বৌ-ঠাকুরাণীর হাট
বিশ্বভারতী-গ্ৰন্থালয়
২১০.নং কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা।
বিশ্বভারতী-গ্রন্থালয়
২১০ নং কর্ণওয়ালিস্ স্ট্রীট, কলিকাতা।
প্রকাশক-রায় সাহেব শ্রীজগদানন্দ রায়।
বৌ-ঠাকুরাণীর হাট
প্রথম সংস্করণ ১২৯০
∗ ∗ ∗ ∗
পুনঃমুদ্রণ ⋅⋅⋅ শ্রাবণ, ১৩৩৯।
মূল্য দেড় টাকা
শান্তিনিকেতন প্রেস। শান্তিনিকেতন, (বীরভূম)
রায়সাহেব শ্রীজগদানন্দ রায় কর্তৃক মুদ্রিত।
সুরমা কহিলেন, “প্রিয়তম, সহ্য করিয়া থাকো, ধৈর্য ধরিয়া থাকো। একদিন সুখের দিন আসিবে।”
উদয়াদিত্য কহিলেন, “আমি তো আর-কোনো সুখ চাই না। আমি চাই, আমি রাজপ্রাসাদে না যদি জন্মাইতাম, যুবরাজ না যদি হইতাম, যশোহর-অধিপতির ক্ষুদ্রতম তুচ্ছতম প্রজার প্রজা হইতাম! তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র– তাঁহার সিংহাসনের, তাঁহার সমস্ত ধন মান যশ প্রভাব গৌরবের একমাত্র উত্তরাধিকারী না হইতাম! কী তপস্যা করিলে এ-সমস্ত অতীত উলটাইয়া যাইতে পারে!”
সুরমা অতি কাতর হইয়া যুবরাজের দক্ষিণ হস্ত দুই হাতে লইয়া চাপিয়া ধরিলেন, ও তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া ধীরে ধীরে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিলেন। যুবরাজের ইচ্ছা পুরাইতে প্রাণ দিতে পারেন, কিন্তু প্রাণ দিলেও এই ইচ্ছা পুরাইতে পারিবেন না, এই দুঃখ।
যুবরাজ কহিলেন, “সুরমা, রাজার ঘরে জন্মিয়াছি বলিয়াই সুখী হইতে পারিলাম না। রাজার ঘরে সকলে বুঝি কেবল উত্তরাধিকারী হইয়া জন্মায়, সন্তান হইয়া জন্মায় না। পিতা ছেলেবেলা হইতেই আমাকে প্রতিমুহূর্তে পরখ করিয়া দেখিতেছেন, আমি তাঁহার উপার্জিত যশোমান বজায় রাখিতে পারিব কি না, বংশের মুখ উজ্জ্বল করিতে পারিব কি না, রাজ্যের গুরুভার বহন করিতে পারিব কি না। আমার প্রতি কার্য, প্রতি অঙ্গভঙ্গি তিনি পরীক্ষার চক্ষে দেখিয়া আসিতেছেন, স্নেহের চক্ষে নহে। আত্মীয়বর্গ, মন্ত্রী, রাজসভাসদ্গণ, প্রজারা আমার প্রতি কথা প্রতি কাজ খুঁটিয়া খুঁটিয়া লইয়া আমার ভবিষ্যৎ গণনা করিয়া আসিতেছে। সকলেই ঘাড় নাড়িয়া কহিল– না, আমার দ্বারা এ বিপদে রাজ্য রক্ষা হইবে না। আমি নির্বোধ, আমি কিছুই বুঝিতে পারি না। সকলেই আমাকে অবহেলা করিতে লাগিল, পিতা আমাকে ঘৃণা করিতে লাগিলেন। আমার আশা একেবারে পরিত্যাগ করিলেন। একবার খোঁজও লইতেন না।
সুরমার চক্ষে জল আসিল। সে কহিল, “আহা! কেমন করিয়া পারিত!”
