বিষয়বস্তুতে চলুন

মিবার-গৌরব-কথা/রাণা প্রতাপসিংহ

উইকিসংকলন থেকে

রাণা প্রতাপসিংহ।

 ধাত্রী পান্না উদয় সিংহের জীবন রক্ষার জন্য স্বীয় পুত্রের জীবনাহুতি দিয়াছিল বটে কিন্তু উদয় সিংহের চরিত্র সে আত্মোৎসর্গের সার্থকতা সম্পাদন করিতে সমর্থ হয় নাই। উদয় সিংহের ন্যায় অপদার্থ কাপুরুষ নরপতি শিশােদীয় কুলে অতি অল্পই জন্মগ্রহণ করিয়াছে। কিন্তু প্রকৃতি রাজ্যে যেমন অনেক নিয়মেরই ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায়, তেমনি কাপুরুষ অপদার্থ উদয় সিংহের। ন্যায় পিতার গৃহে প্রতাপ সিংহের ন্যায় বীর পুত্রের জন্মগ্রহণও এক আশ্চর্যজনক ব্যাপার। ইতিহাসে উদয় সিংহ শিশােদীয় কুলের কুলাঙ্গার নামে অভিহিত হইয়াছেন এবং মিবারের ইতিহাসে প্রতাপ সিংহ বীর শ্রেষ্ঠ ও বাপ্পা বংশের উজ্জ্বল প্রদীপ বলিয়া কীর্তিত হইয়াছেন। যথার্থই প্রতাপ সিংহের ন্যায় উন্নত চরিত্র? স্বদেশানুরাগী বীর জগতের ইতিহাসে অতি দুলভ! উদয় সিংহের রাজত্বকালে দিল্লীশ্বর প্রবল প্রতাপান্বিত আকবর শাহ চিতাের আক্রমণ করিয়া তাহার ধ্বংশ সাধন। করেন। উদয় সিংহ চিতাের পরিত্যাগ করিয়া জীবন রক্ষা করিলেন, ওদিকে জয়মল্ল পুত্ত প্রভৃতি রাজপুত বীর গণ চতুর্দ্দিক হইতে অনাহুত ভাবে আসিয়া চিতোর ভূমির রক্ষার জন্য জীবনোৎসর্গ করেন। দিল্লীশ্বর আকবরের হস্তে চিতোরের পতন হইল। সেই দিন হতে চিতোরের সুখ সমৃদ্ধির অবসান হইল। চিতোরের গৌরব রবি অস্ত গেল। চিতোরের পতনের চারি বৎসর পরেই উদয় সিংহ গতাসু হইলেন। তিনি উদয়পুরে নূতন রাজধানী স্থাপন করিলেন ওদিকে চিতোর শ্মশান হইল। প্রতাপ সিংহ পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করিলেন বটে কিন্তু সে রাজভোেগ, সে রাজত্ব তাঁহার বিড়ম্বনা স্বরূপ হইল! তখন মিবার রাজ্যের দুর্গতির অবস্থা!— আর সে চিতোর নাই—শিশোদীয় কুলের বিক্রম নাই—রাজপুতনার সমুদায় নরপতি দিল্লীশ্বরের বশ্যতা স্বীকার করিয়া তাঁহারই অনুগ্রহে সম্পদ ঐশ্বর্যের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছে।

 প্রতাপসিংহ জানিতেন যে, নিজের সহায় সম্বল কিছু নাই, স্বজাতীয়েরা সকলে আকবরের অধীন হইয়াছেন; এরূপ অবস্থায় স্বাধীনতা রক্ষা করা এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার। তবু তিনি ভীত হইলেন না। বীরদর্পে তাঁহার প্রাণ পূর্ণ! আকবরও তাঁহাকে জব্দ করিবার জন্য অসংখ্য সৈন্য সামন্ত নিযুক্ত করিলেন। তাহারা দলে দলে পর্ব্বতে প্রান্তরে প্রতাপের অনুসন্ধানে ফিরিল। প্রতাপ ভীলদিগের সাহায্যে মধ্যে মধ্যে সম্মুখ সমরে, তাহাদিগকে একেবারে বিপর্য্যস্ত করিয়া তুলিলেন। রাজপুত রাজগণও উচ্চ পদ ও সম্মানের লোভে প্রতাপের শত্রুতা সাধন করিতে লাগিলেন। প্রতাপ ঘৃণাপূর্ব্বক সেই সমুদায় রাজার সহিত সম্বন্ধ পরিত্যাগ করিলেন। তাঁহারা মনে মনে প্রতাপকে সম্ভ্রম ও ভক্তি না করিয়া থাকিতে পারিতেন না। ওদিকে আবার তাঁহার বীরদর্পে তাঁহাদের বড়ই মর্ম্মপীড়া উপস্থিত হইত।

