মহুয়া/একাকী
অবয়ব
< মহুয়া
(পৃ. ১৩২-১৩৩)
একাকী
চন্দ্রমা আকাশতলে পরম একাকী,—
আপন নিঃশব্দগানে আপনারি শূন্য দিল ঢাকি’।
অয়ি একাকিনী,
অলিন্দে নিশীথরাত্রে শুনিছ সে জ্যোৎস্নার রাগিণী
চেয়ে শূন্যপানে,
যে-রাগিণী অসীমের উৎস হ’তে আনে
অনাদি বিরহরস, তাই দিয়ে ভরিয়া আঁধার
কোন্ বিশ্ববেদনার মহেশ্বরে দেয় উপহার।
তারি সাথে মিলায়েছ তব দৃষ্টিখানি,
চোখে অনির্ব্বচনীয় বাণী,
মিলায়েছ যেন তব জন্মান্তর হ’তে নিয়ে-আসা
দীর্ঘনিঃশ্বাসের ভাষা।
মিলায়েছ, সুগম্ভীর দুঃখের মাঝারে
যে-মুক্তি র’য়েছে লীন বন্ধহীন শান্ত অন্ধকারে।
অরণ্যে অরণ্যে আজি সাগরে সাগরে,
জনশূন্য তুষার শিখরে
কোন্ মহাশ্বেতা, কোন্ তপস্বিনী, বিছাল অঞ্চল,
স্তব্ধ অচঞ্চল,
অনন্তেরে সম্বোধিয়া কহিল সে ঊর্দ্ধে তুলি’ আঁখি,
“তুমিও একাকী।”
১৮ আশ্বিন, ১৩৩৫