পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী শুনিয়া সভাস্থ সবে করে ধিক ধিক— কোথাকার গণ্ডমূর্থ পাষণ্ড নাস্তিক। স্বপ্ন শুধু স্বপ্নমাত্র মস্তিষ্ক-বিকার, এ কথা কেমন করে” করিব স্বীকার । জগৎ-বিখ্যাত মোরা “ধৰ্ম্মপ্রাণ” জাতি, স্বপ্ন উড়াইয়া দিবে —দুপুরে ডাকাতি । হবুচন্দ্র রাজা কহে পাকালিয়া চোখ— “গবুচন্দ্র, এদের উচিত শিক্ষা হোক । হেঁটোয় কণ্টক দাও, উপরে কণ্টক, ডালকুত্তাদের মাঝে করহ বণ্টক !” সতেরো মিনিট কাল না হইতে শেষ, স্লেচ্ছ পণ্ডিতের আর না মিলে উদেশ । সভাস্থ সবাই ভাসে আনন্দাশ্রনীরে, ধৰ্ম্মরাজ্যে পুনর্ববার শান্তি এল ফিরে । পণ্ডিতেরা মুখ চক্ষু করিয়া বিকট পুনর্বার উচ্চারিল—“হিং টিং ছট্‌ ৷” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃত সমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভণে, শুনে পুণ্যবান ! অতঃপর গৌড় হ’তে এল হেন বেলা যবন পণ্ডিতদের গুরুমারা চেলা । 8Հ