পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৷৷৹ ]

প্রাচীন ব্য়ক্তি কহেন “বর্দ্ধমানাধিপতি মৃত মহাত্মা মহারাজ ৺ তেজশ্চন্দ্র রায়বাহাদুর এতন্নগরে শুভাগমমানন্তর কোন রূপ কৌশলক্রমে তাঁহার গান শুনিয়াছিলেন,,।

 মুরসিদাবাদস্থ মৃত মহারাজ মহানন্দ রায় বাহাদুর কলিকাতায় আসিয়া বহুদিন অবস্থানপুর্ব্বক প্রতি দিবস এক নিয়মে বাবুর সহিত একত্র হইয়া মনের আনন্দে আমোদ প্রমোদ করিতেন। উক্ত মহারাজের শ্রীমতি নাম্নী এক রূপবতী গুণবতী বুদ্ধিশালিনী বারাঙ্গনা ছিল, এই বারবিলাসিনী রামনিধি বাবুকে অন্তঃকরণের সহিত ভাল বাসিত ও অতিশয় স্নেহ করিত এবং বাবুও তাহার বিস্তর গৌরব ও সম্মান করিতেন, ইহাতে কেহ২ অনুমান করিতেন এই শ্রীমতী নিধুবাবুর প্রণয়িণী প্রিযতমা বেশ্য়া কিন্তু বিজ্ঞমণ্ডলীয় অনেকে এ কথা অগ্রাহ্য কবিয়া কহিতেন “তিনি লম্পট ছিলেন না,, কেবল স্তুতি বিনয় স্নেহ এবং নির্ম্মল প্রণয়ের বশ্য ছিলেন। এই প্রযুক্ত তাহাকে অতিশয় স্নেহ করিতেন এবং কিয়ৎক্ষণ হাস্য় পরিহাস কাব্য আলাপ ও গীত বাদ্য করিয়া আসিতেন আর সেখানে বসিয়া মনের মধ্যে যখন যেমন ভাবেব উদয় হুইত তৎক্ষণাৎ তাহারই এক২ গীত রচনা করিতেন, এবং সেই গীত সকল রাগে এবং সকল তালে গান করিতেন, এতাদৃশ যে যখন যে গীত যে রাগে গান করিতেন বোধ হইত যে এ গীত এই রাগে উদ্ভব হইয়াছে।

 ১২১০ সালের পুর্ব্ব মৃত মহামতি মহারাজা নৰকৃষ্ণ বাহাদুরের সমাজে বাঙ্গালি মহাশয়দিগের মধ্যে “আখড়াই,, গাহনার অত্যন্তামোদ ছিল। তখন উক্ত মহারাজের নিকট কুলুইচন্দ্র সেন নামক এক জন বৈদ্য আখড়াই বিষয়ে অতিশয প্রতিপন্ন ছিলেন। ঐ মহাশয় সঙ্গীত শাস্ত্রে অদ্বিতীয় পারদর্শি ছিলেন, তাহাকে আখড়াই গাহনার এক জন জন্মদাতা বলাই কর্তব্য হয় তিনি ৺ রামনিধি গুপ্তের অতি নিকট সম্বন্ধীয় মাতুল পুত্র ছিলেন কিন্তু