 প্রতাপ স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যে ক্লেশ সহ্য করিয়াছেন, বোধ হয়, জগতের ইতিহাসে এরূপ দৃষ্টান্ত আর কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না। যিনি রাজার পুত্র, আজন্ম রাজসম্পদে লালিত পালিত, তিনি সর্বস্ব পরিত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসীর মত পর্ব্বতে পর্ব্বতে বনে বনে ঘুরিয়া বেড়াইতেন অনাহারে, অনিদ্রায়, দুর্ভাবনায় তাঁহার শরীর একেবারে জীর্ণশীর্ণ হইল। শত্রুগণ অবিরত তাঁহাকে ধরিবার জন্য ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, সুযোগ দেখিতেছে। তিনি যে নিশ্চিন্ত হইয়া কোথাও বিশ্রাম করিবেন, সুখে একদণ্ড নিদ্রা যাইবেন বা আহার করিবেন তাহার উপায় নাই। এক দিনেই হয়ত পাঁচবার প্রস্তুত অন্ন পরিত্যাগ করিয়া সকলে পলাইতেছেন। তাঁহার শিশু সন্তানগণ, যাহারা আজন্ম সম্পদে লালিত আজ তাহারা ব্যাধের শিশুর ন্যায় বৃক্ষ তলায় তৃণ শয্যায় শয়ন করে ও বন্য ফল মূল আহার করে। না আছে তাহাদের শয্যা, না আছে তাহাদের বস্ত্র, না পায় তাহারা উদর পৃরিয়া আহার! রাজমহিষী যাহা কিছু পান, স্বহস্তে পাক করিয়া সকলকে দেন, তাহাই তাহারা পরম আনন্দে আহার করে। একদিন সকলে গাছের তলায় আহারে বসিয়াছেন, এমন সময়ে প্রতাপের শিশু কন্যা একে বারে আকুল হইয়া কাঁদিয়া উঠিল। প্রতাপ ব্যস্ত হইয়া দেখেন বন্য বিড়াল তাহার রুটি লইয়া পলাইতেছে, বালিকা ধূলায় পড়িয়া কাঁদিতেছে। হায়রে! মিবারের রাজদুহিতা! আজ একখণ্ড রুটীর জন্য ধূলায় পড়িয়া কাঁদে! প্রতাপের বীর হৃদয় অনেক দুঃখ ক্লেশ সহ্য করিয়াছে, আজ আর পারিল না। গভীর যাতনায় বিশাল নয়নপ্রান্ত দিয়া অশ্রু গড়াইয়া পড়িল। আকুল হইয়া বলিলেন, “হা ভগবন্! আর কতদিন এরূপে স্বাধীনতা রক্ষা করিব!” এতদিনের প্রতিজ্ঞা আজ সহসা বীরহৃদয় পরিত্যাগ করিল! আকবরের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করিয়া প্রতাপ এক পত্র লিখিলেন। কিন্তু পরে তাহা আবার ফিরাইয়া লইলেন। একদিন নয়, একমাস নয়, এক বৎসর নয়, এইরূপে পঁচিশ বৎসর প্রতাপ বনে বনে ফিরিলেন, তথাপি শত্রুর সহিত সন্ধি করিলেন না। আকবর আজীবন এত চেষ্টা করিয়াও তাঁহাকে বশীভূত করিতে সক্ষম হন নাই।

 আকবর চিতোর নগর ধ্বংস করাতে প্রতাপসিংহের হৃদয়ে দারুণ শোক উপস্থিত হইয়াছিল। সন্তান মাতৃহীন হইলে যেরূপ শোকচিহ্ন ধারণ করে, তিনিও সেইরূপ করিতেন। জননী জন্মভূমির দুর্গতিতে তাঁহার প্রাণে এতই ক্লেশ হইল যে, তিনি সকল প্রকার সুখভোগ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। বৃক্ষপত্রে আহার করিতেন ও ভূমিশয্যায় শয়ন করিতেন। নিজেই যে কেবল এই সকল ক্লেশ বহন করিয়া ক্ষান্ত ছিলেন তাহা নয়। প্রতাপ আদেশ করিয়াছিলেন যে, যে যতদিন পর্য্যন্ত জন্মভূমির দুর্গতির অবসান না হয়, ততদিন তাঁহার বংশের কেহ ভোগসুখ উপভোগ করিতে পারিবে না। তাই আজিও তাঁহার বংশধরগণ বৃক্ষপত্রে আহার না করিয়া পাত্রের নীম্নে একটু পাতা রাখে; তৃণশয্যায় শয়ন করে না বটে, কিন্তু শয্যার নীচে একগাছি তৃণ রাখে। ধন্য প্রতাপের স্বদেশপ্রেম।

