পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] কাকের অভাব ! চাকর যথেষ্টই পাবেন, তবে কোনো কাজের হবে কি না জানি না । চাটগেয়ে আর মোয়াখালীর লোকই বেশী, তাদের কথা বুঝতেই প্রাণ বেরবে। তার উপর চোর যা ! দু-টাকার বাজার করতে দেন তো এক টাকা বার আনা পারলে চুরি করে রাখবে। বাবুগিরি যা এক একজনের ! কে বাৰু, কে চাকর, কিছু বোঝবার জো নেই। মাইনে এক একটির কুড়ি টাকা পচিশ টাকা করে।” ইন্দু গালে হাত দিয়া বলিল, “ওমা, চাকরের মাইনে কুড়ি-পঁচিশ টাকা । কলকাতায় এল-এ, বি-এ, পাশ করা মান্তযেই পচিশ টাকার কাজের জন্যে ষ্টা করে থাকে।” গল্লম্বল্প করিয়া ঘটাখানেক কাটিয়া গেল। তাহার পর নগেনবাবুর পুত্র মন্ট আসিয়া খবর দিল ভাণ্ডারী রান্না করিয়া রাপিয়া গিয়াছে । সুতরাং বার্ণা এবং তাহার ম। নিজেদের কেবিনে ফিরিয়া গেলেন । মায়ার খাবারও আসিয়া পৌছিল । রামনরেশের রায় খাইয় তাহার জাত বঁচিল বটে, তবে জিম্বা একান্তই অতৃপ্ত থাকিয় গেল। বাসন-কোশন মায়া নিজেই কোনো মতে ধুইয়া রাখিল, কারণ ব্রাহ্মণ মানুষ উচ্ছিষ্ট কিছুতেই স্পর্শ করিবে না। কেবিনে যেটুকু জল ছিল তাহ বাসন দুইতেই খরচ হইয়া গেল। হঠাৎ বাহিরে একট। চেঁচামেচি শোনা গেল। ইন্দু গলাট একটুখানি দরজার বাহিরে বাড়াইয়া বলিল, “গুম। বাণীর মায়ের গলা না ? এ রকম করে কাকে बद्रल् ?” পর মুহূর্তেই একটা ছোকরা মেয়েদের স্বানের ঘর হইতে বাহির হইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। বাণীর মাও বঙ্কিতে বকিতে বাহির হইয়া আসিলেন। “আডি *্যাপ্টেন কে পাস বেলেগ, তুম লোককো কুছ আকেল নহি, জেনান গোলোলখানামে ক্যা ওয়াস্তে গিয়া ?” ७कबन विश्रूणांकांब्र भांटफ़ांबांग्रैौ गांभप्नब्र ७कफै। কেবিন হইতে বাহির হুইয়া জাগিল। বাণীর মাকে সে কি যেন বুঝাইবার চেষ্টা করিতে লাগিল, কিন্তু ভদ্রমহিলা তখন এতই উত্তেজিভ, যে, তাহার কথায় কর্ণপাতও করিলেন না, বৰিয়াই চলিলেন। ব্যাপার কতদূর भशंभांश २82 গড়াইড বলা যায় না, তবে নগেনবাবু শাসিয়া পড়াতে সহজেই চুকিয় গেল। “বাৰু, ও ছোকুর পঢ়নে নহি জানুত, আউর কম্ভি নহি স্বায়েগ,” বলিয়৷ মাড়োয়ারী উtহাকে ঠাণ্ডা করিয়া দিল। গৃহিণী বকিতে বকিতে নিজের ঘরে চলিয়া গেলেম । ইন্দু বলিল, “নগেনবাবু না থাকলে গিয়ে গুণে আসতাম কি হল। বাব, এ সহজ স্থান নয় দেখছি । মানে মানে নেমে যেতে পারলে বাচি ।” মায়া বলিল, “একল; আর ওদিকে যেয়ে না, পিদিম, এ লোকগুলো সব ভয়ানক দুষ্ট " খাওয়া-দাওয়া সারিয়া নগেনবাবু সৰ্ব্বদাই নিরঞ্জনের কেবিনে অt৬ড় দিতে প্রস্থান করিতেন । গৃহিণীকে ঠাণ্ড করিয়া আবার যে তিনি বাহির হইয় क्षाद्देtवन. সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল ন। সুতরাং অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষ করিয়া, ইন্দু আর মায়৷ কেবিনে তাল লাগাইয়া বাছির, হইয়া পড়িল । কয়েকবার যাওয়া-আসার ফলে তাহার এখন পথ চিনিয়া ফেলিয়াছিল । দরজায় টোক দিতেই বাণী দরজা খুলির দিল । নগেনবাবুর স্ত্রী এখন দিব্য নিশ্চিন্তভাবে একথান। বাংলা মাসিকপত্র পড়িতেছিলেন। কিছুক্ষণ পূর্বের রণরঙ্গিণী মুক্টির চিহ্নও আর র্তাহার মধ্যে ছিল না। ইন্দু ঢুকিয়াই জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছিল দিদি ? ও ছোড়াটা কি করেছিল ?” গৃহিণী হাসিয়া বলিলেন, “করবার ওর বাপের সাধি আছে ? স্নানের ঘরে গিয়েছি, দেখি হতভাগা দিব্যি মেয়েদের স্বানের ঘরে ঢুকে মুখ ধুচ্ছে। গালাগালি দিতেই ছুটে পালাল।" মায় বাণীকে বলিল, “তোমার মায়ের তো খুব সাহল ভাই। আমি হ’লে তো ভয়েই মরে যেতাম।” বাণীর মা বলিলেন, “তোমাদের তো ভয় লাগবেই মা, ছেলেমানুষ তোমরা । আমাদের তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে, আমাদের কি এখন অত ভয় করলে চলে ?” , ইন্দু বলিল, “শুধু বয়সেই কি আর সাহস হয় ।