া থাকে। ভাল হইয়া উঠিবার জন্য মানুষকে স্বেচ্ছায় যাহা মানিতে হয় [“প্রাণী বধ করিব না,” “ব্যভিচার করিব না,” “মিথ্যা কহিব না,” “সরাপান করিব না” ইত্যাদি] শীলগুলি তেমই সহজবিধি। অথচ প্রাত্যহিক জীবনে মানুষ এই সোজা কথাগুলি ভুলিয়া যায়। এইজন্য এই সোজা নীতিগুলিও বারংবার স্মরণ করিবার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে। সুতরাং এই শীলগুলি মানিয়া চলিলে কাহারো স্বাধীনতা খর্ব্ব হইতে পারে না, পরন্তু, ব্যক্তিগত স্বেছাচার দূর হইলে সকল মানুষের সহিত প্রীতির সম্বন্ধ স্থাপিত হইবার কথা।

 সাধনার ক্ষেত্রে বৌদ্ধ সাধকের স্বাধীনতা কোনদিকে বিন্দুমাত্র খর্ব্ব হয় নাই—কারণ তিনি আপনি আপনার অবলম্বন এবং আপনার বীর্য্যকে ও শক্তিকে জাগাইয়া তুলিয়া তিনি আপন অধ্যবসায় বলেই নির্ব্বাণলাভ করেন। সঙ্ঘের মধ্যেও এই স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে। প্রবীণ নবীন ভিক্ষুদিগের প্রতিপাল্য নিয়মের যতই বাহুল্য থাকুক না কেন সেখানেও মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি অসামান্য শ্রদ্ধাই দেখানো হইয়াছে। সঙ্ঘের নিম্নতম নবীন ভিক্ষুও কোন কারণে অনাদৃত হইতেন না। প্রত্যেক ভিক্ষুর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই বিধি হইয়াছে—

 (১) কোন ভিক্ষু ঈর্ষা বা ক্রোধের বশবর্ত্তী হইয়া অন্য কোন দোষ অযথা আরোপ করিলে অপরাধী হইবেন।

 (২) এক ভিক্ষু অপর কোন ভিক্ষুর অনুপস্থিতিকালে তাঁহার অসুবিধা ঘটাইবার অসদভিপ্রায়ে তাঁহার বাসস্থান অংশতঃ অধিকার করিলেও অপরাধী হইবেন।

 (৩) এক ভিক্ষু অপর কোন ভিক্ষুর প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়া তাঁহাকে সঙ্ঘ হইতে তাড়াইয়া দিলে অপরাধী হইবেন।

 (৪) এক ভিক্ষু অপর কোন ভিক্ষুর প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়া তাঁহাকে আঘাত করিলে কিংবা ভয় দেখাইবার উদ্দেশ্যে অঙ্গভঙ্গী করিলে অপরাধী হইবেন।

 (৫) এক ভিক্ষু অপর কোন ভিক্ষুর মনে ধর্ম্মবিষয়ে সংশয় জন্মাইয়া দিলে অপরাধী হইবেন।

 সঙ্ঘ মধ্যে কোন ভিক্ষু বিনা কারণে অন্যকর্ত্তৃক যাহাতে নিন্দিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত কিবা উপদ্রুত না হইতে পারেন তাহারই জন্য উল্লিখিত বিধিগলি প্রণীত ও প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল। পরন্তু, যিনি ভিক্ষুরূপে সঙ্ঘে স্থান পাইয়াছেন সঙ্ঘের প্রত্যেক সাধারণ অনুষ্ঠানের সহিত তাঁহার যোগ রহিয়াছে। বৌদ্ধ সঙ্ঘের বিধিব্যবস্থাগুলি পাঠ করিলে ইহা অনায়াসেই দেখা যায় যে, সঙ্ঘের ভিক্ষু সঙ্ঘকেই শ্রদ্ধাপূর্ব্বক মানিয়া চলিতেন, অপর কোন শক্তিশালী ভিক্ষুর শাসন তাঁহাকে স্বীকার করিতে হইত না। গণতন্ত্রতার বিধান অনুসারেই সঙ্ঘের সাধারণ কর্ত্তব্যগুলি নিষ্পন্ন হইত।