 আকবর প্রতাপের বীরত্ব ও স্বদেশপ্রেম দেখিয়া মুগ্ধ হন। তিনি শতমুখে তাঁহার সাধুবাদ করিতেন বটে, কিন্তু প্রতাপের দর্প চূর্ণ করিবার জন্য তিনি বিধিমতে চেষ্টা করিতে ত্রুটি করেন নাই। কিন্তু তাহার এত চেষ্টা সকলই ব্যর্থ হইল। পঁচিশ বৎসর ধরিয়া অবিরাম সংগ্রাম করিলেন, তথাপি প্রতাপের প্রতাপ চূর্ণ হইল না। আকবরের বিপুল সেনাদল, অগাধ ধনরাশি, তাহার উপর আবার রাজপুত রাজগণ তাঁহার সহায়! আর প্রতাপ একাকী, কতিপয় ভীল ও বিশ্বাসী অনুচরগণ তাঁহার সহায় মাত্র! আকবরের সেনাবলের তুলনায় তাঁহার সেনাত মুষ্টিমেয়। তবে কিসে প্রতাপের এত সাহস? কিসে তিনি সম্রাটের এত চেষ্টা ব্যর্থ করিলেন? কিসের বল তাহা বিধাতাই জানেন। আমরা ভাবিলে অবাক হই। প্রতাপের বিশ্বাসী অনুচরগণ তাঁহাকে প্রাণের অধিক ভালবাসিতেন ও ভক্তি করিতেন। তাঁহারা সকলেই প্রতাপের জন্য প্রাণ দিতে উৎসুক। হলদিঘাটে যে ভীষণ যুদ্ধ হয়, তাহাতে প্রতাপ ও তাঁহার অনুচরগণ অদ্ভুত সাহস ও রণনৈপুণ্য দেখাইয়াছিলেন। সাগরের মত বিশাল যবনসৈন্য, তাহার ভিতর মুষ্টিমেয় প্রতাপের অনুচরগণ কোথায় বিলুপ্ত হইল! কিন্তু প্রতাপের ভয় নাই—তিনি প্রিয় অশ্ব চৈতকে আরোহণ করিয়া অবিরাম যুদ্ধ করিতেছেন। মিবারের রাজছত্র তাঁহার মস্তকে শোভা পাইতেছে। সেই চিহ্ন লক্ষ্য করিয়া শত শত যবন তাঁহাকে সংহার করিবার জন্য ছুটিতেছে। তাঁহার অনুচরগণ তাঁহাকে ঘেরিয়া রহিয়াছে। তাঁহার মস্তকে যে অসি পড়িতেছে, তাহা গ্রহণ করিবার জন্য সকলে মস্তক পাতিয়া দিতেছে। শেষে তাঁহাকে রক্ষা করা আর যায় না দেখিয়া একজন অনুচর আপনার মস্তকে রাজছত্র ধরিল। মুসলমানগণ তাঁহাকে প্রতাপ মনে করিয়া সংহার করিল। ঘোর বিপদ্! প্রতাপ চাহিয়া দেখেন যবনসৈন্য সাগরে তিনি একা অসহায়! অবশেষে আর যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বিফল জানিয়া রণভূমি পরিত্যাগ করিলেন। কিন্তু তাহাতেও সে যাত্রা নিষ্কৃতি পাইলেন না। প্রতাপ যুদ্ধে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, সর্ব্বাঙ্গ রক্তাক্ত। দুইজন অশ্বারোহী সৈনিক তাঁহার পশ্চাতে ছুটিল। তাঁহার অশ্বও ক্লান্ত পরিশ্রান্ত আর সে ছুটিতে পারে না। কিন্তু তবুও সে প্রভুকে রক্ষা করিবার জন্য প্রাণপণে ছুটিল। সহসা প্রতাপ বন্দুকের শব্দ শুনিলেন, চাহিয়া দেখেন একজন মাত্র সৈনিক দ্রুতবেগে তাঁহার পশ্চাতে আসিতেছে। সে ব্যক্তি তাঁহার মাতৃভাষায় তাঁহাকে ডাকিয়া থামিতে বলিল,—“হো নীল ঘোড়াকা আসোয়ার।” প্রতাপ চমকিত হইলেন। এ কে? চাহিয়া দেখেন আর কেহ নয়, তাঁহার সহোদর শক্তসিংহ। দুবৃত্ত শক্ত তাঁহার শত্রুতা সাধন করিতে শত্রুদলে মিশিয়াছিল। তাহাকে দেখিয়া তাঁহার হৃদয় রোষে, বিস্ময়ে, দুঃখে পূর্ণ হইল। তিনি অসি হস্তে ফিরিয়া দাঁড়াইলেন। “এস নরাধম, এস কুলকলঙ্ক, আজ কণ্টককে নির্ম্মূল করি,” বলিয়া সেই নির্জ্জন গিরিদেশ কম্পিত করিয়া প্রতাপ গর্জ্জন করিয়া উঠিলেন। কিন্তু এ কি! শক্তের মুখের দিকে চাহিয়া প্রতাপ অবাক্ হইলেন। তাহার মুখ স্নান, লজ্জায় শক্ত মস্তক অবনত করিয়া আছে। প্রতাপ বুঝিলেন, শক্ত আর শত্রু নয়; শক্ত তাঁহার ভাই। শক্ত আসিয়া প্রতাপের পদতলে পড়িয়া এই বলিয়া ক্ষমা ভিক্ষা করিলেন—“দাদা! এ কুলকলঙ্ককে মার্জ্জনা করুন, আপনার মত ভ্রাতার শক্রতা সাধন করিয়া যে মহাপাতক করিয়াছি, তাহার আর প্রায়শ্চিত্ত নাই। দাদা! অধমকে চরণে স্থান দিন।”

