পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেতে নাহি দিব কহিছেন প্রাণপণে “যেতে নাহি দিব।” আয়ুক্ষীণ দীপমুখে শিখা নিব-নিব আঁধারের গ্রাস হ’তে কে টানিছে তারে, কহিতেছে শতবার “যেতে দিব না রে ।” এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত্য ছেয়ে সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে গভীর ক্ৰন্দন “যেতে নাহি দিব।” হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায় ! চলিতেছে এমনি অনাদিকাল হ’তে । প্রলয়-সমুদ্রবাহী স্বজনের স্রোতে প্রসারিত ব্যগ্রবাহু জ্বলন্ত আঁখিতে “দিব না দিব না যেতে” ডাকিতে ডাকিতে হুহু করে তীব্রবেগে চলে যায় সবে পূর্ণ করি বিশ্বতট আৰ্ত্ত কলরবে। সম্মুখ-উৰ্ম্মিরে ডাকে পশ্চাতের ঢেউ “দিব না দিব না যেতে”—নাহি শুনে কেউ, নাহি কোনো সাড়া । চারিদিক হ’তে আজি অবিশ্রাম কৰ্ণে মোর উঠিতেছে বাজি সেই বিশ্ব-মৰ্ম্মভেদী করুণ ক্রনদন মোর কন্যাকণ্ঠস্বরে। শিশুর মতন 이