বিষয়বস্তুতে চলুন

ভীষণ হত্যা/ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

উইকিসংকলন থেকে

ষষ্ঠ পরিচ্ছদ।

 বিমলাচরণ দত্তের বাড়ী হইতে প্রায় ১০ ক্রোশ ব্যবধানে চন্দ্রমুখী ওরফে গিরিবালার শ্বশুর বাড়ী। গিরিবালার পুত্রের নাম শশীভূষণ, শ্বশুরের নাম কমলাকান্ত। বিমলা চরণ দত্তের নিকট হইতে সমস্ত কথা অবগত হইয়া, আমি কমলাকান্তের গ্রামাতিমুখে গমন করিলাম। ঐ স্থানে গমন করিতে হইলে শকট ভিন্ন উপায়ান্তর ছিল না; সুতরাং শকটযানে আরোহণ করিয়া ঐ গ্রামের নিকটবর্ত্তী এক গ্রামে উপনীত হইলাম। মনে মনে ইচ্ছা, একেবারে কমলাকান্তের বাড়ীতে উপস্থিত না হইয়া যতদুর সম্ভব বাহিরে বাহিরে অনুসন্ধান করিব, ও পরিশেষে সেই গ্রামে উপস্থিত হইয়া ঐ অনুসন্ধান শেষ করিব।

 সকল দেশেই ও সকল গ্রামেই ভাল মন্দ উভয় প্রকারের লোক দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দ লোকের মধ্যে আবার এরূপ অনেক লোক পাওয়া যায় যে, কাহারও সহিত তাহাদিগের কোনরূপ মনোবিবাদ না থাকিলেও কোনগতিকে সুযোগ পাইলে, তাহারা, অপরের অনিষ্ট করিতে কোনরূপে পরাষ্মুখ হয় না; ইহাতে তাহাদিগের কোনরূপ স্বার্থ থাকুক বা না থাকুক, পরের অপকার করাই যেন তাহাদিগের জীবনের প্রধান কার্য্যের মধ্যে পরিগণিত। এরূপ লোক-চরিত্রের কথা যে আমি কল্পনা করিয়া বলিতেছি তাহা নহে। সহর বলুন বা পল্লীগ্রাম বলুন, যে স্থানে অনুসন্ধান করিবেন, সেইস্থানেই এরূপ প্রকৃতির লোক প্রাপ্ত হইবেন। যে সকল কার্য্য বা কথার দ্বারা অপরের অনিষ্ট হইবার কোনরূপ সম্ভাবনা থাকে, সেই সকল বিষয় প্রকৃত হইলেও ভাল লোকের মুখ হইতে উহা প্রায়ই বাহির হয় না, আবশ্যক হইলে তাহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ মিথ্যা কহিয়াও দোষী ব্যক্তিদিগকে বাঁচাইবার চেষ্টা করিয়া থাকেন। সুতরাং দুষ্পাঠ্য লোকদিগের সাহায্যে পুলিস-কর্ম্মচারীগণের কোন দুষ্পাঠ্য অনুসন্ধান করিবার বা তাঁহাদিগের নিকট হইতে কোন বিষয় অবগত হইবার প্রায় সুবিধাই হয় না; সুতরাং অনন্যোপায় হইয়া কার্য্য উদ্ধার করিবার জন্য পুলিস-কর্ম্মচারীগণের ঐ সকল মন্দ লোকের সাহায্য গ্রহণ করিতে হয়। এই নিমিত্তই সময় সময় পুলিস-কর্ম্মচারীরা পদস্খলিত হইয়া পড়ে ও এই নিমিত্তই তাঁহারা বিশেষ চেষ্টা করিয়াও কোনরূপ যশলাভ করিতে পারেন না।

