রূপসী বাংলা/৪৫
অবয়ব
(পৃ. ৫৫)
একদিন পৃথিবীর পথে আমি ফলিয়াছি; আমার শরীর
নরম ঘাসের পথে হাঁটিয়াছে; বসিয়াছে ঘাসে
দেখিয়াছে নক্ষত্রেরা জোনাকিপোকার মতো কৌতুকের অমেয় আকাশে
খেলা করে; নদীর জলের গন্ধে ভ’রে যায় ভিজে স্নিগ্ধ তীর
অন্ধকারে; পথে পথে শব্দ পাই কাহাদের নরম শাড়ির,
ম্লান চুল দেখা যায়; সান্ত্বনার কথা নিয়ে কারা কাছে আসে—
ধূসর কড়ির মতো হাতগুলো—নগ্ন হাত সন্ধ্যার বাতাসে
দেখা যায়; হলুদ ঘাসের কাছে মরা হিম প্রজাপতিটির
সুন্দর করুণ পাখা প’ড়ে আছে—দেখি আমি; চুপে থেমে থাকি;
আকাশে কমলা রঙ্ ফুটে ওঠে সন্ধ্যায়—কাকগুলো নীল মনে হয়;
অনেক লোকের ভিড়ে ডুবে যাই—কথা কই—হাতে হাত রাখি;
করুণ বিষণ্ন চুলে কার যেন কোথাকার গভীর বিস্ময়
লুকায়ে রয়েছে বুঝি;... নক্ষত্রের নিচে আমি ঘুমাই একাকী;
পেঁচার ধূসর ডানা সারারাত জোনাকির সাথে কথা কয়।