পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড চুনিবাৰু নৌকো ভাসানোর ছবি অঁাকতে লেগেচেন। নদীর ঢেউগুলো মকরের পাল, ই ক’রে নৌকোটাকে গিলতে চলেচে এমুনিতরো ভাৰ—জাকাশের মেষগুলোও যেন উপর থেকে চাদর উড়িয়ে উৎসাহ দিচ্চে ৰ’লে বোধ হ'চ্চে-ৰিভ মৰুরগুলো সৰ্ব্বসাধারণের মকর নয় জার মেষগুলোকে খুমজ্যোতিঃসলিলমক্কতাং সন্নিবেশ বললে অত্যুক্তি করা হবে। একথাও সত্যের অনুরোধে বলা উচিত,যে, এই রকমের নেীকে যদি গড়া হয় তাহলে ইঙ্গুয়োরেন্স আপিস কিছুতেই তার দায়িত্ব নিতে রাজি হবে না। চললে রচনা, আকাশের চিত্রীও যা খুলি তাই ক’রচেন জার ঘরের মধ্যে ঐ মন্ত চোখমেলা ছেলেটিও তথৈবচ। এদের খেয়াল ছিল না, যে, দরজা খোলা। বড়োবাৰু এলেন। গর্জন ক’রে উঠলেন—কী হ’চ্চে রে ! ছেলেটার বুক কেঁপে উঠলে, মুখ হ'লে ফ্যাকাসে। স্পষ্ট বুঝতে পারলেন পরীক্ষায় চুনিলালের ইতিহাসে তারিখ ভূল হচ্চে তার কারণটা কোথায়। ইতিমধ্যে চুনিলাল ছবিটাকে তার জামার মধ্যে লুকোবার ব্যর্থ প্রয়াস করাতে অপরাধ আরো প্রকাশমান হয়ে উঠলো। টেনেনিয়ে গোবিন্দ বা দেখলেন তাতে তিনি আরো অবাকৃ—এটা ব্যাপারখান। কী ! এর চেয়ে-ষে ইতিহাসের তারিখ ভুলও ভালো। ছবিট। কুটি কুটি করে ছিড়ে ফেললেন। চুনিলাল ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। সত্যবতী একাদশীর দিন প্রায় ঠাকুরঘরেই কাটাতেন। সেইখান থেকে ছেলের কান্না শুনে ছুটে এলেন । ছবির ছিন্ন খণ্ডগুলো মেঝের উপর লুটচ্চে আর মেঝের উপর লুটচ্চে চুনিলাল । গোবিন্দ তখন ইতিহাসে তারিখ ভুলের আদি কারণগুলো সংগ্ৰহ ক’রছিলেন অপসারণের অভিপ্রায়ে। সত্যবতী এতদিন কখনো গোবিন্দর কোনো ব্যবহারে কোনো কথা বলেন নি। এরই পরে তার স্বামী নির্ভর স্থাপন করেচেন এই স্মরণ ক’রেই তিনি নিঃশবে সব সঙ্ক ক’রেচেন। আজ তিনি অশ্ৰতে আর্দ্র, ক্রোধে কম্পিত কণ্ঠে ব’ললেন, কেন তুমি চুনির ছবি ছিড়ে ফেললে । গোবিন্দ ব’ললেন, পড়াশুনো করবে না ? আখেরে ওর হবে কী ! সত্যবর্তী ব’ললেন, আখেরে ও যদি পথের ভিক্ষুক হয় সেও ভালো । কিন্তু কোনোদিন তোমার মতো যেন ন হয় ; ভগবান ওকে যে-সম্পদ দিয়েচেন তারি গৌরব যেন তোমার পয়সার গৰ্ব্বের চেয়ে বেশি হয় এই ওর প্রতি আমার মায়ের আশীৰ্ব্বাদ । - গোবিন্দ্র বললেন, আমার দায়িত্ব আমি ছাড়তে পারবে না, এ চলবে না কিছুতেই। আমি কালই ওকে বোৰ্ডিঙ, স্থলে পাঠিয়ে দেবো—নইলে তুমি ওর সর্বনাশ করবে। বড়োবাৰু আপিসে গেলেন। ঘনবৃষ্টি নামূলে, রাস্ত জলে ভেসে যাচ্চে । সত্যবতী চুনির হাত ধ’রে বললেন—চল বাণ । চুনি বললে, কোথায় যাবে, মা ? এখান থেকে বেরিয়ে ঘাই । - রজলালের দরজায় একইটুি জল। সত্যবতী চুনিলালকে নিয়ে তার ঘরে ঢুক্লেন—বললেন, বাবা, তুমি নাও এর ভার! বাঁচাও একে পয়সার সাধনা থেকে ।