 আমি যে গ্রামে গিয়া উপনীত হইলাম, সেই গ্রামের পঞ্চায়েৎ ও চৌকিদারগণের সাহায্যে আমাকে অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে হইল। তাহাদিগের ও তাহাদিগের আনীত অপর ব্যক্তিগণের দ্বারা অবগত হইলাম যে, কমলাকান্ত একজন অতিশয় ভয়ানক লোক। তিনি এখন বৃদ্ধ হইয়াছেন সত্য, কিন্তু তাঁহার যৌবনকালে তিনি না করিয়াছেন এরূপ কোন দুষ্কার্য্যই নাই। তিনি ডাকাইতদের একজন সর্দ্দার ছিলেন। কোন কোন ডাকাইতিতে তিনি নিজেও গমন করিতেন, একবার ধরাও পড়িয়াছিলেন, কিন্তু অর্থের জোরে ও ইংরাজ আইনের গুণে তিনি সে যাত্রা নিষ্কৃতি পান। এখন তাঁহার বয়ঃক্রম হইয়াছে, নিজে সদাসর্ব্বদা সকল স্থানে যাতায়াত করিতে সমর্থ না হইলেও, তাঁহার পূর্ব্ব-দলস্থিত ব্যক্তিগণ এখনও তাঁহার নিকট প্রায়ই পরামর্শ গ্রহণ করিয়া থাকেন। তিনি দেশের মধ্যে একজন মামলাবাজ। মামলা-মোকদ্দমার কি করিলে কি হয়, তাহা তিনি উত্তমরূপ জানেন, ও অনেক নামজাদা উকীলগণ অপেক্ষাও তিনি কুট পরামর্শ প্রদানে শ্রেষ্ঠ। এইরূপ নানাপ্রকার অসৎ উপায়ে অর্থ লুণ্ঠন করিয়া তিনি কিছু অর্থের সংস্থান করিয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহার অবর্ত্তমানে ঐ অর্থ ভোগ করিবার পূর্ব্বেই একমাত্র পুত্র অকালে কাল-কবলে পতিত হয়, ও গিরিবালা কুল পরিত্যাগ করিয়া তাহার পিত্রালয় হইতে চলিয়া যায়। এখন তাঁহার ভরসার মধ্যে কেবল ১৬।১৭ বৎসর বয়স্ক একমাত্র পৌত্র শশীভূষণ।

 অনুসন্ধানে আরও জানিতে পারিলাম, কমলাকান্তের বিশ্বাসী চাকর প্রভৃতি কে কে আছে, ও অপরাপর ব্যক্তিগণের মধ্যে তাঁহার বিশেষরূপ অনুগতই বা কে কে? আরও জানিতে পারিলাম, যে সময় চন্দ্রমুখীর মৃতদেহ পাওয়া যায়, সেই সময় কোন্ কোন্ ব্যক্তি গ্রাম হইতে অনুপস্থিত ছিল।

 এই সকল বিষয় অবগত হইবার পর, আমরা অনুসন্ধানের বিস্তৃত পথ প্রাপ্ত হইলাম।

 সেই সময় আমাদিগের প্রধান কার্য্য হইল, যে যে ব্যক্তি সেই সময় গ্রামে, অনুপস্থিত ছিলেন, সর্ব্ব প্রথমে তাহাদিগের সন্ধান করা। স্থানীয় পুলিসের সাহায্যে সেই কার্য্য সম্পন্ন করিতে আমার বিশেষ কষ্ট বা অধিক বিলম্ব হইল না। উহাদিগকে করায়ত্ত্ব করিয়া পরিশেষে আমরা সদলবলে কমলাকান্তের গ্রামে গিয়া উপনীত হইলাম। কমলাকান্ত ও শশীভূষণ উভয়ে বাড়ীতেই ছিলেন, সুতরাং তাঁহারাও অনায়াসে আমাদিগের আয়ত্বাধীন হইলেন।

 ইহাঁদিগকে আমরা প্রথমে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিলাম, কিন্তু আমাদিগের কার্য্যোপযোগী কোন কথাই তাঁহাদিগের নিকট হইতে প্রাপ্ত হইলাম না। তখন অনন্যোপায় হইয়া সকলকেই থানায় পাঠাইয়া দেওয়া হইল। এদিকে আমার ঊর্দ্ধতন কর্ম্মচারীকে তারযোগে সংবাদ পাঠাইয়া দিলাম, যত শীঘ্র পারেন, দুষ্পাঠ্য বাড়ীওয়ালির ভাড়াটিয়া সরলাকে যেন, আমাদিগের নিকট পাঠাইয়া দেওয়া হয়।

 পরদিবসেই সরলা আসিয়া সেইস্থানে উপস্থিত হইল, ও ঐ সমস্ত লোকদিগের মধ্যে দুইজনকে চিনিতে পারিল, ও কহিল, “এই দুইজনকে আমি দুই তিনবার চন্দ্রমুখীর ঘরে দেখিয়াছি, ইহাদেরই সহিত চন্দ্রমুখী বাহির হইয়া যায়, কিন্তু আর প্রত্যাগমন করে নাই।