 দৃষ্টান্তস্বরূপ উপসম্পদাগ্রহণের বিধি আলোচিত হইতে পারে। কোন নবীন ভিক্ষু উপসম্পদাগ্রহণের প্রার্থী হইলে সঙ্ঘ তাঁহাকে উপদেশ দিবার জন্য একজন শ্রমণ নিযুক্ত করিবেন। উপদেষ্টা ভিক্ষু সঙ্ঘের সম্মুখে বিজ্ঞপ্তি করিবেন—“মাননীয় ভিক্ষুগণ, অমুক ব্যক্তি উপসম্পদাগ্রহণের ইচ্ছা করিয়াছেন, সঙ্ঘ যদি সম্মতি প্রদান করেন আমি তাঁহাকে উপদেশ প্রদান করিতে পারি।” দীক্ষার্থীর প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হইলে উপদেশক সঙ্ঘের সম্মুখে নিবেদন করিবেন—"মাননীয় ভিক্ষুগণ, দীক্ষার্থী অমুক ভিক্ষুকে আমি যথাবিহিত উপদেশ দিয়াছি, আপনাদের অনুমতি হইলে তাঁহাকে আপনাদের সম্মুখে উপস্থিত করিতে পারি।” সঙ্ঘের সম্মতি পাইয়া দীক্ষার্থী যথাযোগ্য বসন পরিধান করিয়া সম্মিলিত ভিক্ষুদের সমীপে যুক্তকরে নিবেদন করিবেন— “মাননীয় ভিক্ষুগণ, আমি উপসম্পদাগ্রহণের ইচ্ছা জানাইতেছি, অনুকম্পা করিয়া আমাকে উপসম্পদা দান করুন।” দীক্ষার্থী তিনবার এইরূপ বিজ্ঞপ্তি করিয়া থাকেন। অতঃপর তাঁহার উপদেষ্টা বলিবেন—“মাননীয় ভিক্ষুগণ, আমার নিবেদন শ্রবণ করুন, অমুক ব্যক্তি অমুক ভিক্ষুর নিকট উপসম্পদাদীক্ষা গ্রহণ করিতে চাহিতেছেন, আপনাদের অনুমতি হইলে আমি দীক্ষার্থীকে এই দীক্ষা গ্রহণের সম্বন্ধে যাহা বাধা আছে একে একে সেইগুলি জিজ্ঞাসা করি।” সঙ্ঘ অনুমতি প্রদান করিলেন; তখন উপদেষ্টা একে একে প্রশ্ন করিলেন।

 প্রশ্নোত্তর হইতে ভিক্ষুগণ জানিতে পারিলেন যে, দীক্ষার্থীর কুষ্ঠ, গণ্ড, শ্বেত, শ্বাস কিম্বা অপস্মার প্রভৃতি রোগ নাই; তিনি স্বাধীন এবং অঋণী; তিনি রাজ্যভৃত্য অথবা ক্রীতদাস নহেন; তাঁহার বয়স বিশবৎসর পূর্ণ হইয়াছে এবং গৃহত্যাগের সময়ে তিনি মাতাপিতার অনুমতি পাইয়াছেন।

 এইরূপে সঙ্ঘের ভিক্ষুরা যখন দীক্ষার্থীর সম্বন্ধে তাহাদের সকল জ্ঞাতব্য জানিয়া প্রসন্ন হইলেন তখন নবীনভিক্ষু উপসম্পদা প্রাপ্ত হইয়া সঙ্ঘমধ্যে প্রতিষ্ঠালাভ করেন এবং ভিক্ষর পূর্ণ অধিকার লাভে সমর্থ হন।