 সেই ঘোর বিপদের দিনে প্রতাপ ভ্রাতৃপ্রেম ফিরিয়া পাইলেন। এতদিনের হারানিধি এ ঘোর দুর্দ্দিনে তাঁহার মিলিল। অভূতপূর্ব্বভাবে, কৃতজ্ঞতা ও আনন্দে তাঁহার হৃদয় উচ্ছ্বসিত হইল। তাঁহার মুখে একটিও বাক্য সরিল না। তিনি ভ্রাতাকে উঠাইয়া হৃদয়ে চাপিয়া ধরিলেন। আর অবিরল অশ্রুধারায় তাঁহার বক্ষঃস্থল ভাসিয়া যাইতে লাগিল। সেই নির্জ্জন গিরিদেশে সন্ধ্যার অন্ধকারে ভ্রাতায় ভ্রাতায় মিলন হইল। দুই বীর পরস্পরকে বাহুপাশে বাঁধিয়া কেবল কাঁদিলেন। আবার হরিষে বিষাদ! প্রতাপের প্রিয় অশ্ব চৈতক প্রভুর পদতলে পড়িয়া তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া প্রাণ বিসর্জ্জন করিল।[] প্রতাপ বলিয়া উঠিলেন,—“চৈতকরে! এতদিন পরে আজ শত্রুর হস্ত হইতে আমাকে উদ্ধার করিয়া, ভ্রাতার হস্তে নিরাপদে রাখিয়া অবসর বুঝিয়া তুই বিদায় লইলি।” চৈতকের দুঃখে তাঁহার চক্ষু দিয়া আবার নীরবে অশ্রুধারা পড়িতে লাগিল।

 শক্ত বলিলেন —“দাদা! আপনি আমার অশ্বটী গ্রহণ করুন।

 প্রতাপ। এই রাত্রে বনের ভিতর দিয়া তুমি কিরূপে ফিরিবে?

 শক্ত। যে মুসলমান সৈনিক দুটী আপনার পশ্চাতে ছুটিয়াছিল, তাহাদিগকে আমি হত্যা করিয়াছি। তাহাদের একটির অশ্ব আমি লইব।

 প্রতাপ। সেকি, তুমি তাহাদিগকে হত্যা করিয়াছ!

 শক্ত। আপনি যুদ্ধক্ষেত্র হইতে যেরূপ বিপন্ন অবস্থায় বিদায় লইলেন, তাহা দেখিয়া আমার পাষাণ হৃদয় আর স্থির থাকিতে পারিল না। আমি আপনাকে রক্ষা করিবার জন্য তাহাদের পশ্চাতে ছুটিলাম। তাহাদিগকে হত্যা করিয়া আসিতেছি।

 প্রতাপ নির্ব্বাক্ হইয়া কৃতজ্ঞচিত্তে শক্তের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। বলিলেন,—“আজ আমি যুদ্ধে পরাজিত, অসহায়, একাকী; আজ আমার আমার প্রিয় চৈতক বিদায় লইয়াছে; তবু আমি সুখী। ভাইরে! আজ আমি হারনিধি পাইয়াছি। তোমার কুশল হউক। ভগবান্ তোমায় রক্ষা করুন।” শক্ত প্রতাপের চরণধূলি লইয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।


  1. যেখানে চৈতকের মৃত্যু হয় তাহার উপর প্রতাপ এক সমাধি নির্ম্মাণ করেন। আজও লোকে তাহাকে “চৈতক্‌কা চবুত্রা” বলে।