মহুয়া/অর্ঘ্য

উইকিসংকলন থেকে

অর্ঘ্য

সূর্য্যমুখীর বর্ণে বসন
লই রাঙায়ে,
অরুণ আলোর ঝঙ্কার মোর
লাগ্‌লো গায়ে।
অঞ্চলে মোর কদম ফুলের ভাষা
বক্ষে জড়ায় আসন্ন কোন্ আশা,
কৃষ্ণকলির হেমাঞ্জলির
চঞ্চলতা
কঞ্চুলিকার স্বর্ণলিখায়
মিলায় কথা।

আজ যেন পায় নয়ন আপন
নতুন জাগা।
আজ আসে দিন প্রথম দেখার
দোলন লাগা।
এই ভুবনের একটি অসীম কোণ,
যুগল প্রাণের গোপন পদ্মাসন,
সেথায় আমায় ডাক দিয়ে যায়
নাই জানা কে,
সাগরপারের পান্থপাখীর
ডানার ডাকে॥

চ’ল্‌বো ডালায় আলোকমালায়
প্রদীপ জ্বেলে,
ঝিল্লি-ঝনন অশোকতলায়
চমক মেলে।
আমার প্রকাশ নতুন বচন ধ’রে,
আপ্‌নাকে আজ নতুন রচন ক’রে,
ফাগুন-বনের গুপ্ত ধনের
আভাস-ভরা;
রক্তদীপন প্রাণের আভায়
রঙীন করা॥

চক্ষে আমার জ্ব’ল্‌বে আদিম
অগ্নি-শিখা,
প্রথম ধরায় সেই যে পরায়
আলোর টীকা।
নীরব হাসির সোনার বাঁশির ধ্বনি
ক’র্‌বে ঘোযণ প্রেমের উদ্বোধনী,
প্রাণ-দেবতার মন্দির দ্বার
যাক্‌ রে খুলে,
অঙ্গ আমার অর্ঘ্যের থাল
অরূপ ফুলে॥

২৩ শ্রাবণ, ১৩৩৫