 সরলার এই কথা শুনিয়া ঐ দুই ব্যক্তির মুখ দিয়া প্রথমতঃ কোন কথাই বাহির হইল না, অধিকন্তু তাহাদের মুখ শুরু হইয়া গেল—শূন্যদৃষ্টিতে এদিক-ওদিক দেখিতে লাগিল। উহাদের ঐরূপ অবস্থা দেখিয়া আমাদের বেশ অনুমান হইল যে, চন্দ্রমুখী ঐ দুই ব্যক্তি দ্বারা বা তাহাদের সাহায্যে হত হইয়াছে। আরও বেশ বুঝিতে পারিলাম যে, কমলাকান্তই এই হত্যাকাণ্ডের মূলীভূত কারণ; ইহাতে তাঁহার যতদূর স্বার্থ, প্রকৃত হত্যাকারীর কিছু অর্থের প্রলোভন ভিন্ন তত বিশেষ কোন স্বার্থ নাই। চন্দ্রমুখী ওরফে গিরিবালা অগাধ বিষয়ের অধিকারিণী হইয়াছিল, তাহার অবর্ত্তমানে ঐ সমস্ত বিষয় নামে মাত্র তাহার পৌত্র শশীভূষণের হইবে। কারণ, যতকাল কমলাকান্ত জীবিত থাকিবেন, ততকাল ঐ অগাধ বিষয় প্রকৃতপক্ষে তিনিই ভোগ করিবেন, শশীভূষণ নামে ঐ বিষয়ের অধিকারী থাকিবেন মাত্র।

 মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া ঐ দুই ব্যক্তিকে আমরা পৃথক পৃথক স্থানে ও পৃথক পৃথক গ্রহরীর পাহারায় রাখিয়া দিলাম। কমলাকান্ত ও তাঁহার পুত্র শশীভূষণও ঐরূপ পৃথক পৃথক প্রহরীর তত্ত্বাবধানে রহিলেন।

 এইরূপে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হইবার পর, আমরা দুষ্পাঠ্য শশীভূষণকে লইয়া নানারূপ জিজ্ঞাসাবাদ করিতে লাগিলাম দুষ্পাঠ্য তাহার ভাবভঙ্গীতে আমরা বেশ বুঝিতে পারিলাম যে, শশীভূষণ নিজে ইহার কিছুই অবগত নহে, যাহা কিছু হইয়াছে, তাহা তাহার পিতামহ কমলাকান্তের দ্বারা।

 ইহার পর আমরা কমলাকান্তকে লইয়া পড়িলাম। পূর্ব্বেই আমরা যাহা অনুমান করিয়াছিলাম, কার্য্যেও দেখিলাম তাহাই; অর্থাৎ ভাবিয়াছিলাম যে, কমলাকান্তের মুখ হইতে সহজে আমরা কোন কথাই প্রাপ্ত হইব না। কাজেও তাহাই হইল। তাঁহাকে যাহা কিছু জিজ্ঞাসা করিলাম, সম্ভব হউক, বা অসম্ভব হউক, তিনি সকল কথারই উত্তর প্রদান করিতে লাগিলেন যে, তিনি ইহার কিছুই অবগত নহেন। গিরিবালা নাম্নী একটী স্ত্রীলোক তাঁহার পুত্রবধূ ছিল সত্য, কিন্তু সে তাঁহার বাড়ী হইতে কোথায় চলিয়া গিয়াছে, কি মরিয়া গিয়াছে, তাহা তিনি অবগত নহেন! তাহার যে কোন বিষয় সম্পত্তি আছে, বা কাহারও কোনরূপ বিষয়াদি প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহার কিছুমাত্র তিনি ঙ্‌গ নহেন। তিনি আরও কহিলেন, উহার অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত কখন কোন ব্যক্তিকে তিনি কলিকাতায় প্রেরণ করেন নাই।

 কমলাকান্তের কথা শুনিয়া বেশ বুঝিতে পারিলাম যে, তিনি যে চরিত্রের লোক, তাঁহার নিকট হইতে সেই প্রকারের উত্তর ভিন্ন অন্য কিছু আশা করিতে পারি না। কাজেই তাঁহাকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলাম না।

 যে দুই ব্যক্তিকে দেখিয়া সরলা কহিয়াছিল যে, ইহারাই চন্দ্রমুখীর গৃহে গমন করিয়াছিল ও ইহাদিগেরই সহিত চন্দ্রমুখী দুষ্পাঠ্য হইয়া যাইবার পর আর গৃহে প্রত্যাগমন করে নাই, দুষ্পাঠ্য আমরা তখন উত্তমরূপে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। উহারা প্রথমে কোন কথা সহজে স্বীকার করিল না, কিন্তু উহাদিগকে বিশেষ করিয়া বুঝাইয়া বলায়, পরিশেষে উভয়েই পৃথক পৃথক স্থান হইতে পরস্পরের সহিত সাক্ষাৎ হইবার পূর্ব্বে যাহা কহিল, তাহার সারাংশ প্রায়ই একরূপ। উহাদিগের কথা হইতে আমরা বুঝিতে পারিলাম যে, গিরিবালার সন্ধানের নিমিত্ত কমলাকান্ত কর্ত্ত্রিক তাহারাই নিযুক্ত হইয়া কলিকাতার গমন করিয়াছিল। তাহাদের সহিত এইরূপ বন্দোবস্ত ছিল যে, কোনরূপে গিরিবালার সন্ধান আনিয়া দিতে পারিলে কমলাকান্তের নিকট হইতে তাহারা সমস্ত খরচা বাদে দুইশত টাকা পারিতোষিক প্রাপ্ত হইবেক। ঐ প্রলোভনের বশবর্তী হইয়া তাহারা গিরিবালা ওরফে চন্দ্রমুখীর অনুসন্ধান করিতে আরম্ভ করে, ও পরিশেষে তাহার সন্ধান প্রাপ্ত হইয়া কমলাকান্তকে বলায়, তাঁহার নিকট হইতে দুইশত টাকা পারিতোষিক ও খরচা বাবুদ একশত টাকা প্রাপ্ত হয়।