তাহার দুঃখ হইল, তাহার রাগ হইল, সে কহিল, “তোমাকে যাহারা নির্বোধ মনে করিত তাহারাই নির্বোধ।”
উদয়াদিত্য ঈষৎ হাসিলেন, সুরমার চিবুক ধরিয়া তাহার রোষে আরক্তিম মুখখানি নাড়িয়া দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে গম্ভীর হইয়া কহিলেন,
“না সুরমা, সত্য সত্যই আমার রাজ্যশাসনের বুদ্ধি নাই। তাহার যথেষ্ট পরীক্ষা হইয়া গেছে। আমার যখন ষোল বৎসর বয়স, তখন মহারাজ কাজ শিখাইবার জন্য হোসেনখালি পরগনার ভার আমার হাতে সমর্পণ করেন। ছয় মাসের মধ্যেই বিষম বিশৃঙ্খলা ঘটিতে লাগিল। খাজনা কমিয়া গেল, প্রজারা আশীর্বাদ করিতে লাগিল। কর্মচারীরা আমার বিরুদ্ধে রাজার নিকটে অভিযোগ করিতে লাগিল।রাজসভার সকলেরই মত হইল, যুবরাজ প্রজাদের যখন অত প্রিয়পাত্র বৌ-ঠাকুরাণীর হাট 6: বুদ্ধিহীন হৃদয়ের বিরুদ্ধে এঞ্চ দিনেব জন্য সমস্ত জগৎকে যেন উত্তেজিত করিয়া দিয়াছিলেন, বিশ্বচরাচর যেন একতন্ত্র হইয়া আমার এই স্কুঞ্জ হৃদয়টিকে মুহূৰ্বে বিপথে লইয়া গেল। মুহূৰ্ত্তমত্ৰ—আর অধিক নয় সমস্ত বহির্জগতের মুহূৰ্ত্তস্থায়ী এক নিদারুণ আঘাত, আব মুহূর্বের মধ্যে একটি Fiণ হৃদয়ের মূল বিদীর্ণ হষ্টয় গেলঃবিদ্যুদ্বেগে সে ধুলিকে আলিঙ্গন করিয়া পড়িল । তাহার পরে যখন উঠিল তখন ধূলিধূসরিত, স্নান, সে ধূলি আব মুছিল না, সে মলিনতার চিন্তু আর উঠিল না। আমি কি করিয়াছিলন, বিদ্যুত, যে পাপে এক মূহূৰ্বের মধ্যে আমার জীবনের সমস্ত প্রকে কালি করিলে ? নিকে রাত্রি কবিলে ? অমর হৃদয়ের পুপ-বনে মালী ৪ জুই ফুলের মৃগগুলিও যেন লজ্জয় কালে হইয় গেল !” বলিতে বলিতে উদয়াদিত্যের গৌরবর্ণ মুর্থ রক্তবর্ণ-হুষ্টয়া উঠিল, অয়ত নেত্র অধিকতর বিস্ফাৱিত ইষ্টয়; উঠিল, মাথা হইতে পা পর্ব্যস্ত একটি বিদ্যুৎশিখা কাপিয়া উঠিল । সুবন চর্ষে, গৰ্ব্বে, কষ্টে কহিল “আমার মাথ। খাও, ওকথ। থাক্ ৷” উদয়াদিত্য, “ধীরে ধীরে যখন রক্ত শীতল হইয়া গেল সকলি যখন • যথাযথ পরিমাণে দেখিতে পাইলাম ; যখন জগৎকে উষ্ণ, ঘূর্ণিত মস্তিষ্ক, রক্ত-নয়ন মাতালের কুঙ্কটিকাময় ঘূর্ণ্যমান স্বপ্নদৃপ্ত বলিয়া মনে না হইয়া প্রকৃত কার্যাক্ষেত্র বলিয়া মনে হটল, তখন মনের কি অবস্থা। কোথা হইতে কোথায় मैडन : শত সহস্ৰ লক্ষ ক্রোশ পাতালের গহ্বরে,জন্তু वृकडग्न अझडम ब्रश्नौब शाश्वा ॐtरूबाटछ अनक न ८कनिष्ठ भफिब গেলাম। দাদামহাশয় স্নেহভরে ভাকিয় जल्लेब'cशनन ; ॐाह মুখ দেখাইলাম কি বলিয়া ? কিন্তু সেই অবধি আমাকে রায়গড় খ্রি इहेन । जोशाघश*ग्न बायाटके मा দেখিলে থাকিতে পারেন না; আঁধাঙ্গে উক্রিয় পাঠাইতেন। আমার এমনি ভয় করিত যে আমি কোন মস্তেই 5ाब मी । ऊिनि चब्र६ जांभळक ७ छग्निर्नौ दिञ्चांद्रक দেখিতে
- সূচী
- সূচনা
- উপহার
- প্রথম পরিচ্ছেদ
- দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
- তৃতীয় পরিচ্ছেদ
- চতুর্থ পরিচ্ছেদ
- পঞ্চম পরিচ্ছেদ
- ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
- সপ্তম পরিচ্ছেদ
- অষ্টম পরিচ্ছেদ
- নবম পরিচ্ছেদ
- দশম পরিচ্ছেদ
- একাদশ পরিচ্ছেদ
- দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
- ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ
- চতুর্দশ পরিচ্ছেদ
- পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ
- ষোড়শ পরিচ্ছেদ
- সপ্তদশ পরিচ্ছেদ
- অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ
- ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ
- বিংশ পরিচ্ছেদ
- একবিংশ পরিচ্ছেদ
- দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ
- ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ
- চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ
- পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ
- ষড়্বিংশ পরিচ্ছেদ
- সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ
- অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ
- ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- ত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- একত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- ত্রয়স্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- ষট্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ
- সপ্তত্রিংশ পরিচ্ছেদ