শিশু ভোলানাথ/সাত-সমুদ্র-পারে
অবয়ব
(পৃ. ৩৪-৩৫)
সাত-সমুদ্র-পারে
দেখছি না কি নীল মেঘে আজ
আকাশ অন্ধকার?
সাত-সমুদ্র তেরো-নদী
আজকে হব পার।
নাই গোবিন্দ, নাই মুকুন্দ,
নাইকো হরিশ খোঁড়া—
তাই ভাবি যে কাকে আমি
করব আমার ঘোড়া।
কাগজ ছিঁড়ে এনেছি এই
বাবার খাতা থেকে,
নৌকো দে-না বানিয়ে— অমনি
দিস মা, ছবি এঁকে।
রাগ করবেন বাবা বুঝি
দিল্লি থেকে ফিরে?
ততক্ষণ যে চলে যাব
সাত-সমুদ্র-তীরে।
এমনি কি তোর কাজ আছে মা—
কাজ তো রোজই থাকে।
বাবার চিঠি এক্খুনি কি
দিতেই হবে ডাকে?
নাই বা চিঠি ডাকে দিলে,
আমার কথা রাখো—
আজকে নাহয় বাবার চিঠি
মাসি লিখুন-নাকো।
আমার এ যে দরকারি কাজ,
বুঝতে পার না কি!
দেরি হলেই একেবারে
সব যে হবে ফাঁকি!
মেঘ কেটে যেই রোদ উঠবে
বৃষ্টি বন্ধ হলে,
সাত-সমুদ্র তেরো-নদী
কোথায় যাবে চলে!
১০ আশ্বিন ১৩২৮