 ইহার পর পুনরায় ঐ দুই ব্যক্তিকে কমলাকান্ত কলিকাতায় পাঠাইয়া দেন ও নিজেও তাহাদিগের সমভিব্যাহারে তথায় আগমন করেন। এবার কমলাকান্তের সহিত আরও তিন চারি ব্যক্তি কলিকাতায় আসিয়াছে। পূর্ব্বকথিত দুই ব্যক্তির উপর এবার এইরূপ কার্য্যের ভার অর্পিত হয় যে, যদি তাহারা কোন গতিকে চন্দ্রমুখীকে একাকী আনিয়া কমলাকান্তের নিকট উপস্থিত করিতে পারে, তাহা হইলে তিনি তাহাদিগকে পাঁচশত টাকা প্রদান করিবেন। ঐ অর্থের প্রলোভনে প্রলোভিত হইয়া ঐ দুই ব্যক্তি চন্দ্রমুখীর ঘরে দুই তিন দিবস গমন করে ও দুষ্পাঠ্য কৌশল অবলম্বন করিয়া সে যাহাতে একাকী আসিয়া দুষ্পাঠ্য কান্তের সহিত সাক্ষাৎ করে, তাহার বন্দোবস্ত করিয়া, পরিশেষে তাহাকে সঙ্গে লইয়া কমলাকান্তের নিকট উপস্থিত হয়, ও তাঁহার হস্তে চন্দ্রমুখীকে অর্পণ করিয়া আপনাদিগের পারিতোষিকের টাকা গ্রহণ পূর্ব্বক সেইস্থান হইতে প্রস্থান করে। তাহার পর যে কি হইয়াছে, তাহার কিছুই তাহারা অবগত নহে।

 এবার কমলাকান্ত কলিকাতায় আসিয়া একটী বাড়ী ভাড়া লইয়া তাঁহার সহিত অপর যাহারা আগমন করিয়াছিল, তাহাদের সহিত সেই বাড়ীতেই বাস করিতেছিলেন। পূর্ব্বকথিত ব্যক্তিদ্বয় চন্দ্রমুখীকে আনিয়া এই বাটীতেই কমলাকান্তের হস্তে অর্পণ করে।

 কমলাকান্তের সহিত অপর যে কয় ব্যক্তি আগমন করিয়াছিল, ঐ দুই ব্যক্তি তাহাদের নামও বলিয়া দিল। বলা বাহুল্য, তাহারাও আমাদিগের কর্তৃক ধৃত হইল, ও ঐ দুই ব্যক্তি যাহা যাহা বলিয়া দিল, উহারাও কেবল তাহাই স্বীকার করিল ও কহিল, যে দিবস ঐ দুই ব্যক্তি চন্দ্রমুখীকে কমলাকান্তের হস্তে প্রদান করিয়া চলিয়া যায়, তাহারাও সেই দিবস সেই স্থান হইতে প্রস্থান করে। উহারা যখন চলিয়া যায়, সেই সময় চন্দ্রমুখী সেই বাড়ীতেই ছিল।

 ইহার পর এই মোকদ্দমা সম্বন্ধে অনেক অনুসন্ধান করিলাম। কলিকাতা ও মেদিনীপুর হইতে যে সকল প্রমাণ সংগৃহীত হইল, তাহাতে কমলাকান্তের উপর চন্দ্রমুখী হত্যা করার অপরাধ দুষ্পাঠ্য সাব্যস্ত হইল; কিন্তু অপরের বিপক্ষে বিশেষ কোন দুষ্পাঠ্য পাওয়া গেল না।

 কমলাকান্ত হত্যাপরাধে বিচারকের নিকট প্রেরিত হইলেন, কিন্তু বিচারককে আর এ মোকদ্দমার বিচার করিতে হইল না। ঈশ্বর স্বয়ংই তাঁহার বিচার করিলেন। হাজত-গৃহে কমলাকান্ত ইহজীবন পরিত্যাগ করিয়া মনুষ্য-বিচারকের হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইলেন।

সম্পূর্ণ।