পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী ধীরি ধীরি পা টিপিয়া পিছু হট চলি যাও দূরে, যেন ছেড়ে যেতে চাও—আবার আনন্দপূর্ণ সুরে উল্লসি ফিরিয়া আসি কল্লোলে ব্যাপায়ে পড় বুকে, রাশি রাশি শুভ্ৰহাস্তে, অশ্রুজলে, মেহগৰ্ব্বস্তুখে আৰ্দ্ৰ করি দিয়ে যাও ধরিত্রীর নিৰ্ম্মল ললাট আশীৰ্ববাদে। নিত্যবিগলিত তব অন্তর বিরাট, আদি অন্ত মেহরাশি,—আদি অন্ত তাহার কোথারে কোথা তার তল, কোথা কূল ! বল কে বুঝিতে পারে তাহার অগাধ শান্তি, তাহার অপার ব্যাকুলত, তা’র সুগভীর মৌন, তা’র সমুচ্ছল কলকথা, তা’র হাস্য, তা’র অশ্রুরাশি —কখনো বা আপনারে রাখিতে পার না যেন, স্নেহপূর্ণ স্ফীত স্তনভারে উন্মাদিনী ছুটে এসে ধরণীরে বক্ষে ধর চাপি নির্দয় আবেগে ; ধরা প্রচণ্ড পীড়নে উঠে কঁাপি, রুদ্ধশ্বাসে উৰ্দ্ধশ্বাসে চীৎকারি’ উঠিতে চাহে কঁাদি, উন্মত্ত মেহফুধায় রাক্ষসীর মত তারে বাধি’ পীড়িয়া নাড়িয়া যেন টুটিয়া ফেলিয়া একেবারে অসীম অতৃপ্তি মাঝে গ্রাসিতে নাশিতে চাহ তা’রে প্রকাণ্ড প্রলয়ে। পরক্ষণে মহা অপরাধীপ্রায় । পড়ে থাক তটতলে স্তব্ধ হয়ে বিষন্ন ব্যথায় নিষঃ নিশ্চল —ধীরে ধীরে প্রভাত উঠিয়া এসে শান্তদৃষ্টি চাহে তোমাপানে ; সন্ধ্যাসখী ভালবেসে b"&