পাতা:গীতরত্ন গ্রন্থঃ (১৮৭০)- রামনিধি গুপ্ত.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৶৹ ]

আমাকে কখনও দিবেন না,, ব্রাহ্মণের প্রতি গুপ্ত বাবুর স্বভাবতঃ অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধা ছিল, এ জন্য় কোন ৰূপ-আপত্তি না করিয়া ঐ পদে মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে অভিষিক্ত করণার্থ বিবিধ প্রকার যত্ন ও পোষকতাই করিলেন এবং তিনি পদস্থ হইয়া যাহাতে কৃতকার্য্য হয়েন তদ্বিষয়ে সদুপদেশ সহায়তা করত তাঁহার কেরাণিগিরি কর্ম্মে স্বয়ং নিযুক্ত হইয়া কিছুকাল তৎকর্ম্ম নির্ব্বাহ করিলেন।

ছাপ্রার কালেক্টরী কেরাণির কর্ম্ম গ্রহণ কবিয়া নিধুবাবু তৎকালে যথায় সঙ্গীত বিদ্যার সুপণ্ডিত জনৈক যবন গায়ককে বেতন দিয়া নিযুক্ত করত সাবকাশ সময়ে তাহার নিকট সঙ্গীত শাস্ত্র শিক্ষা করিতে লাগিলেন। গীত বাদ্য তৎপর যবনেরা প্রায় অত্যন্তই ক্রূর, সহজে কাহাকেই যথার্থ ৰূপ উপদেশ প্রদান করে না। যখন ঐ বিদ্যায় বাবুর যথার্থ সংস্কার জন্মিল তখন শিক্ষাদান বিষয়ে শিক্ষকের কার্পণ্য জানিতে পারিয়া মিঞা সাহেবকে কহিলেন “আমি তোমারদিগের জাতীয় যাবনিক গীত আর গান করিব না, আপনিই বঙ্গভাষায় হিন্দি গীতের অনুবাদ পুবর্বক রাগ রাগিণী সংযুক্ত করিয়া গান করিব,, ফলে তাহার অব্যবহিত পরে তাহাই করলেন, অর্থাৎ উক্ত মুসলমান গায়ককে বিদায় দিয়া আপনিই রাগ রাগিণী তাল মান অনুসারে বাঙ্গালা গীত রচনা করিতে প্রবর্ত্ত হইলেন।

ইহার কিছু দিন পরেই নিধুবাবু ছাপ্রা জিলার মধ্যস্থিত “রতনপুরা,, নামক গ্রামে গিয়া “ভিখলুরাম,, স্বামিজীউর নিকট মন্ত্র গ্রহণ করিলেন, ঐ মহাশয় অত্যন্ত জ্ঞানী ও সাধু ছিলেন, “জ্ঞানানন্দ,, গোস্বামির ন্যায় উক্ত মহাপুরুষের অনেক অলৌকিক ক্রিয় মানবমণ্ডলে ব্যক্ত আছে “জ্ঞানানন্দ,, বামাচারী ছিলেন, “ভিখন্রাম, দক্ষিণাচারী, তাঁহাকে সকলেই সিদ্ধপুরুষ কহিত। তিনি নিধুবাবুকে শান্ত শ্রদ্ধাবান বিনয়ী ভক্ত সচ্চরিত্র ও