পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড ২৭e এক জায়গায় কথাবাৰ্ত্ত চলিতে লাগিল। মেয়ে দেখিতে মন্দ নয়, বয়স তেরো-চৌদ্ধ । মহালক্ষ্মী বলিলেন, “তার মানে বোলো-সতেরে, একেবারে ধাড়ী হয়ে গেছে যে ! এত বড় মেয়ে বাগ মানান শক্ত । শেষে ছেলেটাকে না পর করে দেয় ।” আদিনাথ বলিলেন, “এ বংশের ছেলে কখনো স্ত্রীর আঁচল ধরে চলে, শুনেছ ? দেনাপাওনায় যদি না ঠেকে ত মেয়ের বয়সের জন্তে ঠেকবে না।” মেয়ের পিতা ৰাজী হইয়া গেলেন। মহালক্ষ্মী আনন্দে चशेौब्र इहेंब्रां छेद्वैिcजन । क्रधड দিনটাকে তিনি ছিড় হিড় করিয়া কাছে টানিয়া আনিতেন । তাহা যখন সম্ভব নয় তখন তিনি পনের টাকা হাতে পাইবামা স্ত্র কি কি গহন গড়াইবেন তাহার কল্পনাতেই দিন কাটাইতে লাগিলেন। কর্তা যে বলিয়ছিলেন তাহা সত্যই হইতে চলিল । এই ছেলেই আবার লক্ষ্মীকে ঘরে জানিবে। মেয়ের বাপ পাচ হাজার টাকা নগদ এবং গহনাগাটি দানসামগ্রীতেই আরো পাচ হায়ার দিতে রাজী হুইয়াছে। তাহার মেয়ে ঐ একটিই, কাজেই তত্ত্ব-তালাশ ভাল করিয়াই করিবে । কিন্তু মাহষ গড়ে, বিধি ভাঙেন । কাৰ্য্যতঃ যাহা ঘটিল, তাহার সঙ্গে মহালক্ষ্মীর কাল্পনিক চিত্রের বিশেষ কিছু মিলিল না। নির্দিষ্ট দিনে ঘটা করিয়া ব্যাণ্ড বাজাইয়া, একদল বরযাত্রী লইয়া আদিনাথ ছেলের বিবাহ দিতে বাহির হইয়া গেলেন। মহালক্ষ্মী প্রতিবেশিনীদের লইয়া জমকাইয়া গল্প করিতে এবং বউভাতের আয়োজন করিতে বসিয়া গেলেন । বংশের উপযুক্ত ভাবে বৌভাত করিয়া সব মাগীকে দেখাইতে হুইবে যে, মরাহাতীও সওয়া লাখ । বিবাহ, বাসি বিবাহ হইয়া গেল, বউ লইয়া ছেলে चांछ वाफ़ौ किब्रिtव । चाउँौग्नश्छtन घब्र श्रृं★ शम् করিতেছে। বন্ধুকে অভ্যর্থনা করার আয়োজন যাহাতে সৰ্ব্বাঙ্গসম্পূর্ণ হয়, সেদিকে মহালক্ষী তীক্ষ দৃষ্টি রাখিয়াছেন এবং তাহার কণ্ঠস্বর সারাক্ষণ সপ্তমে চড়িয়াই আছে । বাহিরে, রন্ধনচেীকী বসিয়াছে, তাহাদের বঁাশীগুলা षांकिब्र थाक्ब्रिां वांछिब्र। खेटैिंtडtइ, जांबांब नौब्रव থাকিলে বিবাহের । হইতেছে। বন্ধু গৃহপ্ৰবেশ করিলে তখন পূর্ণ উদ্যমে বাজাইবে । মহালক্ষ্মীর বাপের বাড়ী হইতে র্তাহার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী একটি মেয়ে লইয়া আসিয়াছে, আর বড় কেহ আসে নাই । ননদে ভজে কথা হইতেছিল। "ঠ্য। ঠাকুরবি, বউ নাকি দেখতে বিশেষ স্বন্দর হয়নি ?” মহালক্ষ্মী গরম হইয়| উঠিলেন, “কোন চোক্‌খাকী এ কথা বলেছে গা ? তারা গিয়ে দেখে এসেছে ?” ভাঁজ বলিল, “আমন কত কথা ওঠে, তাতে রাগ করলে চলে কি ? অনেক দেবেথোবে শুনেছে কি না, তাই ভাবছে মেয়ের নিশ্চয় কোনো খুৎ অাছে।” ইহাতে মহালক্ষ্মীর রাগ আরোই বাড়িয়া গেল। খুব ঝাঝিয়া বলিয়া উঠিলেন, “কেম গো, আমার ছেলে কি ফ্যালনা ? তাকে দেওয়া যায় ন৷ পাচ হাজার টাকা পণ ? কত বড় বংশ ওদের । এমন বনেদী ঘর এ অঞ্চলে আর একটা আছে ? পদ্মিনীর মত মেয়ে, দশ হাজার টাকা পণ এ ঘরে লোকে সেধে দেবে। কেন, আমার ছেলের বিয়েই চোকখাকীরা দেখছে, এ বাড়ীর আর কারে বিয়ে দেখেনি ? এ ঘরে কমটা নিয়ে কোন বাপের বেটী ঢুকেছে ?” এমন সময় বাহিরে মহাশব্দে বাজনা বাঞ্জিয় ওঠাতে বকবিকি, রাগারগি সব থামিয়া গেল। সকলে উৰ্দ্ধশ্বাসে বউ দেখিতে ছুটিল । বউ তোলা, বরণ করার গোলমালে মহালক্ষ্মীর স্বামীকে কোনো কথা জিজ্ঞাস করার স্ববিধা হুইল না। বউ দেখিতে বিশেষ ভাল নয়, তবে কুৎসিৎ৪ কিছু নয়। ছেলের মুখ বড় ভার ভার ; মহালক্ষ্মী ভাবিলেন, বোধ হয় বউ খুব স্বন্দরী না হওয়াতেই ছেলে- বিরক্ত হইয়াছে। মনে মনে হাসিয়া বলিলেন, মেয়েমাছুষের রূপ আর ক'দিন ? দুটি তিনটি কোলে হইলেই পদ্মিনী এবং চাবানীর তফাৎ কিছু থাকে না। ধর না তার নিজের कथं । পাড়াপ্রতিবেশী যখন বউ দেখিয়া, মিষ্টমুখ করিয়া বিদায় হইল, তখন মহালক্ষ্মী একটু অবসর পাইলেন।