 দীক্ষাগ্রহণের সময়েই নবীন ভিক্ষু সঙ্ঘের সম্মিলিত ভিক্ষুগণের নিকটে প্রণত হইয়া সঙ্ঘকে স্বীকার করিয়া লইয়া থাকেন। বুদ্ধ তাঁহার কাছে যেমন সত্য, ধর্ম্ম তাঁহার কাছে যেমন সত্য, সঙ্ঘ ও তেমনি সত্য।

 আড়াই হাজার বৎসর পূর্ব্বে ভারতবর্ষের বৌদ্ধ বিহারে সংসারত্যাগী ভিক্ষুরা গণতন্ত্রতাকে এমন করিয়া সম্মান করিতেন। অধুনা সুসভ্যজাতিসমূহদের মধ্যে যেমন “Voting by ballot” অর্থাৎ ছোট ছোট গোলক বা টিকেট দ্বারা ভোট লইয়া বিচার করিবার রীতি দেখা যায়; প্রাচীন বৌদ্ধ সঙ্ঘে সেইরূপ সম্বহুলতার বিচার প্রণালী প্রবর্ত্তিত ছিল। বিচারের জন্য ভিক্ষুরা ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের শলাকা ব্যবহার করিতেন এবং শলাকা গণনা দ্বারাই মতবাহল্য নির্ণীত হইত।

 কখন কোনো জটিল প্রশ্নের মীমাংসার জন্য সঙ্ঘের ভিক্ষুদিগের মত গ্রহণের প্রয়োজন উপস্থিত হইলে, তখন ভিক্ষুদের মধ্যে কোন সুযোগ্য ব্যক্তি যথারীতি প্রস্তাবিত, অনুমোদিত হইয়া শলাকা-গ্রহীতা বিচারপতি মনোনীত হইতেন। যিনি অপক্ষপাত, অদ্বেষ্টা, বুদ্ধিমান ও নির্ভীক নহেন তিনি কদাচ এমন সম্মানজনক পদ লাভ করিতে পারিতেন না। ভিক্ষুরা সাধারণতঃ মৌনাবলম্বন দ্বারাই সম্মতি জানাইতেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এই বিচার প্রণালী আলোচনা করিলে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, তাহারা কাহারো ব্যক্তিগত মতকে উপেক্ষা করিতেন না। সঙ্ঘের সর্ব্ববিধ সাধারণ প্রশ্নের সহিত প্রত্যেকে ভিক্ষুর ব্যক্তিগত যে যোগ ছিল সেই যোগ সাম্য ও স্বাধীনতারই পরিচায়ক। এই যোগ স্বেচ্ছায় ছিন্ন করিবার সাধ্য কাহারো ছিল না। পরন্তু, এই স্বেচ্ছাচার অপরাধ বলিয়াই গণ্য হইত। এই জন্যই বিধি হইয়াছে:

 (১) সঙ্ঘ যখন কোনো বিষয়ের মীমাংসায় প্রবৃত্ত আছেন তখন আপনার মত প্রকাশ না করিয়া কোন ভিক্ষু চলিয়া যাইতে পারিবেন না।

 (২) কোনো কার্য্যের আরম্ভকালে সম্মতি দিয়া কোন ভিক্ষু পরে ঐ কার্য্যের আর আপত্তি করিতে পারিবেন না।

 (৩) সঙ্ঘ কোনো বিষয়ের যে মীমাংসা করিয়াছেন কোনো ভিক্ষু সেই মীমাংসার বিরুদ্ধে আন্দোলন তুলিতে পারিবেন না।

 সামাজিক বাধা তুলিয়া দিয়া উচ্চনীচ আর্য্য অনার্য্য সকলে মিলিত হইয়া বুদ্ধের পবিত্র ধর্ম্মের আশ্রয়ে সঙ্ঘমধ্যে যে আশ্চর্য্য সভ্যতার সৃষ্টি করিয়াছিল এক সময়ে সমস্ত ভারতবর্ষ তাহার সুফল লাভ করিয়া কৃতার্থ হইয়াছিল।