পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] नाश्ऊिा-बिकांब्र లి(t প্রভাবের বা বিদেশী প্রকৃতির খোটা দিয়ে বর্ণসঙ্করতা বা ব্রাভ্যতার তর্ক যেন না তোলা হয় । আরো একটা শ্রেণীবিচারের কথা এই উপলক্ষ্যে আমার মনে পড়ল। মনে পড়বার কারণ এই ষে কিছুদিন পূর্বেই আমার যোগাযোগ নাটকের কুমুর চরিত্র সম্বন্ধে আলোচনা ক’রে কোনো লেখিকা আমাকে পত্র লিখেচেন। তাতে বুঝতে পার গেল, সাহিত্যে নারীকেও একটি স্বতন্ত্র শ্রেণীতে দাড় করিয়ে দেখবার একটা উত্তেজনা সম্প্রতি প্রবল হয়ে উঠেচে । যেমন আজকাল তরুণবয়স্কের দল হঠাৎ ব্যক্তির সীমা অতিক্রম করে দলপতিদের চাটক্তির চোটে বিনামূল্যে একটা অত্যন্ত উচ্চ এবং বিশেষ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, নারীদেরও সেই দশা । সাহিত্যের নারীতে নারীত্ব নামক একটা শ্রেণীগত সাধারণ গুণ আছে কি না, এই তর্কট সাহিত্য-বিচারে প্রাধান্ত লাভের চেষ্টা করচে । এরই ফলে কুমু ব্যক্তিগত ভাবে সম্পূর্ণ কুমু কিনা এই সাহিত্যসঙ্গত প্রশ্নটা করে কারে লেখনীতে বলে গিয়ে দাড়াচ্চে কুমু মানব সমাজে নারী নামক জাতির প্রতিনিধির পদ নিতে পেরেচে কিন—অর্থাৎ তাকে নিয়ে সমস্ত নারীপ্রকৃতির উৎকর্ষ স্থাপন করা হয়েচে কিনা। মানব প্রকৃতির যা কিছু সাধারণ গুণ তারই প্রতি লক্ষ্য মনোবিজ্ঞানের, আর ব্যক্তিবিশেধের যে অনন্তসাধারণ প্রকৃতি তারই প্রতি লক্ষ্য সাহিত্যের। অবশু একথা বলাই বাহুল্য নারীকে স্বাকৃতে গিয়ে তাকে অ-নারী করে আঁকা পাগলামী । বস্তুত সেকথা আলোচনা করাই অনাবশ্যক। সাহিত্যে কুমুর যদি কোনো আদর হয় সে হবে সে ব্যক্তিগত কুমু বলেই, সে নারীশ্রেণীর প্রতিনিধি বলে নয়। কথা উঠেচে সাহিত্য-বিচারে বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি শ্রদ্ধেয় কিনা। এ প্রশ্নের উত্তর দেবার পূৰ্ব্বে আলোচ্য এই -कौ ग९sइ कब्रांब्र बरछ विद्वन्नब५ ? जां८णांका-जांश्ङिाब्र উপাদান অংশগুলি ? আমি বলি সেটা অত্যাবশ্যক নয়, कांब्र१, ॐांनांनाक ७कछ कब्रांब्र बांब्रा श४ इञ्च ना । नबs স্বটি আপন সমস্ত অংশের চেয়ে অনেক বেশি। সেই বেশিটুকু পরিমাণগত নয়। তাকে মাপা বায় নb ওজন করা যায় না, সেটা হ’ল রূপরহস্ত, সকল স্বাক্টর মূলে প্রচ্ছন্ন। প্রত্যেক স্বষ্টির মধ্যে সেটাই হ’ল অদ্বৈত, বহুর মধ্যে সে ব্যাপ্ত অথচ বহুর দ্বারা তার পরিমাপ হয় না । সে স-কল অর্থাৎ তার মধ্যে সমস্ত অংশ আছে, তবু সে নিষ্কল, তাকে অংশে খণ্ডিত করলেই সে থাকে না। অতএব সাহিত্যে সমগ্রকে সমগ্রন্থটি দিয়েই দেখতে হবে। আজকাল সাইকো-এনালিসিসের বুলি অনেকের মনকে পেয়ে বসে। স্বষ্টিতে অবিশ্লেষ্য সমগ্রভার গৌরব খৰ্ব্ব করবার মনোভাব জেগে উঠেছে। মামুষের চিত্তের উপকরণে নানাপ্রকার প্রবৃত্তি আছে, কাম ক্রোধ অহঙ্কার ইত্যাদি । ছিন্ন করে দেখলে যে বস্তু-পরিচয় পাওয়া যায়, সম্মিলিত আকারে তা পাওয়া যায় না। প্রবৃত্তিগুলির গুঢ় অস্তিত্বদ্বারা নয় স্বষ্টিপ্রক্রিয়ার অভাবনীয় যোগসাধনের দ্বারাই চরিত্রের বিকাশ। সেই মোগের রহথকে আজকাল অংশের বিশ্লেষণ লঙ্ঘন করবার উপক্রম করচে । বুদ্ধদেবের চরিত্রের বিচিত্র উপাদানের মধ্যে কাম প্রবৃত্তিও ছিল, তার ধৌবনের ইতিহাস থেকে সেট প্রমাণ করা সহজ —ধেটা থাকে সেটা যায় না, গেলে তাতে স্বভাবের অসম্পূর্ণতা ঘটে । চরিত্রের পরিবর্তন বা উৎকর্ষ ঘটে বর্জনের দ্বারা মম্ন যোগের দ্বারা। সেই যোগের দ্বারা যে পরিচয় সমগ্রভাবে প্রকাশমান সেইটেই হল বুদ্ধদেবের চরিত্রগত সভ্য। প্রচ্ছন্নতার মধ্য থেকে বিশেষ উপকরণ টেনে বের করে র্তার সত্য পাওয়া যায় না । বিশ্লেষণে হীরকে অঙ্গারে প্রভেদ নেই, স্বষ্টির ইশ্রজালে আছে। সন্দেশে কার্বন আছে নাইট্রোজেন আছে কি গু সেই উপকরণের দ্বার সন্দেশের চরম বিচার করতে গেলে বহুতর বিসদৃশ ও বিস্বাদ পদার্থের সঙ্গে তাকে একশ্রেণীতে ফেলতে হয় কিন্তু এতে করেই সন্দেশের চরম পরিচয় আচ্ছন্ন হয়। কাৰ্ব্বন ও নাইট্রোজেন উপাদানের মধ্যে ধরা পড়া সত্বেও জোর করে বলতে হবে ষে সন্দেশ পচামাংসের সঙ্গে একশ্রেণীভুক্ত হতে পারে না। কেননা উভয়ে উপাদানে এক কিন্তু প্রকাশে স্বতন্ত্র। চতুর লোক বলবে প্রকাশটা চাতুরী, তার উত্তরে বলতে হয়, বিশ্বজগৎটাই সেই চাতুরী। তা হোৰু, তবু রসভোগকে বিশ্লেষণ করা চলে।