পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের প্রতি স্নেহকরস্পর্শ দিয়ে সাস্তুনা করিয়ে চুপেচুপে চলে যায় তিমির-মন্দিরে ; রাত্রি শোনে বন্ধুরূপে গুমরি’-ক্ৰন্দন তব রুদ্ধ অনুতাপে ফুলে’ ফুলে’ । আমি পৃথিবীর শিশু বসে আছি তব উপকূলে, শুনিতেছি ধ্বনি তব ; ভাবিতেছি, বুঝা যায় যেন কিছু কিছু মৰ্ম্ম তা’র—বোবার ইঙ্গিত-ভাষা হেন আত্মীয়ের কাছে । মনে হয় অন্তরের মাঝখানে নাড়ীতে যে রক্ত বহে সেও যেন ওই ভাষা জানে আর কিছু শেখে নাই। মনে হয় যেন মনে পড়ে যখন বিলীন ভাবে ছিনু ওই বিরাট জঠরে অজাত ভুবন-ভ্রণমাঝে,—লক্ষকোটি বর্ষ ধরে’ ওই তব অবিশ্রাম কলতান অন্তরে অন্তরে মুদ্রিত হইয়া গেছে ; সেই জন্ম-পূর্বের স্মরণ,— গর্ভস্থ পৃথিবীপরে সেই নিত্য জীবনস্পন্দন তব মাতৃহৃদয়ের—অতি ক্ষীণ আভাসের মত জাগে যেন সমস্ত শিরায়, শুনি যবে নেত্ৰ করি নত বসি জনশূন্য তীরে ওই পুরাতন কলধ্বনি। দিক হতে দিগন্তরে যুগ হতে যুগান্তর গণি’ তখন আছিলে তুমি একাকিনী অখণ্ড অকূল আত্মহারা ; প্রথম গর্ভের মহা রহস্য বিপুল Ե"Տ)