পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী তোমারে সহস্র দিকে করিছে দোহন তরুলতা পশুপক্ষী কত অগণন তৃষিত পরাণী যত, আনন্দের রস কত রূপে হ’তেছে বর্ষণ, দিক দশ ধ্বনিছে কল্লোল গীতে। নিখিলের সেই বিচিত্র আনন্দ যত এক মুহূৰ্ত্তেই একত্রে করিব আস্বাদন, এক হ’য়ে সকলের সনে । আমার আনন্দ ল’য়ে হবে না কি শ্যামতর অরণ্য তোমার, প্রভাত আলোক মাঝে হবে না সঞ্চার নবীন কিরণকম্প ? মোর মুগ্ধ ভাবে আকাশ ধরণীতল আঁকা হ’য়ে যাবে হৃদয়ের রঙে—যা দেখে’ কবির মনে জাগিবে কবিতা,—প্রেমিকের ছ’নয়নে লাগিবে ভাবের ঘোর, বিহঙ্গের মুখে সহসা আসিবে গান। সহস্রের সুখে রঞ্জিত হইয়া আছে সৰ্ব্বাঙ্গ তোমার হে বসুধে ! জীবস্রোত কত বারম্বার তোমারে মণ্ডিত করি আপন জীবনে গিয়েছে ফিরেছে, তোমার মৃত্তিকাসনে মিশায়েছে অন্তরের প্রেম, গেছে লিখে’ কত লেখা, বিছায়েছে কত দিকে দিকে So o o