বাংলার নারীদের পোশাকে পরিবর্তন সাধন ও তাদেরকে আধুনিকারূপে গড়ে তোলার (আচার-আচরণে, শিষ্টাচারে এবং অন্তঃপুর থেকে বাইরে আনার ক্ষেত্রে) জন্য বিখ্যাত। তিনি যশোর থেকে দূরবর্তী একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আট বছর বয়সে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের প্রথম ভারতীয় সদস্য (১৮৬৪) ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর দ্বিতীয় অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।তিনিই ঠাকুর পরিবারের প্রথম গৃহবধূ, যিনি নিয়ম ভঙ্গ করে তার স্বামীর সঙ্গে স্বামীর কর্তব্যস্থল বোম্বাইতে যান। তিনি পোশাক সংস্কারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিলেন। এযাবৎ মহিলারা ঐতিহ্যগত এক প্রস্থ প্রসারিত পাতলা কাপড়, যা শাড়ি বলে পরিচিত, পরতেন। এ শাড়ি সে সময়কার আধুনিক মহিলাদের জীবনযাত্রার প্রণালীর সঙ্গে শোভনীয় পোশাক ছিল না। জ্ঞানদানন্দিনী পারসি মহিলাদের শাড়িপড়ার রীতি গ্রহণ করে ‘ব্রাহ্মিকা শাড়ি’ পড়ার রীতি প্রবর্তন করেন। ১৮৭১ সালে জ্ঞানদানন্দিনী নতুন প্রবর্তিত পোশাকটি ‘রাসবোধিনী’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
এই লেখকের আংশিক বা সব রচনাগুলি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৩ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।